(স্বাধীন আহম্মেদঃ)খানসামা♥দিনাজপুর।
ভালোবাসা মানে নীল প্রজাপতি, ভালোবাসা মানে
হার মানা ক্ষতি, ভালোবাসা মানে রূপালী উজান,
ভালোবাসা মানে জোসনার গান, ভালোবাসা মানে
উষ্ণ স্রোতে বরফ গলা নদী...।
কণ্ঠশিল্পী আসিফের গানের কথামালার মতই
ভালোবাসা শাশ্বত, ভালোবাসা অবিনশ্বর-চিরযৌবনা,
ভালোবাসা সর্বজনীন। বসন্তের আগুন লাগা ফাগুনে
প্রকৃতিতে নেমেছে ভালোবাসার মৌসুম। আজ ১৪
ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসার
বার্তা সার্বজনীন হলেও ভালোবাসা দিবসের উচ্ছ্বাস
ও উন্মাদনা তরুণদের মাঝে সবচেয়ে বেশি। তবে তাদের
মাঝেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ
ভালোবাসাকে একটা বিশেষ দিবসে আবদ্ধ করে রাখতে
নারাজ। আরেক পক্ষের দাবি, বছরজুড়েই ভালোবাসা
থাকবে কিন্তু ভালোবাসা দিবসকে বিশেষভাবে
উদযাপনে দোষের কিছু নেই। বরং ওই একটা দিনকে
ঘিরে ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছে আবেগ প্রকাশের
যে সুযোগ, তা বছরের অন্য সময় ব্যস্ততার ফাঁকে হয়ে
ওঠে না। সময়ের স্রোতে ভালোবাসা এখন আর
প্রেমিকযুগল কিংবা নির্দিষ্ট বয়সের ফ্রেমে সীমাবদ্ধ
নয়। ভালোবাসার প্রকাশ কিংবা উদযাপন এখন মা-
বাবা এবং পরিবারের সদস্য নিয়ে হয়, শিক্ষক-
শিক্ষার্থীতে হয়, সহকর্মীদের সাথে হয়, হয় পথশিশুদের
খাইয়ে অথবা বৃদ্ধাশ্রমে আনন্দ ভাগাভাগি করে। আর
সেটাই বোধহয় ভালোবাসার স্বার্থকতা। কয়েকবছর
আগেও ভালোবাসা দিবসকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির থাবা
বলে ধুয়োধ্বনি দেওয়া হলেও আজ সেটা সার্বজনীনতা
পেয়েছে। তবে এর মাঝে তারুণ্যের বিপথগামীতাও
থেমে নেই। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ভালোবাসাই সত্য,
ভালোবাসাই চিরন্তন। ভালোবাসা দিবস নিয়ে তরুণদের
থাকে নানা পরিকল্পনা-প্রস্তুতি। দিবসটি উদযাপন
নিয়ে কথা হয় সুদূর পোল্যান্ডে থাকা চট্টগ্রামের ছেলে
বাকি বিল্লাহ মোহাম্মদ শিবলীর সাথে। শিবলী
জানান, দূরদেশে বসে ভালোবাসার মানুষকে যেন আরো
বেশিই মনে পড়ে। এবার ভালোবাসা দিবসের
পরিকল্পনা বিষয়ে শিবলী জানান, ওর কণ্ঠে কবিতা আর
গান আমার ভীষণ প্রিয়। ভালোবাসা দিবসের প্রথম
প্রহরে সেসবই শুনবো। এবারের বইমেলায় রচিত ‘দরিয়ার
চিঠি’ (লেখক- সাদিয়া বিনতে শাহাজাহান) নামে তার
একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রবাসে বসে
আপাতত সেটার প্রচারণা করছেন বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাজনুভা আহমদ
তাজিন বলেন, প্রিয় মানুষটির সাথে প্রতিদিন দেখা না
হলেও ফোনে কথা বলে আপডেট থাকতে হয়। না হয় খুব
টেনশন লাগে। তবে আমরা কেবল নিজেদের খোঁজখবরের
মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকি না। দুজনই নিজেদের পরিবারের
সদস্যদের খবরাখবর রাখি, নিয়মিত কথা বলি।
ভালোবাসা তো কেবল দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়,
https://m.facebook.com/akazadbd24/
পুরো
পরিবার মিলে ভালো থাকাই আমাদের কাছে
ভালোবাসা। সদ্য বিবাহিতা সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী নাহিদা সুলতানা অবশ্য এবারের
ভালোবাসা দিবস কাটাতে চান শ্বশুর-শাশুড়িসহ
পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে স্বামীর রেস্টুরেন্ট
‘ভাদরাজ ক্যাফে’তে। নাহিদা জানান, জীবনে অনেক
ভালোবাসা দিবস নিজেরা নিজেরা উদযাপন করেছি।
কিন্তু পরিবারের সাথে উদযাপনের সুখ বোধহয় একদম
আলাদা। এখন ভালোবাসার সুখটুকু সবার সাথে
ভাগাভাগি করতেই বেশি ভালো লাগে। এদিকে সবাই
যখন প্রিয় মানুষটির সাথে ভালোবাসা দিবস উদযাপনে
রঙিন পরিকল্পনায় ব্যস্ত তখনো একগাদা পথশিশুদের
সাথে নিয়ে ব্যতিক্রমী ভালোবাসা দিবস উদযাপনে
ব্যাকুল তানজীল রশিদ নামের এক তরুণ। যিনি বছর
তিনেক ধরে এই দিনটিতে শতশত পথশিশুদের খাওয়ানোর
মধ্যেই তৃপ্তি খুঁজে পান। নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে
বসবে তার এই মানবিক ভালোবাসার আসর। যেখানে তার
সামাজিক সংগঠন ‘অগ্রগ্রাহী’ এবং তার বন্ধুরা মিলে
অন্তত পাঁচ শতাধিক শিশুদের খাবারের আয়োজন
করেছেন।
তবে ভালোবাসাকে একটি বিশেষ দিনে সীমাবদ্ধ করে
রাখতে নারাজ সাউথ পয়েন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজের
শিক্ষিকা ইশরাত জাহান শারমীন। তিনি বলেন,
ভালোবাসা দিবসের নামে বর্তমান প্রজন্ম যে ধরণের
উন্মত্ততায় মেতে ওঠেছে তা আমাদের বাঙালি
সংস্কৃতি এবং সমাজব্যবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক।
সেজন্য অসঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা এবং আধুনিকতার
নামে পরসংস্কৃতি চর্চাকে দায়ী করেন তিনি।
অন্যদিকে ইশরাত জাহানের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন,
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে অন্তত একটা দিনের জন্য
হলেও আপনজনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার
সুযোগের পাশাপাশি আমাদের মনে শুদ্ধতা তৈরি হয়।
মানছি, ভালোবাসার জন্য কোন দিবস লাগেনা।
প্রতিদিনই ভালোবাসা যায়। কিন্তু এই বিশেষ দিবসকে
ঘিরে আপনি যেভাবে ভালোবাসার মানুষকে চমকে
দেওয়ার পরিকল্পনা করবেন প্রতিদিন তো সেটা করা
হয়ে ওঠেনা। আর বিশেষ দিনে আপত্তি থাকলে তো
ভালোবাসা মানে নীল প্রজাপতি, ভালোবাসা মানে
হার মানা ক্ষতি, ভালোবাসা মানে রূপালী উজান,
ভালোবাসা মানে জোসনার গান, ভালোবাসা মানে
উষ্ণ স্রোতে বরফ গলা নদী...।
কণ্ঠশিল্পী আসিফের গানের কথামালার মতই
ভালোবাসা শাশ্বত, ভালোবাসা অবিনশ্বর-চিরযৌবনা,
ভালোবাসা সর্বজনীন। বসন্তের আগুন লাগা ফাগুনে
প্রকৃতিতে নেমেছে ভালোবাসার মৌসুম। আজ ১৪
ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসার
বার্তা সার্বজনীন হলেও ভালোবাসা দিবসের উচ্ছ্বাস
ও উন্মাদনা তরুণদের মাঝে সবচেয়ে বেশি। তবে তাদের
মাঝেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ
ভালোবাসাকে একটা বিশেষ দিবসে আবদ্ধ করে রাখতে
নারাজ। আরেক পক্ষের দাবি, বছরজুড়েই ভালোবাসা
থাকবে কিন্তু ভালোবাসা দিবসকে বিশেষভাবে
উদযাপনে দোষের কিছু নেই। বরং ওই একটা দিনকে
ঘিরে ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছে আবেগ প্রকাশের
যে সুযোগ, তা বছরের অন্য সময় ব্যস্ততার ফাঁকে হয়ে
ওঠে না। সময়ের স্রোতে ভালোবাসা এখন আর
প্রেমিকযুগল কিংবা নির্দিষ্ট বয়সের ফ্রেমে সীমাবদ্ধ
নয়। ভালোবাসার প্রকাশ কিংবা উদযাপন এখন মা-
বাবা এবং পরিবারের সদস্য নিয়ে হয়, শিক্ষক-
শিক্ষার্থীতে হয়, সহকর্মীদের সাথে হয়, হয় পথশিশুদের
খাইয়ে অথবা বৃদ্ধাশ্রমে আনন্দ ভাগাভাগি করে। আর
সেটাই বোধহয় ভালোবাসার স্বার্থকতা। কয়েকবছর
আগেও ভালোবাসা দিবসকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির থাবা
বলে ধুয়োধ্বনি দেওয়া হলেও আজ সেটা সার্বজনীনতা
পেয়েছে। তবে এর মাঝে তারুণ্যের বিপথগামীতাও
থেমে নেই। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ভালোবাসাই সত্য,
ভালোবাসাই চিরন্তন। ভালোবাসা দিবস নিয়ে তরুণদের
থাকে নানা পরিকল্পনা-প্রস্তুতি। দিবসটি উদযাপন
নিয়ে কথা হয় সুদূর পোল্যান্ডে থাকা চট্টগ্রামের ছেলে
বাকি বিল্লাহ মোহাম্মদ শিবলীর সাথে। শিবলী
জানান, দূরদেশে বসে ভালোবাসার মানুষকে যেন আরো
বেশিই মনে পড়ে। এবার ভালোবাসা দিবসের
পরিকল্পনা বিষয়ে শিবলী জানান, ওর কণ্ঠে কবিতা আর
গান আমার ভীষণ প্রিয়। ভালোবাসা দিবসের প্রথম
প্রহরে সেসবই শুনবো। এবারের বইমেলায় রচিত ‘দরিয়ার
চিঠি’ (লেখক- সাদিয়া বিনতে শাহাজাহান) নামে তার
একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রবাসে বসে
আপাতত সেটার প্রচারণা করছেন বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাজনুভা আহমদ
তাজিন বলেন, প্রিয় মানুষটির সাথে প্রতিদিন দেখা না
হলেও ফোনে কথা বলে আপডেট থাকতে হয়। না হয় খুব
টেনশন লাগে। তবে আমরা কেবল নিজেদের খোঁজখবরের
মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকি না। দুজনই নিজেদের পরিবারের
সদস্যদের খবরাখবর রাখি, নিয়মিত কথা বলি।
ভালোবাসা তো কেবল দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়,
https://m.facebook.com/akazadbd24/
পুরো
পরিবার মিলে ভালো থাকাই আমাদের কাছে
ভালোবাসা। সদ্য বিবাহিতা সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী নাহিদা সুলতানা অবশ্য এবারের
ভালোবাসা দিবস কাটাতে চান শ্বশুর-শাশুড়িসহ
পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে স্বামীর রেস্টুরেন্ট
‘ভাদরাজ ক্যাফে’তে। নাহিদা জানান, জীবনে অনেক
ভালোবাসা দিবস নিজেরা নিজেরা উদযাপন করেছি।
কিন্তু পরিবারের সাথে উদযাপনের সুখ বোধহয় একদম
আলাদা। এখন ভালোবাসার সুখটুকু সবার সাথে
ভাগাভাগি করতেই বেশি ভালো লাগে। এদিকে সবাই
যখন প্রিয় মানুষটির সাথে ভালোবাসা দিবস উদযাপনে
রঙিন পরিকল্পনায় ব্যস্ত তখনো একগাদা পথশিশুদের
সাথে নিয়ে ব্যতিক্রমী ভালোবাসা দিবস উদযাপনে
ব্যাকুল তানজীল রশিদ নামের এক তরুণ। যিনি বছর
তিনেক ধরে এই দিনটিতে শতশত পথশিশুদের খাওয়ানোর
মধ্যেই তৃপ্তি খুঁজে পান। নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে
বসবে তার এই মানবিক ভালোবাসার আসর। যেখানে তার
সামাজিক সংগঠন ‘অগ্রগ্রাহী’ এবং তার বন্ধুরা মিলে
অন্তত পাঁচ শতাধিক শিশুদের খাবারের আয়োজন
করেছেন।
তবে ভালোবাসাকে একটি বিশেষ দিনে সীমাবদ্ধ করে
রাখতে নারাজ সাউথ পয়েন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজের
শিক্ষিকা ইশরাত জাহান শারমীন। তিনি বলেন,
ভালোবাসা দিবসের নামে বর্তমান প্রজন্ম যে ধরণের
উন্মত্ততায় মেতে ওঠেছে তা আমাদের বাঙালি
সংস্কৃতি এবং সমাজব্যবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক।
সেজন্য অসঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা এবং আধুনিকতার
নামে পরসংস্কৃতি চর্চাকে দায়ী করেন তিনি।
অন্যদিকে ইশরাত জাহানের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন,
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে অন্তত একটা দিনের জন্য
হলেও আপনজনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার
সুযোগের পাশাপাশি আমাদের মনে শুদ্ধতা তৈরি হয়।
মানছি, ভালোবাসার জন্য কোন দিবস লাগেনা।
প্রতিদিনই ভালোবাসা যায়। কিন্তু এই বিশেষ দিবসকে
ঘিরে আপনি যেভাবে ভালোবাসার মানুষকে চমকে
দেওয়ার পরিকল্পনা করবেন প্রতিদিন তো সেটা করা
হয়ে ওঠেনা। আর বিশেষ দিনে আপত্তি থাকলে তো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন