রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭

এ,কে,আজাদ★ ‘উকিল বাপ’ বানানো কি বৈধ? সত্যিটা একবার দেখে নিন।








   
উকিল ও বাপ। বাংলা একাডেমি ‘উকিল’ শব্দের
অর্থ লিখেছে ১. আইন ব্যবসায়ী। ২. প্রতিনিধি,
মুখপাত্র। ৩. মুসলমানদের বিয়েতে যে ব্যক্তি
কনের সম্মতি নিয়ে বরকে জানায়। (বাংলা
একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান,
পৃষ্ঠা-১৪৭)। আর ‘বাপ’ শব্দের অর্থ বাবা, পিতা,
জন্মদাতা ও পিতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
ইসলামে পবিত্র বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য
দুজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা সাক্ষী
উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। এই সাক্ষীমণ্ডলীর
একজনকে দেশীয় পরিভাষায় বলা হয় ‘উকিল
বাপ’।
আমাদের দেশে এই ‘উকিল বাপ’ ও তাঁর আত্মীয়-
স্বজনের সঙ্গে রক্তের সম্পর্কের মতো আচরণ
করা হয়।
অবলীলায় তাঁদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা হয়।
অথচ ‘উকিল বাপ’ সংস্কৃতি ইসলামসম্মত নয়।
কেননা যদি বিয়ের সাক্ষী ব্যক্তিরাই ‘উকিল
বাপ’ হয়, তাহলে দুজন সাক্ষীই তো ‘উকিল বাপ’
হওয়ার কথা। অথচ বিয়ের সাক্ষী একজনকে
পিতার আসনে বসানো হয় আর অন্যজনকে এই
বিশেষ বিশেষণ থেকে বঞ্চিত করা হয়।
তা ছাড়া পৃথিবীতে প্রকৃত বাবা একজনই, যার
ঔরসে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে। এর বাইরে
ইসলাম কয়েক ধরনের ব্যক্তিকে পিতৃস্থানীয়
হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এক. ‘দুধ পিতা’ অর্থাৎ কোনো শিশু যদি অন্য
কোনো নারীর দুধ পান করে, তাহলে সে নারীর
স্বামী উলিখিত শিশুর ‘দুধ পিতা’। এমন পিতার
সঙ্গে দুগ্ধপায়ী মেয়েশিশুর বিয়ে বৈধ নয়। তবে
তারা একে অন্যের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে
পারবে।
দুই. বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে আরেক ধরনের
পিতৃত্বের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। দেশীয় পরিভাষায়
ওই পিতাকে বলা হয় ‘শ্বশুর’। ‘শ্বশুর’ স্বামীর
পিতা বা পিতৃস্থানীয় হওয়ার কারণে তাঁর সঙ্গে
স্থায়ীভাবে বিয়ে হারাম। স্বামী যদি কখনো
তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে
স্বামীর সঙ্গে আর দেখা করা যাবে না; কিন্তু
ওই শ্বশুর তখনো হারামই থেকে যাবেন। অর্থাৎ
তাঁর সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়। তাঁর সঙ্গে পিতার
মতো সর্বাবস্থায় দেখা দেওয়া যাবে।
তিন. দত্তক নেওয়া সন্তানের অভিভাবককেও
পিতার মর্যাদায় ভূষিত করা হয়। এ বিষয়ে
ইসলামের বিধান হলো, দত্তক নেওয়া সন্তানের
লালনকারীদের সম্মানার্থে মা-বাবা ডাকা
বৈধ। একইভাবে তারাও সন্তানকে স্নেহ করে
ছেলে-মেয়ে ডাকতে পারবে। তবে এটা মনে
করার সুযোগ নেই যে পালক নেওয়ায় সন্তানের
আসল মা-বাবা থেকে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে।
এখন লালনকারীই তার সব কিছু। এমন মনে করা
সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এটি জাহেলি যুগের কুসংস্কার।
পবিত্র কোরআনে বিষয়টি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
(তাফসিরে ইবনে কাসির : ৬/৩৩৭, আবু দাউদ,
হাদিস : ১৯৪০)।
লালন-পালনকারীর সঙ্গে পালিত সন্তান পর্দার
ক্ষেত্রেও পুরোপুরি ইসলামের বিধান রক্ষা করে
চলতে হবে। নিজ হাতে লালন-পালন করেছি বলে
পর্দার বিধান লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই।
অর্থাৎ পালক নেওয়া শিশুটি ছেলে হলে
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক নেওয়া
মায়ের সঙ্গে পর্দা করতে হবে। অন্যদিকে পালক
নেওয়া শিশুটি মেয়ে হলে তাকে পালক নেওয়া
বাবার সঙ্গে পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে।
কেননা ইসলামী শরিয়ত মতে, দত্তকসংক্রান্ত
সম্পর্ক কখনো বংশীয় সম্পর্কে পরিণত হয় না।
এমনকি তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কও অন্য
সাধারণ মানুষের মতো বৈধ। (তুহফাতুল ফুকাহা :
২/১২৩)
উল্লিখিত কয়েক ধরনের পিতৃস্থানীয় ব্যক্তি
ছাড়া অন্যদের পিতা হিসেবে ইসলাম স্বীকৃতি
দেয়নি।
‘উকিল’ একটি মুসলিম পরিভাষা। বিশেষ
পদ্ধতিতে বিয়ে মুসলমানদের সংস্কৃতি।
কালক্রমে মুসলিম পরিভাষা ও সংস্কৃতির ভেতর
ইসলামবিরোধী ‘উকিল বাপ’ কালচার ঢুকে
পড়েছে। এ ‘উকিল বাপে’র সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ
বৈধ নয়। তাঁকে ‘বাবা’ ডাকারও কোনো কারণ
নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি
জেনেশুনে নিজের পিতাকে ছাড়া অন্য কাউকে
পিতা বলে দাবি করে, তার জন্য জান্নাত
হারাম। ’ (বুখারি, হাদিস : ৪৩২৬) ।
উকিল বাবা সাধারণত কনের মাহরাম কোনো
আত্মীয়-স্বজন হন না; বরং তিনি গাইরে
মাহরামই হয়ে থাকেন। তাই তাঁর সঙ্গে পর্দা করা
ইসলামের দৃষ্টিতে ফরজ। শুধু সামাজিক প্রচলনের
ওপর ভিত্তি করে একজন গাইরে মাহরাম
ব্যক্তিকে ‘উকিল বাপ’ বানিয়ে তাঁর সঙ্গে
মাহরাম আত্মীয়-স্বজনদের মতো দেখা-সাক্ষাৎ
করা ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।
অনেক সময় দেখা যায়, মেয়ের কাছ থেকে
অনুমতি আনার সময় সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত
থাকার জন্য উকিল বাবার সঙ্গে বর-কনে
উভয়পক্ষের দুজন সাক্ষী যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে
গাইরে মাহরাম কেউ মেয়ের কাছে অনুমতি
আনার জন্য তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে
পারবে না। বিয়ের আগে পাত্রীকে গাইরে
মাহরামদের মধ্যে শুধু পাত্রই শর্ত সাপেক্ষে
দেখতে পারবে। সে শর্তগুলো হলো :
এক. পাত্রী দেখার সময় পাত্রের পক্ষের কোনো
পুরুষ যেমন বাপ-ভাই, বন্ধুবান্ধব প্রমুখ কেউ
থাকতে পারবে না। তাদের পাত্রী দেখা সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ ও কবিরা গুনাহ।
দুই . পাত্র-পাত্রী একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে
পারবে। কিন্তু একে অন্যকে স্পর্শ করতে পারবে
না।
তিন. পাত্রীর শুধু কবজি পর্যন্ত হাত, টাখনু
পর্যন্ত পা ও মুখমণ্ডল দেখা পাত্রের জন্য বৈধ। এ
ছাড়া শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ আবরণ ছাড়া
দেখতে পারবে না।
চার. নির্জনে পাত্র-পাত্রী একত্রিত হওয়া বৈধ
নয়। সুতরাং যেখানে পাত্রের জন্যই এত শর্ত
রয়েছে, সেখানে ‘উকিল বাবা’ পাত্রী দেখার
তো প্রশ্নই আসে না। এমনকি পাত্রের প্রকৃত
পিতার জন্যও বিয়ের আগে তাঁর হবু পুত্রবধূকে
দেখা বৈধ নয়। (সুরা নিসা, আয়াত : ২৩,
তাফসিরে মাজহারি : ২/২৫৪)

শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭

স্বাধাীন আহম্মেদ ♥♥প্রথম দিনে মুখোমুখি সিলেট-ঢাকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক।

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
প্রথমবারের মতো বিপিএলে অংশ নিচ্ছে
সিলেটের মানুষের মালিকানাধীন কোন দল।
এবারের সিলেটের দলটির নাম সিলেট
সিক্সার্স। আর এবারই প্রথমবারের মত
সিলেটে আয়োজিত হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের
সবচাইতে রমরমা আসর বিপিএল। প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের লিলভিুমি চা বাগান আর
পাহাড়ে ঘেরা সিলেটের আন্তর্জাতিক
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ পর্দা উঠছে
এবারের বিপিএলের। স্বাগতিক সিলেট
সিক্সার্স এবং বিপিএলের বর্তমান
চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডাইনামাইটসের মধ্যকার
ম্যাচ দিয়ে আজ মাঠে গড়াবে বিপিএলের
পঞ্চম আসর। এরই মধ্যে সাতটি দলের হয়ে
বিপিএলে অংশ নিতে দেশের এবং বিদেশের
সেরা সব ক্রিকেটারের যেন মেলা বসেছে
সিলেটে। পুণ্যভুমি সিলেট এখন যেন
ক্রিকেটের ভুমি। এমনিতেই সিলেট
ক্রিকেটের অন্যতম উর্বর ভূমি। আর দেশের
ক্রিকেটের সে উর্বর ভূমিতে আজ মাঠে
গড়াচ্ছে বিপিএলের পঞ্চম আসর। বিপিএলের
আগের চারটি আসর বসেছিল রাজধানী ঢাকা
ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। ঢাকার শেরে
বাংলা স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের জহুর
আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সীমাবদ্ধ ছিল
আগের চারটি বিপিএলের খেলাসমূহ।
বিপিএলের আগের আসরগুলোতে বর্ণাঢ্য
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও
এবারের আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাদ
দেওয়া হয়েছে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য।
ফলে একেবারে সাদামাটাভাবে মাঠে
গড়াচ্ছে এবারের বিপিএল। তবে উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানের আকর্ষণটা না থাকলেও মাঠের
লড়াইয়ের আকর্ষণ কিন্তু ক্রমেই বাড়ছে
বিপিএলে। আর সে কারণেই কিনা বিপিএলে
ভিড় জমে তারকাদের। যদিও ভারতের
আইপিএলের মত অত বেশি সংখ্যার শীর্ষ ও
বিশ্ব তারকার সমারোহ নেই বিপিএলে
তারপরও যারা আছেন তারা সবাই বিশ্ব
তারকা। বিপিএলেও ভারত এবং
অস্ট্র্রেলিয়া ছাড়া সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের
নামি–দামি তারকার মিলন মেলা বসেছে।
এবারের আসরে ক্রিস গেইল, ব্রেন্ডন
ম্যাককুলাম, কুমারা সাঙ্গাকারা, শহীদ
আফ্রিদি, লাসিথ মালিঙ্গা, সুনিল নারিন,
কিয়েরন পোলার্ড, ড্যারেন স্যামি, লুক রাইট,
রবি বোপারা, হাসান আলি, সরফরাজ আহমেদ,
মোহাম্মদ হাফিজ, ফখর জামান আর মোহাম্মদ
আমিরের মত তারকারা থাকছে এবারের
আসরে। আর সে সাথে দেশের সব সেরা
তারকারাতো থাকছেই। সব মিলিয়ে জমজমাট
লড়াই হবে এবারের বিপিএলে তেমনটি বলাই
যায়। এবারের আসরে যে সাতটি দল অংশ
নিচ্ছে তারা হলো, ঢাকা ডাইনামাইটস,
চিটাগাং ভাইকিংস, কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্স, রাজশাহী কিংস, খুলনা
টাইটান্স, রংপুর রাউডার্স এবং সিলেট
সিক্সার্স। আর এই সাত দলের হয়ে খেলছে
বিশ্বের সেরা সব তারকারা। প্রথম দিনে দুটি
খেলা অনুষ্ঠিত হবে। দিনের প্রথম ম্যাচে
ঢাকা ডাইনামাইটসের প্রতিপ স্বাগতিক
সিলেট সিক্সার্স। আর দিনের দ্বিতীয়
ম্যাচে গত আসরের রানার্স আপ রাজশাহী
কিংস খেলবে রংপুর রইডার্সের বিপক্ষে।
বর্তমান বিশ্বে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট মানে
আনন্দ আর বিনোদনের এক পরিপূর্ণ প্যাকেজ।
টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট মানে চার আর
ছক্কার ফুলঝুরি। আর সে চার–ছক্কার
উম্মাদনা দেখতে দর্শকরাও হুমড়ি খেয়ে পড়ে
মাঠে। আইসিসির পরিবর্তিত নিয়ম, প্রযুক্তির
নতুন ছোঁয়া, দুটি দলের নতুন মালিকানা, আর
বিশ্ব তারকাদের সরব উপস্থিতি সব মিলিয়ে
নতুন এক আবহে শুরু হচ্ছে আইপিএলের পঞ্চম
আসর। বিপিএলের সিলেট পর্ব চলবে পাঁচ দিন।
তবে খেলা হবে ৪ দিন। আজ ও আগামীকাল
দু’দিন টানা খেলার পর ৬ নভেম্বর বিশ্রাম। ৮
নভেম্বর রাতেই শেষ হবে বিপিএলের সিলেট
পর্ব। এরপর বিপিএল পাড়ি জমাবে ঢাকায়। ১১
নভেম্বর শুরু হবে বিপিএলের ঢাকা পর্ব। চলবে
২১ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর বিপিএল চলে আসবে
চট্টগ্রামে। বন্দর নগরীতে খেলা শুরু ২৪
নভেম্বর। ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে
বিপিএল শেষ উত্তেজনার জন্য আবার ফিরবে
ঢাকায়। আর ফিরতি পর্বে ঢাকায় ১২
ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। সাত দল,
তিনটি ভেন্যু। ৩৯ দিন আর ৪৬টি ম্যাচ। আর
সবশেষ একটি মাত্র ট্রফি। সে ট্রফি কার
হাতে শোভা পাবে সেটা জানতে আপাতত
অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর
পর্যন্ত।

শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭

এ,কে,আজাদ♥♥♥♥বাস্তবতা বড়ই কঠিন♥♥♥♥

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
বাস্তবতা বড়ই কঠিন
লেখা জমা দিয়েছেন ২১ অক্টবর, ২০১৭ লিখেছেন,এ,কে,আজাদ


মানুষকে আপন ভেবে লাভ কি,

কাউকে হাঁসালে ভাবে পাগল,!

কাঁদালে ভাবে নিষ্টুর,

ঘনিষ্ট হলে ভাবে খারাপ মনোভাব..!!



হারিয়ে গেলে ভাবে বেইমান,

তাই একা থাকাই ভালো……!!!!


বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

Azadbd24.com: Take a look at why educators are inhuman because educators are inhuman.

Azadbd25.com: Take a look at why educators are inhuman because educators are inhuman Https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com

(শিক্ষিতরাও অমানুষ) কেনো শিক্ষিতরা অমানুষ হয়েছে তা এক নজরে দেখে নিন।

https://azadbd24.blogsopt.com

আমি মো: এ,কে,আজাদ, আমার কালজয়ী উপন্যাস (এ আবার কেমন মানুষ) থেকে নেওয়া, (কিছু খন্ড)
(শিক্ষিতরাও অমানুষ)

★★★ আজকাল আমাদের সমাজে নানা রকমের পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। রকমারি এসব পণ্যের সাথে নানা কিছু বিনামূল্যেও দেয়া হয়। ফলে পন্যের পসার কতোটা বাড়ে জানি না- তবে বিনামূল্যের বিচরণে বিনা মানে নানা কিছু ঢুকে পড়ছে আমাদের প্রতিদিনের জীবনে। সে ঢুকুক! আপত্তি নেই। অনেকেরই হয়তো আপত্তি আছে, থাকবেও- কারণ গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্ন মত থাকতেই পারে এবং তা প্রকাশেও কোনো বাধা দেখি না।
কিন্তু এ পণ্যের সমাহারে একটা বিষয় বেশ খটকা ঘটছে। এতোদিন বিষয়টা নিয়ে নানা জনে নানা কথা বলেছেন, কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে অনেক সেমিনার সিম্পোজিয়াম করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। উল্টো অনেককেই বিষয়গুলো নিয়ে নানা রকম বাজে মন্তব্য করেছি।
কিন্তু এবার সলতে পুড়ে নিজের শরীরে আগুন লাগছে। বার্ন ইউনিটের ডাক্তার জানিয়েছেন- পুড়ে গেছে অধিকাংশ অঞ্চল, তবুও আমাদের হুঁশ হয়েনি। কারণ যা পুড়েছে তার পুরোটাই আমাদের বিবেক; বিবেক পুড়লে আমাদের তো কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এখনো যদি সচেতন না হোন- তবে কিন্তু আসছে দিন বেশ খারাপ। এতটুকু নিস্তার পাবার জো নেই।
বিষয়টা কী? একটু খোলাসা করেই বলি। শিক্ষা। নিঃসন্দেহে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য চাহিদা। এতোটাই অপরিহার্য যে- শিক্ষার জন্য আমরা সুদূর চীন দেশে তো যাই-ই, কখনো কখনো নিজের দেশে থেকেই চীন দেশের সমান শিক্ষাব্যয় করে থাকি। সন্তান জন্ম নেবার পরই- বাবা মা অস্থির হয়ে যান- কোন স্কুলে পড়াবেন, ইঞ্জিনিয়ার না ডাক্তার হবেন তারপর কী হবেন- ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই সন্তানদের নিয়ে চলে বাবা-মায়ের জোর প্রচারণা। কিন্তু আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে- এই জোর প্রচারণার পর সন্তান আসলে 
কতোদূর এগোয়? কয়েন কদম?
প্রকৌশলি, চিকিৎসক, বিবিএ, এমবিএ ডিগ্রিধারী কিংবা সরকারি উচ্চপদস্থ চাকুরে- কিন্তু তারপর কী? এরপর কী আর কিছুই লাগে না। সনদই যথেষ্ঠ? একজন ঘুষখোর প্রকৌশলি নিয়ে মায়ের এতো গর্ব? কসাই চিকিৎসককে নিয়ে বাবা কী সুখ পান? কিংবা অপোগণ্ড সরকারি কর্মকর্তা- যে নিজের সুখের বিনিময়ে (?) নিজের দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে, তার কাছে কী প্রত্যাশা পরিবারের?
ভালো রেজাল্ট এখন সমাজের জন্য অপরিহার্য। আমি মানলাম- কিন্তু তারপর? তারপর কী হবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রুমানা ম্যাডামকে নির্যাতন করা পিশাচ হাসান সাইদ- সে ও তো প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা। ভালো ছাত্র না হলে তো সেখানে ভর্তি হওয়া যায় না। তাহলে এই ভালো ছাত্র কী করলো? এরকম নির্যাতন তো আমাদের দেশের শিক্ষিত বা তথাকথিত অশিক্ষিত ত্রিচক্রযান চালকেরাও করেন না। অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা- যাদের হাতে ন্যস্ত ছিলো দেশের ছাত্র রাজনীতির ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করে জাতীয় রাজনীতিতে অবদান রাখা- তারা তো টেন্ডারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। হলে হলে অবৈধ সিট বাণিজ্য করে। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা না-ই বা বললাম। কিন্তু তাদের করুণ দশাও আমাদের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হতাশাব্যঞ্জক।
অথচ- যদি আগের ইতিহাস পড়ি; কী সুন্দরই না ছিলো সেই দিনগুলো। সেই ষাটের কিংবা সত্তর দশকের শিক্ষার্থীরা। যাদের সামনে হাজার প্রতিবন্ধকতা ছিলো, কিন্তু তারপরেও তারা স্বার্থান্বেষী হয়ে মনুষ্যত্বটাকে জলাঞ্জলি দেয়নি। আর এখন? আমরা তো এখনকার শিক্ষার্থী; আমাদের মনুষ্যত্ব কোথায়?
নেই- বিক্রি করে এসেছি। ছেলেবেলা শুনেছি, মনুষ্যত্ব থাকলে নাকি অনেক টাকার মালিক হওয়া যায় না। তাই সেটাকে নিয়ে আর ভার বাড়াইনি। মাঝে মাঝে ভাবি- এমন হলো কেনো? অনেক ভেবে ঘুরে ফিরে একটা চিন্তাতেই এসে মন আটকে যায়। মনে হয় সেই কথাটা ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রেই স্বশিক্ষিত’। তাহলে আমাদের সুশিক্ষা নাই? আমার মনে হয় নাই; এবং এই না থাকার জন্য প্রথমত আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো দায়ি, দ্বিতীয়ত দায়ি আমরা এবং আমাদের পরিবার। এখন শিক্ষা বলতে যা বোঝানো হয়- তার মধ্যে কোনো নৈতিকতা বোধ থাকে না। ছেলেবেলা থেকেই একজন শিক্ষার্থী তার সহপাঠীকে পরীক্ষা হলে ভুল উত্তরটি দিয়ে আসে, এটা করে মূলত হিংসা বশত- ভাবে ‘আমার চেয়ে নম্বর সে কম পাবে’। তারপর পরীক্ষার খাতায় থাকে মায়েদের নির্লজ্জ নম্বর বাড়ানোর প্রতিযোগিতা। প্রশ্ন ফাঁস করে পরীক্ষা দেয়া তো এখন শহরের নামকরা স্কুলগুলোতে পানিভাত, আর সেই সাথে মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায়- আহা, সেখানে প্রশ্ন তো আউটই থাকে। তার মানে হলো- অনৈতিকতা, মিথ্যা বলা আমাদের শৈশবের মজ্জাগত। বুদ্ধদেব বসু তাঁর শৈশবে পেয়েছিলেন ‘কমেডি অব এররস’ এর বই; আর আমরা শৈশবে লাভ করি মিথ্যা, দুর্নীতি আর শয়তানির শিক্ষা। ওটাও এখন শিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। কিচ্ছু করার নেই।
তাহলে শিক্ষাটা দাঁড়ালো সনদ নির্ভর। বিশ্বের আর কোনো দেশে শিক্ষার এই সংজ্ঞা নেই। শিক্ষার সঙ্গে যে সংস্কৃতি এবং মানবিকতার একটা শক্ত যোগসূত্র আছে, সেটা আমাদের দেশের কেউ আর মানতে চায় না। একমাত্র আমাদের দেশেই সাহিত্য-দর্শন-ইতিহাস-বিজ্ঞান মানে ‘সিলেবাসের বাইরের বই’ কিংবা ‘আউট বই’। অথচ এসবের অভাবেই পুরো জাতিটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উচ্ছন্নে যাচ্ছে আর সেই সাথে আমাদের সভ্যতাকে গিলে খাচ্ছে শয়তানের হিংস্রতা। আমরা এর কোনো প্রতিকার আশা করি না; কেবল আহ! উহ! শব্দ করেই আমাদের দিনযাপন হয়।
আমাদের দেশে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তারা আক্ষরিক অর্থে কেবল সনদের জোরেই টিকে থাকে। নিজস্ব বিবেক বা বোধ মর্যাদা তাদের নেই। এই না থাকার জন্য শিক্ষার্থীরা দায়ি; কিন্তু তার চেয়ে বেশি দায়ি এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কাঠামো। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও এখন হয় মুদি দোকানদারের সেলসম্যান (মানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট টাইম খ্যাপ মারা) কিংবা রাজনৈতিক বচন বাজ (মানে লেজুড়বৃত্তি রাজনৈতিক কর্মকান্ড)। নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ শিক্ষকের থাকতেই পারে, চাইলে তাঁরা রাজনীতিও করতে পারেন- কিন্তু কেনো তাঁরা তাঁদের শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক বোধের জন্ম দিচ্ছেন না? তাঁদের কীসের ভয়? কীসের লজ্জা? নাকি তাঁদের নিজেদের বিবেক আর নৈতিকতাবোধ নেই তাই কীভাবে শিক্ষার্থীর মাঝে সেই শিক্ষা জাগাতে হয়- সেটা তাঁরা জানেন না।
আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয়- বুয়েটের একজন শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীদের কখনো প্রেমের গল্প বলেন কিনা, কিংবা কোনো মহৎ সাহিত্যের কথা বলেন কিনা। কখনো বলেন কিনা কোনো অপূর্ব কবিতার কথা। একাত্তরের কথা, কিংবা বাঙালির জাতীয়তাবাদ উন্মেষের সংগ্রামের সেই গৌরবগাঁথার কথা। যদি বলতেন, যদি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতেন নিজস্ব হৃদয় শক্তি দিয়ে জেগে ওঠার- তাহলে তো এমন ঘটনা ঘটতো না। এমন নিষ্ঠুরতা এমন হীন স্বার্থপরতা শিক্ষার্থীদের মাঝে থাকতো না।
রুমানা ম্যাডাম যে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন- এ রকম নির্যাতন ঘরে ঘরে ঘটছে। এখনো আমাদের দেশের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন নয়; আর হলেই বা কী- অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই তো মূল কথা নয়- মূল কথা হলো আত্মার স্বাধীনতা। যেখানে আত্মা বন্দী দাসত্বের শিকলে সেখানে সবই অর্থহীন। একেবারেই নাজুক। আমি মনে করি এসব ঘটনা সমাজের প্রতি স্তরেই ঘটছে এবং কোনো স্তরেই এর কোনো প্রতিকার ঘটছে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষার অভাবই যদি এর প্রধান কারণ হয়- তাহলে পিশাচ হাসান সাইদ তো শিক্ষিত- লেবাস আর সনদ তো আছে; সে কেনো এমন করলো? তাহলে তাকে কী শিক্ষা দেয়া হলো?
আমি তো মনে করি বাঙলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এখন জরুরি বৈঠকে বসা উচিত। তাঁরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমুচ্ছেন কীভাবে? তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কী শিক্ষা পাচ্ছে- যে তারা এমন করে পৈশাচিক কাজ সহজেই করতে পারে? তাহলে তো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় গলদ আছে বলে মনে হয়। না হলে শিক্ষিত সমাজ কেমন শিক্ষা নেয়?
শিক্ষা এখন পণ্য হয়ে গেছে; হয়তো চাহিদার চেয়ে তার সরবরাহও কমে গেছে- তাই পণ্যের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ফাঁকিবাজি আর ভুয়া কিসিমের ফরমালিন। যা খুশি তাই, যেভাবে খুশি সেভাবে এই পণ্য গছানো হচ্ছে আমাদের হাতে। হায় রে- আমরা হতে চেয়েছিলাম উদ্ভাবনী ক্ষমতা সম্পন্ন, আর নৈতিকতা বোধসম্পন্ন উঁচু মানের মানুষ- আর আমাদের শিক্ষা আমাদের বানিয়ে দিলো হাবিয়া স্তরের পিশাচ?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সময় কেবল জ্ঞান-বিজ্ঞানই নয়; সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের তীর্থকেন্দ্র বলা হতো। আর এখন- পুরোটাই হয়ে গেছে বাণিজ্যের তীর্থকেন্দ্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হয়- কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা আয়োজন করে না, করে ছাত্রলীগের (বা ক্ষমতায় থাকলে ছাত্রদলের) মদদে একপাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান- যাদের কোনো সাংস্কৃতিক জ্ঞান নেই। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয় না। হয় কেবল বিসিএস এর প্রতিযোগিতা, লাইব্রেরিগুলোতে বসার জায়গা থাকে না; কিন্তু লাইব্রেরিয়ান নাই- কারণ বই ইস্যু করতে হয় না। কেউ লাইব্রেরির বই পড়ে না, সবাই কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স আর বিসিএস পুস্তকে নিমজ্জিত কীট। আর বুয়েটের লাইব্রেরিতে তো টিউশনিও করানো হয়। হায় রে মেধাবীরা, তোরাই কিনা দেশের ভবিষ্যত! ধিক। এমন দেশের ভবিষ্যত তো কানা, চিরন্তন অন্ধ- অন্ধকারের চেয়েও গভীর অন্ধকার।
রুমানা ম্যাডামের উপর যা ঘটলো- তাতেই প্রমাণিত হয়, সনদ দিয়েই শিক্ষার মাপজোক করা যায় না। শিক্ষা হলো প্রকৃত মানবতার এবং ভেতরের নিজস্বতার উন্মোচন। এই উন্মোচন যদি না ঘটে- নিজস্ব সংস্কৃতির আলোকে, সাহিত্যের আলোকে- চেতনা আর ঐতিহ্যের আলোকে যদি আমরা না জাগি তাহলে আমাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ নয়, অর্ধ-সম্পূর্ণও নয়- একেবারেই অসম্পূর্ণ। আমাদের মনের মধ্যে তাই সংস্কৃতির আলো ফেলতে হবে, নিরন্তর প্রবহমানতার আলো- একেবারে সৃষ্টির প্রথম সূর্যালোকের মতো- যে আলো জেগে উঠেছিল চর্যাপদের প্রথম অক্ষরে, সান্ধ্য-ভাষার ভাঁজে ভাঁজে। যে আলো নানা পথ আর গতির প্রবাহ ঘুরে অবশেষে আরও ঋদ্ধ হবার জন্যে এসে দাঁড়ালো বঙ্গ সমতটের বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গনে। সেই আলো যদি গ্রহণ করতে না পারি, তাতে যদি নিজেকে উজ্জ্বল করতে না পারি তাহলে এমন শিক্ষিত হবার দরকার নেই। এমন শিক্ষিতদের মুখে থু দিতেও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম লজ্জা পাবে। এ বিষয়গুলো যদি না দেখেন- তাহলে সময় আর বেশি নেই; মানুষের তালিকার শেষের দিকে তো চলেই এসেছি, এখন হয়তো পশুরাও তাদের তালিকায় আমাদের মতো শিক্ষিতদের (তথাকথিত) আর রাখতে চাইবে না।

উৎসর্গ আমার বাবা মা,;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
 কারোন, অনারাদের সন্তান গুলোকে দেশ সেবায় নিয়োজিতো করেছেন। দুনাজপরেব বুকে একটি মাত্র পরিবার আছে।
দেশের জন্য কাজকরার জন্য আমাদেরকে



সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭

স্বাধীন আহম্মেদ★★ ঘটনা প্রসঙ্গে যা বললেন হাছান মাহমুদ

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
ঘটনা প্রসঙ্গে যা বললেন হাছান মাহমুদ

আজাদী প্রতিবেদন ।।

রাঙ্গুনিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়ি বহরে হামলাকারীরা স্থানীয় সাংসদ হাছান মাহমুদের ‘অনুগত’ বলে যে অভিযোগ বিএনপি করেছে তা অস্বীকার করেছেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতাদের গাড়ির ধাক্কায় দুজন আহত হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘প্রথমত এই ঘটনা যখন ঘটে তখন আমি বিমানে ছিলাম। বিমান থেকে নেমেই শুনেছি তাদের গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে।



এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত ঘটনা।’

এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ার সমস্ত লোকই তো আমার ভোটার। এখানে একটি প্রশ্ন আছে আমার। প্রথমত তারা পাহাড় ধস ঘটনার পর উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শেষ হওয়ার ছয়দিন পর এসেছেন। তাছাড়া ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানার ওসি তাদেরকে বলেছেন, কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে রাঙামাটি পৌঁছে দিবেন। কিন্তু তারা ফেরত গেছেন। তাই আমার জিজ্ঞাসা, তারা কি ত্রাণ দিতে ,এসেছেন, নাকি ঘটনা ঘটাতে এসেছেন।’ হামলার ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী-যুবলীগের কেউ দায়ী নয় বলেও জানান তিনি।

মাটির ঝুঁড়ি মাথায় হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ায়

এদিকে গতকাল বিকালে ড. হাছান মাহমুদকে রাঙ্গুনিয়ায় মাটির ঝুড়ি মাথায় নেতাকর্মীদের সাথে রাস্তা মেরামত কাজে দেখা গেছে।

আমাদের রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, উপজেলার পৌর এলাকায় নিজেই মাটি কেটে মাথায় নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও ধসে যাওয়া অবকাঠামো স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ড. হাছান মাহমুদ। পৌরসভার ৫নং ওয়াডের্র লক্ষ্মীর খিল গুচ্ছগ্রামের সড়ক মেরামতের মাধ্যমে এই কাজের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমার এলাকায় পাহাড় ধসে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আটটি ইউনিয়নের ৪৯টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারিভাবে এসব রাস্তা মেরামতের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও এই মেরামত কাজে যুক্ত থাকবে। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে সব কিছু মেরামত করা সম্ভব নয়। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দ্রুততার সাথে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ শুরু করায় সাধারণ মানুষ দুর্ভো্‌গ থেকে মুক্তি পাবে। তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দলের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাজ করবে।

মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৭

(পার্বতীপুর, দিনাজপুর আসিক মাহমুদ)দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় নতুন করে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.comবড়পুকুরিয়া খনি এলাকায় ফাটল, গ্রামবাসীরা আতঙ্কে

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় নতুন করে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

বড়পুকুরিয়া হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার বাঁশপুকুর, বৌদ্যনাথপুরম, শীবকৃষ্ণপুর গ্রামের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু এলাকা দেবেও যাচ্ছে।

খনি এলাকায় জীবন পরিবেশ ও রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো. মশিউর রহমান বুলবুল হামিদপুর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশপুকুর, বৌদ্দনাথপুরম, শীবকৃষ্ণপুর এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বিষয়টি খনি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত ৫ বছর আগে সরকার ওই এলাকার প্রায় ৬০০ একর জমি নতুন করে অধিগ্রহণ করে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রাম কয়লাখনির মধ্যে পড়ে যায়। তবে গ্রামের কিছু অংশ অধিগ্রহণ করা হয়নি। অধিগ্রহণ করা এলাকা থেকে কয়লা তোলার কারণে গ্রামগুলোর আবাদি জমি, রাস্তাঘাট, বাসাবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। গ্রামের মানুষদের এখন আতঙ্কে দিন কাটছে। অনেকে রাতে নিজ বাড়িতে না থেকে অন্যের এলাকায় গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে রাত যাপন করছেন। ইতিপূর্বে এমন ঘটনা ওই এলাকায় হওয়ার পরও এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে আন্দোলন করেছেন। সেই আন্দোলনের ফলে সরকার এলাকার মানুষকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। তবে সেই ক্ষতিপূরণ নিয়ে এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট নয়।

বলা হয়েছিল, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের জন্য নতুন করে কোল মাইনিং বিগ সিটি টাউন গড়ে তোলা হবে। যা দেখে এলাকার মানুষ খুশি হবে।

এ দিকে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এর প্রকৌশলী হাবীব উদ্দিন জানান, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কি পরিমাণ এলাকার ক্ষতি হচ্ছে কমিটি তা তদন্ত করে দেখবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে পূর্বের ন্যায় তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭

(স্বাধীন আহম্মেদ) আমি ঘুমাতে পারি না???????

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
সহস্রাব্দের নিষ্ঠুরতা
আমাকে অনুক্ষণ ক্ষত-বিক্ষত করে ;
আমি ঘুমুতে পারি না।
আমার দুটো শ্রান্ত আঁখি
তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে,
মুহূর্তেই বীভৎস স্বপ্ন দেখে আঁতকে উঠি ;
আমি ঘুমুতে পারি না।
মানুষ তো আমি !
কে বলবে এই কথা মিথ্যে ?
জেগে জেগে কত যে স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন !
দেখি আর ভেঙে যায়,
ভেঙে যায় আবার শুরু করি।
স্বপ্নের এই ভাঙা-গড়াতেই দিন চলে যায় ;
আমি ঘুমুতে পারি না।
২. মাক্কি আমার মা
মাক্কি,তুমি কেমন আছ জানতে ইচ্ছে করে,
দু'চোখ ভরে তোমায় শুধু দেখতে ইচ্ছে করে।
তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে,
পরান ভরে তোমার কথা শুনতে ইচ্ছে করে।
তোমার মুখে সুখের হাসি দেখতে ইচ্ছে করে,
তোমার কোলে সারা জীবন বাঁচতে ইচ্ছে

কেন হেলিকাপ্টারে উরে আনিয়ে বক্তাদের বিলাসিতা করতে হবে।

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com

নতুন এক প্রচলন শুরু হয়েছে। লাখ লাখ টাকা খরচ করে
বক্তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওয়াজ
মাহফিলে...
ব্যাপারটি আস্তে আস্তে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। লাখ
টাকার হেলিকপ্টারে উড়ে গিয়ে বক্তারা যখন ইনিয়ে-
বিনিয়ে বলেন, ‘আমার নবীর ঘরে খেজুর পাতার ছাউনি
ছিল! এক নাগারে তিনদিন নবীর চুলায় আগুন জ্বলত না!
পেটে পাথর বেঁধে দিনের পর দিন দ্বীনের কাজ করে
গেছেন আমার নবী...।’
তখন তাদের লজ্জা করে কিনা জানি না, আমরা শুনে
লজ্জা পাই। আমার যদি ক্ষমতা থাকত, তাহলে ফতোয়া
জারি করতাম, হেলিকপ্টারে গিয়ে ওয়াজ করা এবং
তাদের ওয়াজ শোনা- দুটোই হারাম! সাফ হারাম।
নতুন এক প্রচলন শুরু হয়েছে আজকাল। লাখ লাখ টাকা খরচ
করে বক্তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঘণ্টা
দুয়েকের জন্য। আমার মনে হয়, হেলিকপ্টারে করে গিয়ে
যাদের বয়ান করার শখ, তাদের বয়ান থেকে এক পয়সার
হেদায়েত আশা করা বোকামি। হেদায়েত মুখের কথায়
আসে না। হেদায়েতের সঙ্গে সহিহ নিয়ত এবং তাকওয়ার
(একনিষ্ঠতা) সম্পর্ক জড়িত।
বিশ্ববাসীর জন্য রহমত, আমার নবী দিনের পর দিন না
খেয়ে থেকে দ্বীনের কথা বলেছেন। সাহাবায়ে কেরাম
গাছের পাতা খেয়ে ওয়াজ করে বেড়িয়েছেন। আমরা
ছোট থেকে বড় হওয়ার পথে আমাদের বুজুর্গদের দেখেছি
মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে গিয়ে ওয়াজ করতে। এমনও
হয়েছে যে, ওয়াজ করে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিদায়
না নিয়েই চলে গেছেন। হাদিয়ার টাকা দেওয়ার জন্য
কর্তৃপক্ষ তাদের অনেককে খুঁজেও পায়নি।
আর এখন...
-১৫ হাজার, ২৫ হাজার, ৩০ হাজার...
-আগাম ফরম পূরণ, এডভান্স---বকেয়া...
গাড়ির তেল, ড্রাইভারের হাদিয়া, বিমানের টিকেট...
এভাবে যারা চুক্তির মাধ্যমে দরদাম করে ওয়াজ করে
বেড়ায় (বেড়ান নয়), সময় এসেছে তাদেরকে চিহ্নিত
করার। ওয়াজের দাওয়াত দিলে যারা আগাম টাকার
কথা বলবে- তাদেরকে মুখের ওপর ‘না’ বলে দিতে হবে।
আর এ কথা সবাইকে জানিয়ে দিতে হবে। বলতে হবে
অমুক বক্তা ওয়াজ করার জন্য, ইসলামের কথা শোনানোর
জন্য, কোরআনের বাণী শোনানোর, হাদিসে শিক্ষার
কথা আমাদের জানানো জন্য টাকা দাবি করেছেন।
আমরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছি; আপনারাও করুন।
দুই .
মাঝে-মধ্যেই শুনি এমন বক্তাদের সুবিধাভোগী কিংবা
তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কেউ কেউ বলেন, গান গাইতে
আসা শিল্পীদের লাখ লাখ টাকা দেওয়া হয়, সেখানে
আমরা কিছু বলি না। আর কোরআনের কথা বলা বক্তাদের
বেশি বেশি টাকা-পয়সা দেওয়া নিয়ে আমরা কেন কথা
বলি?
কিসের সঙ্গে কী মেলানো হয়! ওরা তো প্রফেশনাল
শিল্পী। ওরা গান গায়। ওরা হালাল-হারামের সূত্র
মেনে হারমোনিয়ামে সূর তুলে না। ওরা জান্নাত-
জাহান্নামের কথা ভেবে তবলায় থাবা মারে না। ওরা
মানুষকে বলে না- গান শুনে অশেষ নেকি হাসিল করুন।
আর ওদের সঙ্গেই যদি তুলনা দিতে হয়, তাহলে তেমন
বক্তাদেরও উচিত একটা করে আরবি ব্যান্ডের নাম
দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া। মানুষ জানতে পারবে- কার
রেট কত! খামাখা সময় নষ্ট হবে না।
হ্যাঁ, মানছি- বক্তারও পেট-পিঠ আছে। বউ-বাচ্চা আছে।
সুতরাং স্বেচ্ছায় কেউ যদি দশ-বিশ হাজার দেয়- সেটা
ভিন্নকথা। মানুষ কি কোনো বক্তাকে হাদিয়া না দিয়ে
বিদায় দেয়? এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। তবুও তাদের
জিহ্বা এত লম্বা কেনো?
তিন.
বাংলাদেশে হেলিকপ্টার ভাড়া প্রতি ঘণ্টা ৬০ থেকে
১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে ট্যাক্স,
ইন্সুরেন্স ও ওয়েটিং চার্জ। একসঙ্গে অনেক টাকার
হিসাব। এতগুলো টাকা একজন বক্তার পেছনে কোন
বিবেকে ঢালা হয়? কী লাভ হয়?
বলবেন, হেলিকপ্টারের ভাড়া ভক্তরা দিয়ে দেয়। প্রশ্ন
হলো, সেই সহজ-সরল ভক্তদের ব্রেইনটা ওয়াশ করল কে?
কে তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিল অমুক মাওলানাকে
হেলিকপ্টারে উড়িয়ে এনে ওয়াজ করালে সওয়াব হবে?
কেন সওয়াব প্রত্যাশী ওই সহজ-সরল দ্বীনদার মানুষটিকে
বুঝিয়ে বলা হয় না- বাবারে! তোমার গ্রামে খোঁজ
নিয়ে দেখ; কন্যাদায়গ্রস্ত অনেক পিতার রাতে ঘুম হয়
না। টাকাগুলো হেলিকপ্টারের পেছনে খরচ না করে ওই
মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করে দাও। নিশ্চিত কবুল হবে।
একটু খোঁজ নাও। দেখবে তোমার গ্রামেরই অনেক ঘরের
বাচ্চা দুইবেলা পেটভরে খেতে পায় না। পেটে ক্ষুধা
নিয়ে রাতে বিছানায় ছটফট করে ঘুমিয়ে যায়।
টাকাগুলো ওদের জন্য খরচ করো। আল্লাহ খুশি হবেন।
কিয়ামতের দিন বলবেন, বান্দা আমার কাছে আয়।
আমার অসহায় গরিব বান্দাকে তুই খাইয়েছিলি। তুই
আসলে তাকে খাওয়াসনি। আমি আল্লাহকেই
খাইয়েছিলি। আয় আমার কাছে আয়।
চার.
আজকাল অনেক মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলেও
হেলিকপ্টারে বক্তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ খোঁজ
নিলে দেখা যাবে, ওই মাদরাসার শিক্ষকের বেতন
বাকি কয়েক মাসের। বলি, এটা কেমন ন্যায়বিচার!
সারা বছর পড়িয়ে শিক্ষকরা ত্রিশ-চল্লিশ হাজারও
বেতন পান না। আর একজন বক্তা এসে এক ঘণ্টা গলা
বাজিয়ে এক লাখ টাকা সাবাড় করে চলে যাবে? হয় না।
হতে পারে না। হওয়া উচিত না।
তা ছাড়া মাদ্রাসায় এমন মূল্যের বক্তাদের দিয়ে ওয়াজ
করাতেইবা হবে কেন? এলাকার সাধারণ মুসলমানদের
ইসলাম, কোরআন ও হেদায়তের কথা বলে বোঝানোর
যোগ্যতা কি সেই মাদ্রাসার উস্তাদদের নাই?
হয়তো বলা হবে, উনাদের বয়ানে বেশি মানুষ এসে বসবে
না। বরং গীতিকার ও সুরকার টাইপ বক্তাদের নাম
পোস্টারে দিলে মানুষের ঢল নামবে। জলসা ভরপুর
কামিয়াব হবে! বলি-
কামিয়াবি কারে কয়?
উদ্দেশ্য কী ওয়াজের?
লাখো মানুষের সমাগম?
আলিশান ডেকোরেশন করে লোক দেখানো?
এ সব যদি ওয়াজ মাহফিলের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তাহলে
ঠিক আছে। যে দরের খরিদ, সেই দরেই বিক্রি হোক।
আর যদি ওয়াজ হেদায়তের উদ্দেশ্য হয়, খোদার কসম
করে বলি; সহিহ বোখারি-মুসলিম যারা পড়ান, তাদের
কথায় মানুষের মধ্যে যে প্রভাব পড়বে, গলাবাজ
বক্তাদের ওয়াজে তার দশমিক শূন্য শূন্য একভাগ প্রভাবও
পড়বে না। পড়ছেও না।
কী দরকার লাখ লাখ লোক জড়ো করে হাসি-কান্নার
কোরাস গাওয়ানোর, যদি না পরিবর্তন আসে! একশ’
লোক জড়ো হোক, পাঁচজন হেদায়ত নিয়ে ঘরে ফিরুক।
এটাই তো ভালো। এটাই তো সফলতা।

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

রিজার্ভ চুরির হোতারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরেই আছে।

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com

আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাংক তহবিল লোপাটের
মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির
ঘটনা।
চুরি হওয়া আট কোটি দশ লাখ ডলার চলে গিয়েছিল
ফিলিপিনের ব্যাংক ও জুয়ার বাজারে । সে অর্থ ফেরত
আনার জন্য তদ্বিরও করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বিষয়টি
এখন সে দেশে অনেকটাই স্থবির আছে।
এর দুটো কারণ আছে বলে জানালেন ফিলিপিনের
ইনকোয়ারার পত্রিকার অনুসন্ধানী সাংবাদিক
ড্যাক্সিম লুকাস, যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ
চুরির ঘটনা প্রথমে বিস্তারিত ফাঁস করে ব্যাপক
আলোড়ন তোলেন।
প্রথমত, ফিলিপিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে
গেছে। দ্বিতীয়ত: সে দেশের অনেক কর্মকর্তা মনে
করেন, ব্যাংক তহবিল লোপাটের সাথে বাংলাদেশ
ব্যাংকের কেউ-কেউ জড়িত।
বিষয়টি নিয়ে ফিলিপিন সংসদের উচ্চ-কক্ষ সেনেটে
বেশ কয়েকবার শুনানিও হয়। টেলিফোনে দেয়া এক
সাক্ষাৎকারে মি: লুকাস বিবিসি বাংলাকে
জানিয়েছেন, ফিলিপিনের আইন-প্রণেতারা গত
কয়েকমাসে বিষয়টিকে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
গত বছরের মাঝামাঝি ফিলিপিনে সাধারণ নির্বাচন
হয়েছে। সে দেশে নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাসীন
হয়েছেন। দেশটির সংসদের উচ্চ-কক্ষ সেনেটে এখন নতুন
নেতৃত্ব। ফলে পরিস্থিতি কিছুটা বদলে গেছে।
মি: লুকাস বলেন, " গত বছর শুনানি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে
যেসব সেনেটর ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের অনেকেই
সর্বশেষ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেন নি। বিশেষ
করে যে সেনেটর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন,
তিনিও নির্বাচনে জয়লাভে ব্যর্থ হয়েছেন।
ফিলিপিনের আইন প্রণেতারা এখন দেশের অভ্যন্তরীণ
নানা বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশের
চুরি যাওয়া টাকার নিয়ে শুনানির বিষয়টি এখন চাপা
পড়ে আছে।"
এ শুনানি সহসা শুরু হবে কি-না সে বিষয়ে কোন ধারণা
করতে পারছেন না ফিলিপিনের এ সাংবাদিক। সে
দেশের আইন প্রণেতারা বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের
অর্থ ফিলিপিনে কোথাও আছে। কিন্তু এটি খুঁজে বের
করার বিষয়ে কেউ কোন আগ্রহ পাচ্ছে না।
এ টাকা চুরির ঘটনায় কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফিলিপিন
কর্তৃপক্ষ সে দেশে মামলা দায়ের করেছে। এদের মধ্যে
আরসিবিসি ব্যাংকের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা
রয়েছে।
এখন এ মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে।
ফিলিপিনে যাওয়া টাকার মধ্যে কিছু টাকা
বাংলাদেশ ফেরতও পেয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ টাকা
এখনো পায়নি।
আরও পড়ুন: লন্ডন হামলা: এ পর্যন্ত আমরা যা জানি
গত বছরের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী
আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চুরির
টাকা উদ্বার করতে ফিলিপিনের সহায়তা পাবার
আশায় সে দেশ সফর করেছিলেন। কিন্তু তাতে খুব একটা
লাভ হয়নি বলে মনে হচ্ছে।
সাংবাদিক মি: লুকাস জানালেন, " বাংলাদেশের
প্রতিনিধি দলকে ফিলিপিনের তরফ থেকে বলা হয়েছে,
রিজার্ভ চুরির হোতারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে
আছে বলে তাদের ধারণা। বাংলাদেশ তদন্তে কী
ধরনের তথ্য পাচ্ছে সেটিও ফিলিপিনকে দেখানোর
জন্য বলেন সে দেশের কর্মকর্তারা।"
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ফিলিপিন সফর করার পর
সেখানে আর কোন অগ্রগতি নেই বলে উল্লেখ করেন এ
অনুসন্ধানী সাংবাদিক।
মি: লুকাস জানালেন, তার সাথে ফিলিপিনের সাবেক
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশের উচ্চ
পর্যায়ের যে প্রতিনিধি দলটি ফিলিপিন সফর করেছিল,
তাদের সাথে তখন বৈঠক করেছিলেন সাবেক এ মন্ত্রী।
ফিলিপিনের কিছু কর্মকর্তা বিশ্বাস করেন, যারা এ
অপরাধের সূচনা করেছিল তারা বাংলাদেশের
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরের লোক।
" সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, বাংলাদেশ
অযথাই ফিলিপিনের ঘাড়ে বেশি দোষ চাপাচ্ছে।
অপরাধীরা হয়তো ঢাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে তিনি
মনে করেন," বলছিলেন সাংবাদিক মি: লুকাস।
বাংলাদেশের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত জন গোমেজকে
ফিলিপিনের নতুন প্রেসিডেন্ট মৌখিক আশ্বাস
দিয়েছিলেন যে অর্থ উদ্ধারে ফিলিপিন সরকার
সহায়তা করবে।
তবে ফিলিপিন্সের নতুন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে
তার উপরই নির্ভর করছে বিষয়টি কোন দিকে এগুবে।
তাছাড়া আদালতে যে মামলা এখন থমকে আছে সেটি
কবে নাগাদ নিষ্পত্তি হবে সে বিষয়ে কিছু বলা মুশকিল
বলে উল্লেখ করেন ফিলিপিনের অনুসন্ধানী
সাংবাদিক ড্যাক্সিম লুকাস।
সুত্র----বিবিসি
http://www.bbc.com/bengali/news-39369659?ocid=socialflow_facebook

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭

খানসামর প্রতিনিধি:আজাদ/খানসামায় মানুষের বাড়ি পোরায় শামিমের আকুতি।

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
খানসামা উপজেলার ৩ নং আংগারপাড়া ইউনিয়ন এর সুর্বনখূলী গ্রামের হাজী পাড়ায় আনুমানিক ভোর ৩ টায় আগুনে পুড়ে যায় ৩০ টি পরিবারের সহায় সম্বল।।।অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানোর জন্য সকলকে অনুরোধ করছি।।।।।।https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=652838608237665&id=100005345941621

বুধবার, ২২ মার্চ, ২০১৭

(স্টাব রিপোর্ট:নাজমুল)পবিত্র কুরআনের আয়াত বিকৃতকারী প্রথম আলো পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানের দাবি জানিয়েছেন।

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
তাহফিজে হারামাইন পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি
মাওলানা সাদেক আহমদ সিদ্দিকী এক বিবৃতিতে
পবিত্র কুরআনের আয়াত বিকৃতকারী প্রথম আলো
পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কথাশিল্পী আনিসুল হক ‘ছহি
রাজাকারনামা’- নামে একটি ব্যঙ্গাত্মক রচনায় পবিত্র
কুরআনের কয়েকটি আয়াতকে মারাত্মক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ
করেছে। কথাশিল্প আনিসুল হক, তসলিমা নাসরিন, দাউদ
হায়দার ও ইসলাম বিদ্বেষী বvগারদের মতো পবিত্র
কুরআনের অবমাননা করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে
চরম আঘাত দিয়েছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
আর তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ, যে রাজাকার। নিশ্চয়ই রাজাকারগণের জন্যে অতীতের চাইতে ভবিষ্যতকে উত্তম করিয়া সৃজন করা হইয়াছে। অতএব তোমরা তোমাদের প্রভু পাকিস্তানের প্রশংসা করো; নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু পাকিস্তানীরা ক্ষমাশীল।

যখন তোমাদিগকে বলা হইবে নেতা নির্বাচন করো, তখন তোমরা সেই ব্যক্তিকেই নির্বাচন করিবে, যাহার রাজাকারগিরি প্রমাণিত। আর তাহার মতো মূর্খ কে আছে, যে রাজাকার চিনিয়াও তাহাকে সম্মানিত না করিলো, আখেরে ইহারাই হইবে অভিশপ্ত। ইহাদের জন্যে সুকঠিন দারিদ্র্য অপেক্ষা করিতেছে। আর যে ব্যক্তি রাজাকার চিনিলো, এবং তাহাকে সম্মান করিলো, এবং তাহার পদাঙ্ক অনুসরণ করিলো, ইহাদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে সুমিষ্ট ফল, সুন্দরী রমণী আর সুদর্শন পুরুষ।

অনন্তর তোমাদের মধ্যে একটি স্বতন্ত্র গোষ্ঠীর সৃষ্টি হইবে যাহারা রাজাকারী রজ্জু উত্তমরূপে ধারণ করিবে, আর যাহারা রাজাকারী তরিকা আদমদিগের মধ্যে উত্তমরূপে প্রচার করিবে। যাহারা রাজাকার হিসাবে বাহির হয়, তাহারা শান-শওকতের পথে চলে।

সেই ব্যক্তিই উত্তম রাজাকার, যে বিবাহ করিবে একটি, দুইটি, তিনটি, চারটি, যেরূপ সে ইচ্ছা করে আর তাহার জন্যে বৈধ করা হইয়াছে ডান হাতের অধিকারভূক্ত দাসীদের, আর তাহারা ভোগ করিতে পারিবে বাঙ্গালী রমণীগণকে, অপিচ তাহাদের সহিত আদল করিবার দরকার হইবে না। স্মরণ রাখিও, মালেগণিমতগণের মহিত মিলিত হইবার পথে কোনরূপ বাধা থাকিলো না।

আর মনে রাখিবে, যে রাজাকারী পথে বাহির হয়, সে একা নহে, সৌদি-মার্কিনীরা তাহার সঙ্গে রহিয়াছে। সেই ব্যক্তি হতভাগ্য, যে রাজাকার হইতে সাহস করিলো না এবং মনে মনে বলিলো যে, আমি রাজাকার হইবো না, কেননা পশ্চাতে লোকে আমাকে গালি দিবে। আর প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার একেকটি আঙুলের জন্যে রহিয়াছে দশ দশটা পুরস্কার, আর যে ব্যক্তি একজন মুক্তিযোদ্ধার ডানপাঞ্জা কাটিতে সক্ষম হইলো, তাহার বরাতে ৭০ গুণ বেশি পেট্রোডলার লেখা হইলো। নিশ্চয়ই তোমাদের জন্যে রাজাকারী কাজের জন্যে পুরস্কার রহিয়াছে।

আর তোমরা কি অতীত হইতে শিক্ষাগ্রহণ করিবে না? গ্যালিলিও নামের এক পাপিষ্ঠ অতীতে সত্য অস্বীকার করিয়াছিল, এবং সে কি প্রাপ্ত হয় নাই চরম শাস্তি? আর রাজাকারগণ যাহাকে শাস্তি দিতে ইচ্ছা করেন, তাহাকে নিজ হস্তে শাস্তি দেন। আঙুল কাটিয়া ফেলা হইতে শুরু করিয়া মুণ্ডু কাটিয়া ফেলা - বিপথগামীদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে ভয়ঙ্কর শাস্তি। আর তোমরা কি সেই গোষ্ঠীর বংশধর নহ, যাহারা অতীতে তিরিশ লক্ষ বেদ্বীনকে কতল করিয়াছে? নিশ্চয়ই আমগাছ হইতে আম এবং রাজাকার গোষ্ঠী হইতে রাজাকার উৎপন্ন হয়।

অচিরেই দেশে নিখিল পাকিস্তান রাজাকার সংসদ গঠিত হইবে। আর রাজাকার কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে সকল লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছাড়িয়া দেওয়া হইবে। আর রাজাকার প্রার্থীদের জন্যে চাকুরির বয়সসীমা আটত্রিশ বছর করা হইবে। এবং অবস্থা অচিরেই এইরূপ হইবে যে, রাজাকার সার্টিফিকেট নকল করিয়া লোকে রাজাকার সাজিতে থাকিবে। তখন সুন্দরী রমণীগণ সেনাকর্তাদের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইহবার বদলে রাজাকার বরের স্বপ্নে ঘামিতে থাকিবে। কন্যাবৃন্দের মাতাগণ রাজাকার জামাতার গর্বে পাড়া মাতাইবে।

অচিরেই কাহার কল্লা থাকিবে কাহার থাকিবে না, তাহা নির্ধারণের দায়িত্ব ‘ছাই-দি’ ‘ছা-য়েব’দের হস্তে অর্পিত হইবে। আর যে ব্যক্তি দাড়িপাল্লায় ভোট দিলো, সে-ই মাসুম শিশু হইয়া গেল। ব্যালট পেপার তাহার ডান হাতে আসিবে। ব্যালট পেপার দেখাইয়া স্বর্গে প্রবেশ করা যাইবে। যে ব্যক্তি রাজাকার তহবিলে চাঁদা দিলো, সে-ই ৭০ গুণ ফেরত পাইলো। চাঁদার রসিদ দেখাইলে স্বর্গের দুয়ার খুলিয়া দেওয়া হইবে। আর তোমরা রাজাকারের প্রশংসা করো, আর রাজাকারদের সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই রাজাকারদের তহবিল পরিপূর্ণ। তাহারা তোমাদিগের মাসোহারার ব্যবস্থা করিয়া দিবে। এবং তোমরা রাজাকার মাহাত্মে বিশ্বাসীগণের নিকট জানাইয়া দাও যে, তাহাদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে উত্তম শরাব।

আর তোমরা মওদুদীবাদ উত্তমরূপে কল্বের মধ্যে গাঁথিয়া ফেলো। তিনিই শেষ দার্শনিক, ইহার পর আর কোনো দার্শনিক আসিবে না। অতপর তাহার দেওয়া ব্যাখ্যাই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

অচিরেই রাজাকার দেশের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হইবে, এবং অচিরেই সকল কুফরি মতবাদ প্রচার ও শিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষিত হইবে। আর তখন তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, বলো, তোমাদের দেশ কি? তোমাদেও মধ্যে যাহারা খাঁটি রাজাকার, তাহারা বলিবে, কেন, পাকিস্তান? পুনরায় তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, তোমাদের দলপতি কে? তোমাদের মধ্যে যাহারা কল্যাণময়, তাহারা বলিবে, কেন, মওদুদী? পুনরায় তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, তোমাদের দলপতি কে? তোমাদের মধ্যে যাহারা ইহলোকের ভালো বোঝে, তাহারা জবাব দিবে, কেন, গোলাম আযম? আর তাহাদের জন্যে সুসংবাদ। তাহাদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে রাষ্ট্রের শীর্ষপদ আর অনন্ত যৌবনা নারী আর অনন্ত যৌবন তরুণ। কে আছেন, যে উত্তম সন্দেশ, মসৃণ তলদেশ ও তৈলাক্ত গুহ্যদেশ পছন্দ করে না।

অনন্তর সমস্ত প্রশংসা রাজাকারগণের, যাহারা রক্ত হইতে তখ্ত কায়েম করে।
(আনিসুল হক) http://bit.ly/2mZxwHQ
http://bit.ly/2nIZDej

শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০১৭

(এ,কে আজাদ)আবার বাংলাদেশ আনসার ভিডিপিতে বিশাল নিয়োগ(পোষ্ট ১৪৯৫)১৭-৩-২০১৭

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
Bangladesh Ansar VDP published a job circular. A attractive
job circular published the Bangladesh Ansar VDP. Joining
the smart and big Govt. service team of Bangladesh Ansar
VDP. Bangladesh Ansar VDP is now very dependable Govt.
service team in Bangladesh. Bangladesh Ansar VDP Job
Circular 2017 related all information is found my website
HTTPS://AZADBD24.BLOGSPOT.COM
Published Date: 17 March 2017
Application Deadline: 20 tt
o 28 March 2017
Age: See The Circular
Total Post : 1495
Job Location: Bangladesh
Bangladesh Ansar VDP Job Circular 2017
To get Latest Job Update on Facebook Like our
Facebook Page

সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭

(স্বাধীন) আসিফ:-মিথ্যে অভিযোগে করেছো অপরাধী আসলে যা সত্যি নয়।

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com

শিল্পীঃ আসিফ আকবর
এ্যালবামঃ প্রিয়া কাছে নাই
মিথ্যে অভিযোগে করেছো অপরাধী
আসলে যা সত্যি নয়
কষ্টের কাঁটাতারে রেখেছো বেঁধে
ক্ষত বিক্ষত এ হৃদয়
এতোটা দুঃখ না দিলেও পারতে
ভাঙ্গা মন কি করে তাস হয়
ভুল সবই ভুল মন, ভুলেরই কারাগারে
একে একে কাটছে প্রহর, ঝড় বয়ে যায় প্রেম
নিয়তির পরিহাসে, জড়ালো দুঃখেরই চাঁদর
কেউ জানে না শুধু, তুমি তো জানো
পাইনি সুখের আশ্রয় .......
নীড় হারা পাখি হয়ে, কাটে দিন অবশেষে
একাকী বিরহের চরে, যায় প্রেম ভেসে যায়
চোখের জলের সাথে, তবে কি যাবে প্রেম মরে
বিশ্বাস অবিশ্বাসের মাঝে, মন কেঁদে বলে
এখনো আমাকে তুমি ভাবো নিশ্চয়
এই ব্লগে লিখেছেন (স্বাধীন)

শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭

বিশেষ রিপোর্ট : এই মাত্র পাওয়া১৭সালে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ।

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
পুলিশ বাহিনীতে দশ হাজার কনস্টবল নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তি-২০১৭
“জন নিরাপত্তার বিধান ও সেবার মহান ব্রত নিয়ে
বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিন” এই আহ্বান জানিয়ে ১০,
০০০(দশ হাজার) ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টবল (টিআরসি) পদে
নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ
পুলিশ। এর মধ্যে ৮,৫০০ পুরুষ এবং ১,৫০০ নারী প্রার্থীকে
বাছাই করা হবে। প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে
এস এস সি পাশ।আবেদনের জন্য শেষ তারিখ ১৭ এপ্রিল
২০১৭।
এসব উল্লেখ করে আজ বিজ্ঞাপন চ্যানেল আজাদবিডি২৪.কম
জবপোস্টিং -এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন চ্যানেলে এই
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পোষ্ট করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
আসুন দেখে নেই বাংলাদেশ পুলিশ-এর নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তিটি।

(আজাদবিডি২৪)স্টাব: মাধ্যমিক পাশেই পুলিশে( ১০.০০০) হাজার কনস্টেবল পদে নিয়োগ

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে
জনবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হবে।
 ৮-১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়
বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। পুরুষ কনস্টেবল ৮ হাজার ৫০০
এবং নারী কনস্টেবল ১ হাজার ৫০০ জন নিয়োগ দেয়া
হবে।
প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলায় শারীরিক মাপ ও
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শেষে বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তারিখ
অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে
হবে।
প্রার্থীর যোগ্যতা :
বয়স :
সাধারণ/অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ০১/০৪/২০১৭
তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর (০২/০৪/১৯৯৯ হতে
০২/০৪/১৯৯৭ এর মধ্যে জন্ম)। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে ০১/০৪/২০১৭ তারিখে
৩২ বছর হতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা :
এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ
২.৫, বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে ও অবিবাহিত হতে
হবে।
শারীরিক মাপ :
সাধারণ ও অন্যান্য কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৬
ইঞ্চি, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪
ইঞ্চি, উপ-জাতীয় কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।
নারী প্রার্থীদের সকল কোটা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি
শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে সঙ্গে যা
যা আনতে হবে :
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূল
কপি। ইউনিয়ন পরিষদের পরিষদের চেয়ারম্যান/সিটি
কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর
কর্তৃক স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূল কপি।
প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি (যদি না থাকে
মাতা/পিতার পরিচয় পত্রের মূল কপি)। সরকারি
গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ৩ কপি সদ্য তোলা
পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা। ১-২২১১-০০০০-২০৩১ নম্বর কোডে
ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাপূর্বক চালানের কপি
আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে
পিতা/মাতা/পিতামহ/ মাতামহের নামে ইস্যুকৃত
মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের মূল কপি যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী
কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও প্রতি স্বাক্ষরিত হতে হবে।
পুলিশ পোষ্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পিতা/
মাতার নাম, পদবী, বিপি নম্বরসহ কর্মরত ইউনিটের
প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্রের মূল কপি সঙ্গে আনতে।
আনসার ও ভিডিপি কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪২
দিন মেয়াদী প্রশিক্ষণের মূল সনদপত্র আনতে হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি :
নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে দৌড়, রোপিং ও
জাম্পিং ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরৎলিখিত
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে (ন্যূনতম ৪৫% মার্ক
প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে)। লিখিত
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক
ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
নির্বাচন পদ্ধতি :
লিখিত মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত
নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে
নির্বাচিত করা হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য
পরীক্ষায় বিবেচিত হলে প্রশিক্ষণের জন্য
প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হবে।
প্রশিক্ষণকালীন সুবিধা :
প্রশিক্ষণকালীন বিনামূল্যে পোষাক সামগ্রীসহ থাকা,
খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা দেয়া হবে এবং ৭৫০/-টাকা
হারে প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়া হবে।
নিয়োগ ও চাকরীর সুবিধাদি :
প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন
স্কেলের ১৭তম গ্রেড (৯০০০-২১৮০০/-) টাকা ও অন্যান্য
বেতন-ভাতাদিসহ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে
নিয়োগ করা হবে। বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রী ঝুঁকি
ভাতা, চিকিৎসা ভাতা সহ রেশন সামগ্রী স্বল্প মূল্যে
দেয়া হবে।
https://azadbd24.blogspot.com

শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০১৭

(এ,কে,আজাদ)সারা জীবনের ভুল

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
রক্তাক্ত হৃদয়ের রক্ত-ক্ষরণ আমার আজও থামেনি, আজও
থামেনি আমার ভুলের সাগরে ফুলের-তরী ভাসানোর
নিস্ফল আয়োজন। ভুল করে ভুলে গিয়ে কস্টের বালুচরে
নিজের নিয়তির বসতি গড়ে চলেছি আজ অবধি।
পলাতীত স্বপ্নবিলাসী ফ্রিজ মন আমার অস্বীকার
করিনা। আল্লাহর অশেষ কৃপায় একজীবনে নিজের
অবস্থানটাকে চাওয়া-পাওয়ার অনেক উপরে উঠিয়ে
এনেছিলাম নিজের যোগ্যতায়। নিজেকে অনেকের
কাছেই উদাহরণ হিসেবে দাড় করিয়েছিলাম এই বয়সেই।
https://mobile.facebook.com/azadbd24com/
পরিশ্রম করে অজ্বন করেছি আর ভুল করে হারিয়েছি। ভুল
করে সারাটা জীবন শুধু ভুল মানুষগুলোকে কাছে
টেনেছি।
আমার অবুঝ ভুলগুলো আমার জীবনটাকেই আমার কাছে
অচেনা বানিয়ে দিলো।
জন্মানোতে হয়তো আমার কোনো হাত ছিলোনা বলেই-
ভুল করে জন্মেছি এটা বলার কোনো সুযোগ নেই। জন্মের
পর থেকেই শুধু নিয়ম করে করে ভুল করেই চলেছি।
এতোটাই সাধারণ জীবন যাপন করতে চেয়েছিলাম যে-
ব্যাপারটা ভাবতেই আমার অসাধারণ লাগতো।
মানুষই ভুল করে। ভুল করে আবার ভুল শুধরায়। ভুল থেকেই
ভুল না করার শিক্ষা নেয়। কিন্তু আমি তা পারিনি।
পারিনি বলেই পুনরায় ভুল করি।। আমার বুকের লালিত
সাজানো ছোট ছোট স্বপ্নগুলোকে কস্টের সুতোয় গেঁথে
ভুলেরই মালা বানাই। একটা জীবনে মানুষ যতটা ভুল
করতে পারে, আমি হয়তো তারও সীমা ছাড়িয়েছি।
নিজের ভুলগুলো কারো ঘাড়ে ছাপিয়ে দায়মুক্তি
চাইনি বলেই- আজও আমি চন্নছাড়া। দেহ নামের
স্ট্যালিয়নটা আজ আমার বেজায় অবসন্ন। প্রতিক্ষার
আকাশে কালো মেঘের হাতছানি। অন্ধকারের ঘনঘটা
আমার আলোময় ভুবনে।
এবার ঘুরে দাঁড়াতে চাই! আরও একবার ঘুরে দাঁড়িয়ে
জীবন থেকে ভুলগুলোকে ছুটি দিতে চাই। ভুলের তরী
ডোবাতে চাই কস্টের অতল সাগরে। ভুলের মালা গলায়
জড়িয়ে জীবনটাকে ভবিষ্যৎ এর হাতে বিসর্জন দিতে
চাইনা- নিজের স্বপ্নগুলোকে কাচের টুকরো করে!!

(এ,কে,আজাদ) মানুষ হওয়ার লোভ আমার আজ গেলো না।


সময়ের স্রোতে পা থমকে দাড়ায়
রোদ্রময় আকাশের নিচে।
সেই সময় টুকু নেই আজ আমার
মানুষ হওয়ার লোভে।
দিনের পর দিন ছুটে বেড়ায়
মানুষ হওয়ার জয়ে।
মানুষ করিবে কে আমায়? কোন
মানুষ?
মানুষ আছে কি এদেশে।
মানুষ হওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে শুনি
হাজার মহাকাব্যের বাণী।
সেই তো মানুষ নয়। মানুষের
বানানো
পরিবতিত এক নকল মনি।
বিবেক আমার পতিত হয় গুরুর
বিবেকে
শিক্ষা দেয় রক্তের লড়াই
সেই না কি আসল মানুষ? মানুষের
জগতে
কেমনে মানুষ গড়ায়।
ব্যস্ত জীবন চলার মাঝে রক্ত
ক্ষয়ে
শিখব কেন এমন লড়াই।
মানুষ শিখবে, প্রকৃত মানুষ দেখে
এমনি মানুষ খুজে বেড়ায়।

রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কলঙ্ক ময় পিলখানা হত্যা দিবস আজ?????

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
কলঙ্কময় পিলখানা হত্যা দিবস আজ।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময়
একটি দিন। ২০০৯ সালে এই দিনে পিলখানায় তৎকালীনতৎকালীন
বিডিআর সদর দপ্তরে শুরু হয় বিডিআর বিদ্রোহ।
বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ওই বাহিনীর ৭৪
সদস্য নিহত হন।
ওই দিন সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে দরবার হলে চলমান
বার্ষিক দরবারে একদল বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিক
ঢুকে পড়ে। এদের একজন বিডিআর মহাপরিচালকের বুকে
আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। বিডিআরের বিদ্রোহী
সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে
ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে
তাদের পরিবারকে জিম্মি করে ফেলে। পুরো
পিলখানায় এক ভীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়।
চারটি প্রবেশ গেট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে
আশপাশের এলাকায় গুলি ছুড়তে থাকে বিডিআরের
বিদ্রোহী সৈনিকরা। তাদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে
পড়ে মেধাবী সেনা কর্মকর্তারা। পিলখানা পরিণত হয়
রক্তাক্ত প্রান্তরে।
টানা ৩৬ ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবেলার পর
২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে আসে। আলামত মুছে
ফেলতে লাশ পুড়িয়ে দেয়া, গণকবর, ম্যানহোলে ফেলে
দেয়াসহ নানা পদক্ষেপ নেয় বিদ্রোহীরা। ২৬
ফেব্রুয়ারি পিলখানা থেকে আবিষ্কৃত হয় গণকবর।
গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ।
লাশ আর পিলখানার ধ্বংসযজ্ঞ দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়
সারাদেশের মানুষ।
এ ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়। এসবের মধ্যে বিদ্রোহ
ও হত্যা মামলার রায় হলেও বিস্ফোরক মামলার রায়
এখনও হয়নি। মামলাটি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন
রয়েছে। এ মামলার ৮৩৪ আসামির মধ্যে ২০ জন এখনও
পলাতক।
বর্ডার গার্ড আইনে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ সাজা রাখা
হয় মৃত্যুদণ্ড। বিদ্রোহের ঘটনায় করা হত্যা মামলায়
বিশেষ আদালত ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবনযাবজ্জীবন
ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়।
পিলখানায় এই বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বাহিনীটির
সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে যায়। বিডিআরের নাম,
পোশাক, লোগো, সাংগঠনিক কাঠামো, পদোন্নতি
ইত্যাদি ব্যাপারে পুনর্গঠন করা হয়। নাম পরিবর্তন করে
রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এছাড়া
পরিবর্তন করা হয় বিডিআর বিদ্রোহের আইন।
সরকার বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাটিকে ‘পিলখানা
হত্যা দিবস’ হিসেবে প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি
হাতে নেয়া হয়েছে।
নিহতদের স্মরণে নানা কর্মসূচি
বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে আজ নানা
কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে
শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় পিলখানাসহ
বিজিবির সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের
ব্যবস্থাপনায় বাদ ফজর খতমে কোরআন; বিজিবির সব
মসজিদে এবং বিওপি পর্যায়ে দোয়া ও মিলাদ
মাহফিল।


সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় শনিবার সকাল ৯টায়
বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি,
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন
বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র সচিব
এবং বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের
স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন রেজা জানান,
দুই দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন রবিবার বাদ আসর
পিলখানাস্থ বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার
মিলনায়তনে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান কামাল।
 শেয়ার করুন।

বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
আহম্মেদ)
টংগুয়া<খানসামা>একটি বাস্তব মনের
কথা। মাগো মনে পড়ে তোমায়
https://
facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
লেখক,(এ,কে,আজাদ) খুব মনে পড়ে মাগো♥♥♥♥♥
গায়ে জ্বর নিয়ে তোমায় লিখছি মাগো।
তোমায় চিঠি লিখছি কেনো, জানো মা?
ফোনে যদি তোমাকে বলি আমার জ্বর হয়েছে,
তাহলে তুমি অনেক চিন্তা করবে। বাবাও
করবে। দুজনরই তো বয়স হয়েছে, নাকি? কিন্তু
তোমাকে না বললে যে
জানটা বের হয়ে যায়।
মা, তুমি কেমন আছ?
আচ্ছা মা, আমাদের লিপু কেমন আছে?
একটা নয়তো, অনেক জন।বাড়ি ভর্তি মানুষ মানুষগুলোকে
অনেক মিস করছি। মা,আসফির জর কমেছে তার কী খবর?
গতবার অনেক গতবার অনেক কেদেঁছিলো পাগলিটা।
মামাদের
বাড়িতে আমার জন্য তোমার  কান্নাটা আজ আমাকে
কাদিয়ে যায় । খুব
মনে পড়ে মাগো।জানি তুমি আর বাবা ছারা আমায়
কেউ মিস করে না।
মা, ওদের জিজ্ঞেস করো তো, ওরা কি আমাকে
খুব মিস করে?
হলদে পাখিটা কি আমাকে মিস
করে? সন্ধ্যার জোনাকির দল কি আমার কথা
ভাবে? তোমার সঙ্গে প্রতিদিনই ওদের কথা হয়,
দেখা হয়। জিজ্ঞেস করো তো, জোছনা রাতের
কবিতার মতো চাঁদটা আমার জন্য অপেক্ষা করে
নাকি? বাবা এতো বেশি বয়সে বাড়ির অনেক কাজেই
করে।আমি আমার বাবাকে নিয়ে গর্বিত, মা।
সহজ, সরল, মাটির মানুষ। সৎ-পরিশ্রমী ও
দায়িত্বশীল একজন বাবা। মা, বাবা হয়তো
আমাকে ছোটবেলায় অ, আ, ক, খ পড়ায়ছিলো, সেই
সুযোগটা আমার হয়েছে।
জীবনের সবচেয়ে সোনালি সময়টা ত্যাগ
করেছে আমাদের সুখের জন্য। তবে বাবার কাছ
থেকে আমি শিখেছি ত্যাগ আর ভালোবাসা।
প্রিয় মানুষের জন্য ত্যাগ আর তাদের জন্য
অপরিসীম ভালোবাসা।
মা, আমিও বাবার মতো সবাইকে ভালোবাসতে
চাই। সবার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে চাই।
সবাইকে ছুঁয়ে যেতে চাই।
মা জানো, নিজেকে মাঝেমধ্যে তোমাদের
কাছ থেকে খুব দূরে দূরে মনে হয়। কারণ,
তোমাদের জন্য এখনো কিছু করতে পারিনি
আমি। আমার বড় ভাইগুলো অনেক ভাগ্যবান। ওদের
জন্য আমি খুব গর্ব অনুভব করি। যদিও কনো ভাই বলে
আমারএকটা সংসার আছে আমি আর পারবনা
তবু একজন কী একজন তোমার পাশে থাকেই, বাবার মতো
ও খুব ত্যাগী আর সৎ। দারুণভাবে গোটা সংসার
চালিয়ে নিচ্ছে। তুমি দেখো মা, আমি আমার
লক্ষ্য ছোঁব, তোমাদের সবাইকে খুশি করব। শুয়ে
শুয়ে লিখছি বলে আঙুলে ব্যথা হচ্ছে, মা।
তোমার দোয়ায় যেন তাড়াতাড়ি জ্বর সেরে
যায়, আবার যেন হাসতে পারি।
ইতি, তোমার আদরের ছেলে।
Google-এ এটির সুপারিশ করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি লিঙ্ক তৈরি করুন
কোন মন্তব্য নেই:
https://facebook.com/
akakishadhin.akakishadhin.com
অনুসরণকারীরা (1)
অনুসরণ
অনুসরণকারীazadbd24.com
অনুসরণকারী
http://azadb24.com
azadbd24.com
https://azadbd24.com
অনুসন্ধান
www.azadbd24.blospot.com
Azad bd24
আমি বাংলাকেই ভালোবাসি
২টি চেনাশোনা
Google a.k.azad
বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট লেখক মো:আবুল
কালাম আজাদ
(স্বাধীন আহম্মেদ)
টংগুয়া<খানসামা>একটি বাস্তব মনের
কথা। মাগো মনে পড়ে তোমায়
Azad bd24
2টি চেনাশোনা 6
আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন
আমি একজন সাধারন ঘরের ছেলে,আমি
চাই আমার কাছ থেকে কেউ যেন কষ্ট না
পায়,
▼ 2017 (13)
▼ February (5)
(স্বাধীন আহম্মেদ)
টংগুয়া<খানসামা>একটি বাস্তব
মনের ...
বসন্ত এলো প্রানে,তাইতো হারিয়ে
যেতে চায় মনটা অচেনাত...
এক নজরে ৩৭ তম জাতীয় সমাবেশে
আনসার ভিডিপির পরিচিতি
স্বাধীন আহম্মেদঃসবাই বিপদে পরলে
খোজ করে?
স্বাধীন আহম্মেদঃসবাই বিপদে পরলে
খোজ করে?
► January (8)
► 2016 (26)
https://azadbd24.blogspot.com
অনুসন্ধান
https://www.azadbd24.blospot.com
অনুসন্ধান

(স্বাধীন আহম্মেদ) টংগুয়া<খানসামা>একটি বাস্তব মনের কথা। মাগো মনে পড়ে তোমায়

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
লেখক,(এ,কে,আজাদ) খুব মনে পড়ে মাগো♥♥♥♥♥

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বসন্ত এলো প্রানে,তাইতো হারিয়ে যেতে চায় মনটা অচেনাতে

(স্বাধীন আহম্মেদঃ)খানসামা♥দিনাজপুর।
ভালোবাসা মানে নীল প্রজাপতি, ভালোবাসা মানে
হার মানা ক্ষতি, ভালোবাসা মানে রূপালী উজান,
ভালোবাসা মানে জোসনার গান, ভালোবাসা মানে
উষ্ণ স্রোতে বরফ গলা নদী...।
কণ্ঠশিল্পী আসিফের গানের কথামালার মতই
ভালোবাসা শাশ্বত, ভালোবাসা অবিনশ্বর-চিরযৌবনা,
ভালোবাসা সর্বজনীন। বসন্তের আগুন লাগা ফাগুনে
প্রকৃতিতে নেমেছে ভালোবাসার মৌসুম। আজ ১৪
ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসার
বার্তা সার্বজনীন হলেও ভালোবাসা দিবসের উচ্ছ্বাস
ও উন্মাদনা তরুণদের মাঝে সবচেয়ে বেশি। তবে তাদের
মাঝেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ
ভালোবাসাকে একটা বিশেষ দিবসে আবদ্ধ করে রাখতে
নারাজ। আরেক পক্ষের দাবি, বছরজুড়েই ভালোবাসা
থাকবে কিন্তু ভালোবাসা দিবসকে বিশেষভাবে
উদযাপনে দোষের কিছু নেই। বরং ওই একটা দিনকে
ঘিরে ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছে আবেগ প্রকাশের
যে সুযোগ, তা বছরের অন্য সময় ব্যস্ততার ফাঁকে হয়ে
ওঠে না। সময়ের স্রোতে ভালোবাসা এখন আর
প্রেমিকযুগল কিংবা নির্দিষ্ট বয়সের ফ্রেমে সীমাবদ্ধ
নয়। ভালোবাসার প্রকাশ কিংবা উদযাপন এখন মা-
বাবা এবং পরিবারের সদস্য নিয়ে হয়, শিক্ষক-
শিক্ষার্থীতে হয়, সহকর্মীদের সাথে হয়, হয় পথশিশুদের
খাইয়ে অথবা বৃদ্ধাশ্রমে আনন্দ ভাগাভাগি করে। আর
সেটাই বোধহয় ভালোবাসার স্বার্থকতা। কয়েকবছর
আগেও ভালোবাসা দিবসকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির থাবা
বলে ধুয়োধ্বনি দেওয়া হলেও আজ সেটা সার্বজনীনতা
পেয়েছে। তবে এর মাঝে তারুণ্যের বিপথগামীতাও
থেমে নেই। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ভালোবাসাই সত্য,
ভালোবাসাই চিরন্তন। ভালোবাসা দিবস নিয়ে তরুণদের
থাকে নানা পরিকল্পনা-প্রস্তুতি। দিবসটি উদযাপন
নিয়ে কথা হয় সুদূর পোল্যান্ডে থাকা চট্টগ্রামের ছেলে
বাকি বিল্লাহ মোহাম্মদ শিবলীর সাথে। শিবলী
জানান, দূরদেশে বসে ভালোবাসার মানুষকে যেন আরো
বেশিই মনে পড়ে। এবার ভালোবাসা দিবসের
পরিকল্পনা বিষয়ে শিবলী জানান, ওর কণ্ঠে কবিতা আর
গান আমার ভীষণ প্রিয়। ভালোবাসা দিবসের প্রথম
প্রহরে সেসবই শুনবো। এবারের বইমেলায় রচিত ‘দরিয়ার
চিঠি’ (লেখক- সাদিয়া বিনতে শাহাজাহান) নামে তার
একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রবাসে বসে
আপাতত সেটার প্রচারণা করছেন বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাজনুভা আহমদ
তাজিন বলেন, প্রিয় মানুষটির সাথে প্রতিদিন দেখা না
হলেও ফোনে কথা বলে আপডেট থাকতে হয়। না হয় খুব
টেনশন লাগে। তবে আমরা কেবল নিজেদের খোঁজখবরের
মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকি না। দুজনই নিজেদের পরিবারের
সদস্যদের খবরাখবর রাখি, নিয়মিত কথা বলি।
ভালোবাসা তো কেবল দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়,
https://m.facebook.com/akazadbd24/

পুরো
পরিবার মিলে ভালো থাকাই আমাদের কাছে
ভালোবাসা। সদ্য বিবাহিতা সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী নাহিদা সুলতানা অবশ্য এবারের
ভালোবাসা দিবস কাটাতে চান শ্বশুর-শাশুড়িসহ
পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে স্বামীর রেস্টুরেন্ট
‘ভাদরাজ ক্যাফে’তে। নাহিদা জানান, জীবনে অনেক
ভালোবাসা দিবস নিজেরা নিজেরা উদযাপন করেছি।
কিন্তু পরিবারের সাথে উদযাপনের সুখ বোধহয় একদম
আলাদা। এখন ভালোবাসার সুখটুকু সবার সাথে
ভাগাভাগি করতেই বেশি ভালো লাগে। এদিকে সবাই
যখন প্রিয় মানুষটির সাথে ভালোবাসা দিবস উদযাপনে
রঙিন পরিকল্পনায় ব্যস্ত তখনো একগাদা পথশিশুদের
সাথে নিয়ে ব্যতিক্রমী ভালোবাসা দিবস উদযাপনে
ব্যাকুল তানজীল রশিদ নামের এক তরুণ। যিনি বছর
তিনেক ধরে এই দিনটিতে শতশত পথশিশুদের খাওয়ানোর
মধ্যেই তৃপ্তি খুঁজে পান। নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে
বসবে তার এই মানবিক ভালোবাসার আসর। যেখানে তার
সামাজিক সংগঠন ‘অগ্রগ্রাহী’ এবং তার বন্ধুরা মিলে
অন্তত পাঁচ শতাধিক শিশুদের খাবারের আয়োজন
করেছেন।
তবে ভালোবাসাকে একটি বিশেষ দিনে সীমাবদ্ধ করে
রাখতে নারাজ সাউথ পয়েন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজের
শিক্ষিকা ইশরাত জাহান শারমীন। তিনি বলেন,
ভালোবাসা দিবসের নামে বর্তমান প্রজন্ম যে ধরণের
উন্মত্ততায় মেতে ওঠেছে তা আমাদের বাঙালি
সংস্কৃতি এবং সমাজব্যবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক।
সেজন্য অসঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা এবং আধুনিকতার
নামে পরসংস্কৃতি চর্চাকে দায়ী করেন তিনি।
অন্যদিকে ইশরাত জাহানের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন,
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে অন্তত একটা দিনের জন্য
হলেও আপনজনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার
সুযোগের পাশাপাশি আমাদের মনে শুদ্ধতা তৈরি হয়।
মানছি, ভালোবাসার জন্য কোন দিবস লাগেনা।
প্রতিদিনই ভালোবাসা যায়। কিন্তু এই বিশেষ দিবসকে
ঘিরে আপনি যেভাবে ভালোবাসার মানুষকে চমকে
দেওয়ার পরিকল্পনা করবেন প্রতিদিন তো সেটা করা
হয়ে ওঠেনা। আর বিশেষ দিনে আপত্তি থাকলে তো
https://m.facebook.com/akazadbd24/

জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীসহ বিভিন্ন দিবস পালন করাও

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

এক নজরে ৩৭ তম জাতীয় সমাবেশে আনসার ভিডিপির পরিচিতি

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী

প্রোফাইল

 আনসার ও ভিডিপি-পরিচিতি

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের আইন-শৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন কেপিআই, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তামূলক কাজ, পরিরেশের ভারসাম্য রক্ষা, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, আত্বনির্ভরশীলতা, পরিকল্পিত পরিবার গঠন, দারিদ্র্য বিমোচন, নিরক্ষতা দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, জাতীয় ও উপ-নির্বাচন, বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন - ঈদ, পূজা, বড়দিন, নববর্ষ ইত্যাদির নিরাপত্তা বিধান করাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করে থাকে। ১৯৪৮ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি এ বাহিনী গঠিত হয়। ১৯৫২-এর ভাষা অন্দোলনে এই বাহিনীর সদস্য আনসার প্লাটুন কমান্ডার আব্দুল জব্বার শহীদ হন। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল ‍মুজিব নগরে আনসার প্লাটুন কমান্ডার ইয়াদ আলীসহ ১২ জন আনসার সদস্য বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী  রাষ্ট্রপ্রধানকে ‘‘গার্ড অব অনার” প্রদান করেন। ১৯৭৬ সালে প্রথম আনসার ব্যাটালিয়ন গঠিত হয়। বর্তমানে এ বাহিনীর ২টি মহিলা আনসার ব্যাটালিয়ন সহ ৩৯টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও আইন-শৃংখলা রক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন প্রশংসনীয় অবদান রাখায়
সরকার এ বাহিনীকে ১৯৯৮ সালের ১০ মার্চ জাতীয় পতাকা প্রদান করেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ এ বাহিণীকে “স্বাধীনতা পদক ২০০৪” প্রদন করা হয়। ২০১০ সালে ১০ম সাউথ এশিয়া সাব গেমস্-এ এই বাহিণীর সদস্যরা সর্বমোট ১১টি স্বর্ণ পদক লাভ করে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বৃহত্তর এ বাহিনীর ১৬টি ব্যাটালিয়নের ৭২৭২ জন সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৬০০ জন হিল আনসার ও ৭৮৮৭ জন হিল ভিডিপি পার্বত্য এলাকায় অপারেশন উত্তরণে সহায়তা পদান করছে। দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী অভিযানে অত্যন্ত সুনামের সাথে ১০(দশ)টি ব্যাটালিয়নের মোট ২৬৩৯ জন সদস্য সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করছে। সমতল এলাকায় পুলিশের সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা থেকে শুরু করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি রক্ষার কাজে ১০টি ব্যাটালিয়নের ৪১৬০ জন সদস্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রায় ৪০০০০ অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার সদস্য সরকারি বেসরকারি সংস্থা ও কেপিআই সমূহের নিরাপত্তা সেবায় নিয়োজিত আছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (RAB) প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাসহ অত্র বাহিনীর মোট ৫১৯ জন (পুরুষ ও মহিলাসহ) ব্যাটালিয়ন সদস্য প্রেষণে নিয়োজিত আছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাবৃন্দ SSF এ নিয়োজিত আছেন। এ বাহিনীর সদস্যবৃন্দ ক্ষুদ্র পরিসরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিণীতে কাজ করেছেন।
এ বাহিনীর স্থায়ী, অস্থায়ী ও স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রায় ৬০ লক্ষ সদস্য-সদস্যা রয়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিকল্পে বাহিনীর সদস্য-সদস্যাদের বিভিন্ন কারিগরি ও পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদেরকে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে জামানত বিহীন ঋন প্রদান করা হয়। প্রতি বছর ৩২ টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ বাহিনীর প্রায় ৫০০০ জন সদস্য-সদস্যাকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দেশের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এ বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী সদস্য-সদস্যাদের ১০% কোটা সুবিধা রয়েছে।
দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন ও সরকারের নির্দেশে অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তা প্রদান করা, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন কল্পে বাহিনীর সদস্যাদের বিভিন্ন কারিগরি ও পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান, সরকারি বেসরকারি সংস্থা সমূহের চাহিদার ভিত্তিতে নিরাপত্তা সেবা প্রদান, প্রশিক্ষণ ও অঙ্গীভূত করণের মাধ্যম কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, সভা সেমিনারের মাধ্যমে গণসচেতনতা বৃদ্ধি তথা দেশের সামগ্রিক উন্নতি ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যপক অবদান রাখছে এবং এ বাহিনীর দায়িত্বের পরিধি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

স্বাধীন আহম্মেদঃসবাই বিপদে পরলে খোজ করে?

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
কাউকে কার কাজে লাগে না, কাউকে ছারা কাজ হয়না।
পরিহাসের তারকাটায়  আটক সবাই,
বিপদেই তদারকি,আর শেষ হলে কার খোজ কে করে।
হায়রে মানুষ।
এমনি একটি বাস্তব ঘটনায় মানুষকে কাদিয়ে দেয়।

স্বাধীন আহম্মেদঃসবাই বিপদে পরলে খোজ করে?

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
কাউকে কার কাজে লাগে না, কাউকে ছারা কাজ হয়না।
পরিহাসের তারকাটায়  আটক সবাই,
বিপদেই তদারকি,আর শেষ হলে কার খোজ কে করে।
হায়রে মানুষ।
এমনি একটি বাস্তব ঘটনায় মানুষকে কাদিয়ে দেয়।