মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

সাঁওতালের ঘরে পুলিশ আগুন দিয়েছে কিনা, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লীতে ঘরে পুলিশ আগুন দিয়েছে কিনা এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করতে গাইবান্ধা জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আসছে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আইন ও শালিস কেন্দ্রের করা এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

এছাড়া ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি এজাহার সমান গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের ব্যবস্থা করতেও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তদন্ত করবেন। তদন্তের তত্ত্বাবধানে থাকবেন পুলিশ সুপারের নিচে নন, এমন কোনো কর্মকর্তা।
সাঁওতালদের ঘরে আগুন দেয়ার বিষয়ে সম্প্রতি নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা ও দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায় পুলিশ সদস্যরাই সাঁওতালদের ঘরে আগুন দিচ্ছেন। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পুলিশ জানায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় তাদের ঘরবাড়িতে পুলিশের আগুন ধরিয়ে দেয়ার যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে, সেটি সঠিক নয়।

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলছিলেন, পুলিশ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়নি। বরং আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়েছে। আগুন নেভানোর সময় হয়তো পুলিশকে দেখা যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় দমকল বাহিনীও সেখানে গিয়েছিল। ততক্ষণে ছোট ছোট কিছু ঘর পুড়ে গেছে। ফলে পুলিশের আগুন লাগানোর বিষয় সঠিক নয়। তারপরও ভিডিওটি খতিয়ে দেখা হবে।

৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিকদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। ওই ঘটনায় নিহত হন তিন সাঁওতাল, আহত হন অনেকে।

সাঁওতালেরা তাদের ওপর হামলা, ঘরে আগুন দেয়া, পুরোনো বসতবাড়িতে লুটপাট ও হত্যার অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষে দু’টি মামলা হয়।আল-জাজিরার ভিডিও ফুটেজে আগুন লাগানোর দৃশ্য দেখা যায়। 

সাঁওতালদের ঘরে আগুন দেয়ার বিষয়ে সম্প্রতি নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা ও দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায় পুলিশ সদস্যরাই সাঁওতালদের ঘরে আগুন দিচ্ছেন। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলছিলেন, পুলিশ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়নি। বরং আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়েছে। আগুন নেভানোর সময় হয়তো পুলিশকে দেখা যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় দমকল বাহিনীও সেখানে গিয়েছিল। ততক্ষণে ছোট ছোট কিছু ঘর পুড়ে গেছে। ফলে পুলিশের আগুন লাগানোর বিষয় সঠিক নয়। তারপরও ভিডিওটি খতিয়ে দেখা হবে।

৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিকদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। ওই ঘটনায় নিহত হন তিন সাঁওতাল, আহত হন অনেকে।

সাঁওতালেরা তাদের ওপর হামলা, ঘরে আগুন দেয়া, পুরোনো বসতবাড়িতে লুটপাট ও হত্যার অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষে দু’টি মামলা হয়।আল-জাজিরার ভিডিও ফুটেজে আগুন লাগানোর দৃশ্য দেখা যায়। 

কোন মন্তব্য নেই: