বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭

স্বাধীন:এক মহুর্তে নিয়েনিন গ্রামিন সিমের প্রয়োজনিও কাস্টমা কেয়ারের নাম্বার গুলো?

GP Customer Care Service Center &
Hotline Number:
Description Number /
Hotline /
USSD Code
Charge
Customer
Service for
Query
121 50 p /min
Customer
Service for
Complaint
158 Free
Hotline for
calling
from Other
operator
number
01711594594 As per
operator ’ s
tariff
Customer
Service
hotline for
GP
customers
while in
roaming
01700100121 As per
roaming
network
tariff
Mobicash
Service &
Nirvoy
Insurance
1200 50 p /min
HealthLine 789 5 TK/ min
Welcome
Tune
Service
4000 75 p /min
Music
Radio
Service
4040 30 p /min
Migration:
Nishchinto ,
Bondhu,
Djuice ,
Amontron
4444 Free
All bill
information
in Bangla
121111 50 p /min
All bill
information
in English
121211 50 p /min
Internet
Pack
Information
In Bangla
121112 50 p /min
Internet
Pack
Information
In English
121212 50 p /min
Friends &
Family
Service In
Bangla
121152 50 p /min
Friends &
Family
Service In
English
121252 50 p /min
Missed Call
Alert
Service In
Bangla
121153 50 p /min
Missed Call
Alert
Service In
English
121252 50 p /min
Call Block
Service In
Bangla
121154 50 p /min
Call Block
Service In
English
121254 50 p /min
Lost Phone
Service In
Bangla
121155 50 p /min
Lost Phone
Service In
English
121255 50 p /min
Backup
SIM
Service In
Bangla
121156 50 p /min
Backup
SIM
Service In
English
121256 50 p /min
Thanks for staying with us a long time and visiting GP
Customer Care Service Center & Hotline Number article. If
you want to know more about the Grameenphone
Cutomers care, Just comment here. We reply as soon as
possible with a correct answer.
https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=/amp/s/www.rdja.net/4562/amp&ved=0ahUKEwiQ1LGIk93RAhUDqY8KHVsSBgoQFggsMAk&usg=AFQjCNF3rkuqkDY4t4VOF_Aa65f0dEuewA&sig2=IrLdiY5z9dKo91Lty8HhjQ

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৭

আতিক আহম্মেদ★এক অকুতভোয় যোদ্ধা মাশরাফির গল্প

আতিক আহম্মেদঃখুব কষ্টের হয় আবার আনন্দের হয়।
নড়াই জেলার একটি নাম।গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চিত্রা নদী।

সালটা ১৯৮৩,

তারিখ ৫ই অক্টোবর। এক নবজাতকের কান্নায়
আলোকিত হয়ে উঠলো বাবা গোলাম মর্তুজার
ঘর। এক যোদ্ধার জন্ম হলো। নাম রাখা হলো
কৌশিক। চিত্রা নদীতে ঝাপ দেওয়া ছিলো
যার নিত্য দিনের কাজ। খেলাধুলার পাগল তখন
থেকেই ছিলেন । ব্যাডমিন্টনটা খেলতেন
অসাধারন আর ফুটবল তো লা-জয়াব। কিন্তু
ক্রিকেটের প্রতি ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো
ভালবাসা। বিশেষ করে বোলিং এর প্রতি।
পাড়ার মাঠে বোলিংএ ঝড় তুলতে লাগলেন। আর
বড় বড় ছয় মারার জন্য কৌশিকের ছিলো
অন্যরকম খ্যাতি। হয়ে গেলেন ক্রিকেট পাগলা।
অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে প্রথমবারের মত জাতীয়
পর্যায়ে খেললেন। আগুনের গোলা ঝরালেন
মাঠে। চোখে পড়ে গেলেন তৎকালীন
বাংলাদেশের কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের। ডাক
পেলেন টেস্ট খেলার জন্য। কৌশিক হয়ে উঠলেন
“মাশরাফি বিন মর্তুজা”
জীবনের প্রথম টেস্ট ক্যাপ পেলেন ২০০১ সালে
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দিনটা ৮ই নভেম্বর।
বিশ্বের ৩১তম ক্রিকেটার হিসেবে কোন ১ম
শ্রেনীর ম্যাচ না খেলেই সরাসরি অভিষেক
হলো মাশরাফির। প্রতিভার কোন পর্যায়ে
থাকলে এটা সম্ভব বুঝে নিবেন সবাই। বল নিয়ে
প্রথমবারের মত দেশের পক্ষে শুরু করলেন দৌড়।
গ্যালারীতে শোর উঠলো “হইইইইইইইইইইইই”
ছুড়লেন বল। না! আহামরী কিছু হলোনা। আবারো
দৌড়ালেন। প্রথম ওভারে একের পর এক গোলা
ছুঁড়ে দিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের মুখটা
করে দিলেন বাংলা “৫” এর মত। কিন্তু না
বেশীক্ষন অপেক্ষা করতে হলো না।
অসাধারণভাবে গ্রান্ট ফ্লাওয়ারকে আউট করে
বিশ্ব-ক্রিকেটকে জানিয়ে দিলেন তার
আগমনী বার্তা। সব মিলিয়ে সেই টেস্টে
নিলেন ৪ উইকেট। বৃষ্টির কারণে বল করতে
পেরেছিলেন এক ইনিংসই। এরপরেই একই
সিরিজে ওয়ানডে অভিষেক হলো মাশরাফির।
বিধ্বস্ত করতে লাগলেন আবারো জিম্বাবুয়ের
ব্যাটসম্যানদের। সবাই অবাক চাহনিতে দেখতে
লাগলো বিস্ময়বালকের বিস্ময়কর কৃতি।
কিন্তু যোদ্ধার দেশে জন্ম যে তার। যুদ্ধ করে
বাঁচাই ছিলো তার নিয়তি। বিধাতা বোধহয়
একটু মুচকিই হেসেছিলেন। ৩য় টেস্ট খেলতে
নামলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ভালমতোই
চলছিলো। হঠাৎ পা হড়কালেন মাশরাফি। উঠার
চেষ্টা করলেন,পারলেন না। ধরাধরি করে নিয়ে
যাওয়া হলো মাঠের বাইরে। মাশরাফি কি
ভেবেছিলেন সবে যুদ্ধের শুরু?! মাঠের বাইরে
চলে গেলেন ২ বছরের জন্য।
ঐ যে বলেছি একজন যোদ্ধা তিনি। অমানুষিক,
অক্লান্ত পরিশ্রমে ২বছর পর আবার বল হাতে
দেখা গেলো মাশরাফিকে। ফিরলেন
ইংল্যান্ডের সাথে। ট্রেসকোথিক, থর্পদের
বিপক্ষে সদ্য ফেরা এক বোলার। তাচ্ছিল্যের
হাসিতেই উড়িয়ে দিতে চাইলো বোধহয়
ইংলিশরা। বিধাতা কিন্তু এবার মাশরাফির
পক্ষেই। ইংলিশ টপ-অর্ডারে কালবৈশাখী ঝড়
তুললেন “নড়াইল এক্সপ্রেস” দাম্ভিক চার
ইংলিশকে টপাটপ পকেটে পুরলেন। ৬০ রানে ৪
উইকেট নিলেন মাশরাফি। কামব্যাকের
উধাহরণসহ সংজ্ঞা বুঝিয়ে দিলেন। কিন্তু
আলাদা ধাতুর মানুষ তিনি আর ১০ জনের মত নন।
আবারো পরীক্ষায় মাশরাফি কৌশিক। ঠিক
আগের যায়গাটিতেই আবার আঘাত পেলেন। ১
বছরের জন্য মাঠের বাইরে আবার।
হারতে শিখেন নি মাশরাফি। ভেঙ্গে পড়েন নি
মাশরাফি। ইস্পাতশক্ত মনোবল আর ঠোঁট কামড়ে
ইঞ্জুরির রাশ টেনে ধরলেন। জয় করলেন ইঞ্জুরি
আবারো। ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে আবার
গোলা হাতে দেখা গেলো মাশরাফি বিন
মর্তুজাকে। শুরুতেই বাঘীয় প্রত্যাবর্তন। রাহুল
দ্রাবিড়ের মিডল স্ট্যাম্পকে ছত্রাখান করে
ফেললেন। এরপর এলো সেই দিন। ২৬শে ডিসেম্বর
২য় ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি
বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ
ভারতকে ছুঁড়ে দিলো ২২৪(?) রানের টার্গেট।
ব্যাটিংএ আসলো ভারত। ব্যাট দিয়ে পিচে
বাড়ি দিতে দিতে সেওয়াগ বোধহয় একটা
কুটিল হাসিই দিলো মাশরাফিকে লক্ষ্য করে।
বাঘটার ভাল লাগেনি। দৌড় শুরু করলেন নড়াইল
এক্সপ্রেস। গ্যালারীতে আবারো
“হইইইইইইইইইইইইইইই” ধ্বনি। বল করলেন মাশরাফি।
ব্যাটও চালালো সেওয়াগ। বলটা ব্যাট ফাকি
দিয়ে চলে গেলো পেছনে আর “টাক” করে একটা
শব্দ। পিছে ফিরলো সেওয়াগ। বিস্ফোরিত
দৃষ্টি নিয়ে দেখলো তিনটি স্ট্যাম্প গড়াগড়ি
খাচ্ছে মাটিতে। আবার তাকালো মাশরাফির
দিকে। বাঘটা ততক্ষনে দুই হাত প্রসারিত করে
গর্জনে ব্যস্ত। শিকার করলেন আরও একজন
ভারতীয়কে। ধরলেন বিস্ময়কর এক ম্যাচ। ম্যাচ
জিতলো বাংলাদেশ। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ কে?
জিজ্ঞেস করতে হয় আবার... কৌশিক হলেন
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ। পরের তিন বছর
বাংলাদেশের সাথে মাশরাফির সময়ও ছিলো
স্বর্ণমন্ডিত। অজি-বধ করা হলো, ৪৯ উইকেট
নিয়ে মাশরাফি হলেন ২০০৬ এর সেরা
উইকেটধারী বোলার।
এলো ২০০৭সাল। সেই অবিস্মরণীয় বিশ্বকাপের
গল্প লেখার দিন। ভারতের মুখোমুখি হবে
বাংলাদেশ। এত খুশির মাঝে তীরের মত
কৌশিকের বুকে বিঁধল বন্ধু হারানোর ব্যথা।
সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেলেন তার সবচেয়ে
কাছের বন্ধু মাঞ্জারুল ইসলাম রানা। শোককে
শক্তিতে পরিণত করার এক দুঃসাহস দেখালেন
মাশরাফি। অধিনায়ককে ভরসা দিলেন
“ভারতকে ধরে দিবানি”।
গায়ে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর। কিন্তু দেশ তো আগে।
আর সাথে আছে সংকল্প। মাঠে নামলেন
কৌশিক। বল তুলে নিলেন হাতে। সেওয়াগ
নামের জল্লাদের মিডল স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে
সুচনা করলেন ভারতবধের। একে একে ফিরালেন
উথাপ্পা, হরভজন আর মুনাফকে। ৩৮ রানে নিলেন
চার উইকেট। আবারো লাল-সবুজের জয়-জয়কার।
ভারতবধ করে বন্ধুর শোককে শক্তিতে পরিণত
করার দুঃসাহসকে জয় করলেন। এরপর সাউথ-
আফ্রিকার মুখোমুখি বাংলাদেশ। আশরাফুলের
এক অতিমানবীয় ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ
করলো ২৫৭ রান। কিন্তু সবাই দেখি ভুলে গেলো
কৌশিকের ১৪ বলে ২৫ রানের টর্নেডোকে।
মাখায়া এন্টিনিদের আছড়ে ফেললেন মাঠের
বাইরে। আবারো উড়ল লাল-সবুজের পতাকা।
বিজয়ীর বেশে ফিরলেন দেশে।
এসেই ভারতের বিপক্ষে সিরিজ। এবার আর চমক
নয়। হোয়াইট ওয়াশ হলাম আমরা। কিন্তু বাঘটা
ঠিকই দেখিয়ে দিয়েছে। ৩য় ওয়ানডেতে রমেশ
পাওয়ারের এক ওভারে হাকালেন চারটি ছয়,
নিলেন ২৫ রান। এরপর টেস্টে আবারো
ত্রানকর্তার ভুমিকায় নড়াইল এক্সপ্রেস। না!
বোলার হিসেবে নয়, ব্যাটসম্যান মাশরাফিকে
দেখলো পুরো বিশ্ব। ১ম টেস্টের ১ম ইনিংসে ৮
উইকেট হারিয়ে তখন ফলোঅনের লজ্জায় পড়ার
ভয়ে বাংলাদেশ। শাহাদাতকে নিয়ে রেকর্ড
৭০ রানের জুটি গড়ে সেই লজ্জা ঢাকলেন
কৌশিক। শেষ টেস্টেও ব্যাট হাতে ঝড়
তুলেছিলেন যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ইনিংস
পরাজয়ে টেস্টের সাথে সিরিজেও হারলো
বাংলাদেশ।
এবার চলে আসি ২০০৯ সালে। ট্রাই নেশন
সিরিজে বাদ পড়ার ভয়ে বাংলাদেশ। বল হাতে
মাশরাফি কি সেটা হতে দিতে পারেন?
সাঙ্গাকারার মুখ হাঁ করে দেওয়া এক
ডেলিভারীতে মিডল স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিলেন
কৌশিক। ঐ ম্যাচে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার
ছিলেন মাশরাফি। সাকিব জাদুতে ম্যাচ
জিতলো বাংলাদেশ। সাকিবকে কোলে তুলে
নিজের সব ক্রেডিট দিয়েই দিলেন মানুষটি।
বোনাস পয়েন্ট সহ ম্যাচ জিতে ফাইনালে
গেলো বাংলাদেশ। কিন্তু নিদারুন ব্যাটিংএ
বাংলাদেশের সংগ্রহ মাত্র ১৫৮ রান। কিন্তু ঐ
দেখা যায় গোলা হাতে কৌশিক। ভেঙ্গে
দিলেন টপ-অর্ডার। ১৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে
শ্রীলঙ্কা তখন ৫০এর নিচে অলআউটের ভয়ে।
ভাগ্যটা বোধহয় ছিলোনা সাথে। রুবেলের
বাজে বোলিংএ নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হেরে
গেলো বাংলাদেশ। দল হারলে কি হবে তিনি
হারেন নি স্বভাবতই।
ঐ বছরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়কের
দায়িত্ব পান মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে
করতে আসা দ্বিতীয় ওভারেই আগের আঘাত
পাওয়া যায়গায় আবারো আঘাত পেলেন
মাশরাফি। চলে গেলেন মাঠের বাইরে। সাকিব
ম্যাচ জিতিয়ে আনার পর ঐ খোড়া পায়েই
দৌড়ে চলে গেলেন মাঠে। সেকি উল্লাস!! সেই
ট্যুর ছিলো অন্যতম সেরা একটি ট্যুর। শুধু টি-২০
ছাড়া আর সব কিছুতে ক্যারীবিয়দের হোয়াইট-
ওয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। এরপর প্রায় ১.৫
বছর পর আবারো দলে ফিরলেন মাশরাফি। এবং
অধিনায়ক হিসেবে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে
১ম ম্যাচ খেলতে নামলো বাংলাদেশ। ইঞ্জুরির
নিষ্ঠুর খড়গ নেমে আসলো আবারো কৌশিকের
উপর। মাঠের বাইরে শব্দটা বোধহয় এই নিয়ে
অনেকবার ব্যবহার হলো। কি করবো ভাগ্য যে
খেলা করে তার সাথে। সেই সিরিজে
প্রথমবারের মত কিউইদের বাংলাওয়াশের
স্বাদ দিলো টাইগাররা। ইঞ্জুরিটা ছিলো
মারাত্মক। পরের বছর ঘরের মাঠে ওয়ানডে
বিশ্বকাপ। ভাগ্যের এক নিদারুণ লীলাখেলা।
মাশরাফি বাদ পড়লেন বিশ্বকাপের জন্য
ঘোষিত দল থেকে। সব ফেলে দৌড়ালেন
স্ট্যাডিয়ামে। অনেক অনুরোধের পরেও দলে
ঢুকতে পারলেন না কৌশিক। সাংবাদিকদের
সামনে বাচ্চাদের মত কেঁদেই ফেললেন
মাশরাফি। বললেন “ভাই আমি প্রয়োজনে পানি
টানবো তাও টিমে অন্তত যায়গা হোক।“ না
হলোনা। কৌশিক যায়গা পেলেন না। অভাবটা
খুবই অনুভুত হয়েছিলো বিশ্বকাপে। ছন্নছাড়া এক
পেস বাহিনী নিয়ে তাই প্রথম পর্যায়ের বাধা
টপকাতে পারলোনা বাংলাদেশ।
এত কিছুর পরও কৌশিক বারবার ফিরে আসে।
৬বার ডান পায়ে আর ৩ বার বাম পায়ে
অপারেশন করার পর কোন স্বাভাবিক মানুষের
খেলা তো দূরের কথা স্বাভাবিক চলাফেরায়
দায় হয়ে যায় সেখানে কৌশিক আজও খেলে
যায়। কোথা থেকে পান এই অনুপ্রেরণা, এই
ইস্পাতকঠিন মনোবল ? চলুন শুনে আসি তার মুখ
থেকেই “বারবার ইনজুরি থেকে ফিরে আসার
প্রেরণাও পাই সেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছ
থেকেই। এমনও ম্যাচ গেছে আমি হয়তো চোটের
কারণে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না।
দুই-তিনটা বল করেই বুঝতে পারছিলাম সমস্যা
হচ্ছে। তখন তাঁদের স্মরণ করেছি। নিজেকে
বলেছি, ‘হাত-পায়ে গুলি লাগার পরও তাঁরা যুদ্ধ
করেছিলেন কীভাবে? তোর তো একটা মাত্র
লিগামেন্ট নেই! দৌড়া... আমরা পতাকার জন্য
খেলি, খেলি সোনার বাংলার জন্য”
২০১৪ সাল, হারের পর হারে জর্জরিত হওয়া
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়
মাশরাফির কাধে। জিম্বাবুয়ে কে
হোয়াইটওয়াশের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অধিনায়ক
ম্যাশ উপখ্যান। ওয়ার্ল্ড কাপে প্রথমবারের মত
কোয়ার্টার ফাইনাল,একে একে
পাকিস্তান,ভারত,সাউথ আফ্রিকা,জিম্বাবুয়ের
সাথে টানা সিরিজ জয় সহ ২০১৫ তে
বাংলাদেশ কোন সিরিজ ই হারে নি। এভাবেই
মাশরাফি নামক পরশ পাথরের ছোয়ায় বদলে
যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট।
কৌশিক যখন খেলতে নামেন তখন তার হাটু
থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে এক-প্রকারের তরল বের
করে নিতে হয়। ভয়াবহ এক যন্ত্রনায় কৌশিকের
মুখ থেকে “মাগো” চিৎকার বের হয়ে যায়
অজান্তেই। হয়তো বাংলা মাকেই স্মরণ করেন।
আর দলে মাশরাফি মানেই অন্যরকম
আত্মবিশ্বাস। সবার ভিতর থাকে জেতার তীব্র
আকাঙ্ক্ষা। থাকবেই না কেন? বড় ভাই
মাশরাফি যে ছোট ভাইদেরকে অন্য দৃষ্টিতে
দেখেন। হাসি-ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখেন
সবাইকে। কার কোন সমস্যা সবার আগে ছুটে
যান এই মাশরাফিই। কখনো কপালে একে দেন
স্নেহের চুম্বন, কখনো স্বান্তনা। আবার কখনো
কপট রাগের ছলে বকা দেন।
আমাদের দলে আজকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার
সাকিব আল হাসান আছেন। কিন্তু কেউ কি
জানেন কার হাত ধরে এই সাকিবের ক্রিকেটে
আসা। বিকেএসপিতে সাকিবের ফুফাতো ভাই
উজ্জ্বল আর বাবার সাথে এসেছিলেন ফুটবল
টিমে যোগ দিতে। কিন্তু জহুরী তো রতন চিনতে
ভুল করেন না। মাশরাফি এক পলক দেখেই বুঝে
গেলেন ছেলেটা বিশ্বসেরার কাতারে যাবে।
প্রায় দেড় ঘন্টা সাকিবের বাবা আর ভাইয়ের
সাথে আলাপ করলেন। শেষ পর্যন্ত কৌশিকের
কথায় ক্রিকেট দলেই নাম লেখালেন সাকিব
আল হাসান। আর ফলাফল আজকের সাকিব।
আলাদা ধাতুতে গড়া এই মানুষটিরও কিন্তু
পারিবারিক জীবন আছে। তিনি একজন বাবা,
একজন স্বামী। মেয়ে হুমায়রা মর্তুজাকে নিয়ে
অবসর কাটিয়ে দেন কৌশিক। হুমায়রা হয়তো
এখনও জানেনা তার বাবা বাংলাদেশের
মানুষের হৃদয়ের কোন যায়গায় বসে আছেন। না
জানাই ভাল। অহঙ্কার জন্মাতে পারে। কিন্তু
অহঙ্কার কি জিনিষ তার বাবা বোধহয় জানেই
না। তাই তো ঈদের দিনে সবাই যখন দামী গাড়ী
হাকিয়ে, দামী পাঞ্জাবী গায়ে চড়িয়ে
ঈদগাহে যায় মাশরাফি তখন অন্য ১০জন মানুষের
মত হাতে জায়নামাজ নিয়ে এক কোনায় চুপটি
করে বসে নামাজ আদায় করেন। এটাই
মাশরাফি।
এই পাগলাটা বড্ড দেশের পাগল। সে জন্যই
হয়তো অনেক বড় টাকার লোভ দেখিয়েও সুবিধা
করতে পারেনি ফিক্সারের দল। উলটো সবাইকে
বলে দিয়েছিলেন বোকার মত। এই বোকা
কৌশিককেই যে আমরা খুবই ভালবাসি।
ফিক্সিং কেলেংকারীতে জর্জরিত যখন
আশরাফুল, প্রিয় বন্ধুকে ভেঙ্গে না পড়ার
উৎসাহ দিয়ে কলাম লিখেছিলেন এই
মাশরাফিই।
সবশেষে বলবো, আমাদের ছাত্রদের আর কতকাল
ফিরে আসার মন্ত্র হিসেবে রবার্ট ব্রুসের গল্প
শুনাবেন। বাবা-মাদের বলছি পিছিয়ে থাকা
ছেলে-মেয়েদের অনুপ্রেরণা হিসেবে
মাশরাফির জীবন কাহিনী শোনান। তার
বারবার ফিরে আসার কথা শোনান। আমার
দেশেই উধাহরণ থাকতে কেন বিদেশীদের
উধাহরণ টানবেন। যতদিন বাংলাদেশে ক্রিকেট
থাকবে। ততদিন উচ্চারিত হবে মাশরাফির নাম।
আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালী
বোর্ডটাতে সর্ব-প্রথমে জ্বলজ্বল করবে একটি
নাম। “মাশরাফি বিন মর্তুজা”।
পাগলা বুকে না মাথায় রাখবো তোমাকে যেন
পড়ে গেলে বুকে থাকো। তোমার কাছে একটাই
অনুরোধ শুধু খেলে যাও। আর কিচ্ছু চাইনা।
কৌশিকরা তো বারবার জন্মায় না। তুমি শুধু
খেলবে, মজা করবে, আর হুমায়রাকে নিয়ে সময়
কাটাবে। আর লাফটা না দিলেই কি নয়? জানি
শুনবেনা, তারপরও আমাদের মত নগন্য দর্শকদের
দিকে তাকিয়ে একটু নিরাপদে খেলো।
অসাধারণ মাশরাফিকে দেখতে যেয়ে আমরা
সাধারণ মাশরাফিকে হারাতে চাইনা।
পাগলা তোমায় সালাম।

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭

আছি ভালো

তোমার দেওয়া সতো বেদনাও আমি ভালো আছি।
তোমার অবহেলায় আমি মরে যাইনি তাইতো
অনেক ভালো আছি।
এখনো তোমার চলার পথে ছুটে আছি
ভেবনা আমি মরে গেছি,
তোমার দেওয়া বেদনায় আমি বেচে আছি।

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭

নতুন বইয়ে ছাগলের ছবি থাকায় শিক্ষাক্রম বোর্ডের দুই কর্মকর্তা পত্যাহার

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
নতুন পাঠ্যপুস্তকে ভুলের ঘটনায় জাতীয় শিক্ষাক্রি পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) দুই
কর্মকর্তাকে ওএসডির পর এবার আর্টিস্ট কাম ডিজাইনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন,
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে আর্টিস্ট কাম ডিজাইনার সুজাউল আবেদীনকে সাময়িক বরখাস্ত
করেছে এনসিটিবি। প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘শুনি ও বলি’ পাঠে একটি ছাগলের ছবি দিয়ে
লেখা হয়েছে, অজ (ছাগল) আসে। আম খাই। এক সময় অ-তে অজগর শেখানো হলেও তার বদলে
শিশুদের বইয়ে প্রায় অপ্রচলিত ‘অজ’ শব্দের ব্যবহার সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আবার আম
খাওয়া বোঝাতে একটি আম গাছের নিচের অংশে দুই পা তুলে একটি ছাগলের দাঁড়িয়ে
থাকায় ছবি দেওয়া হয়েছে সেখানে। এই ছবি নিয়ে কেউ কেউ ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘ছাগল
নাকি গাছে উঠে আম খায়?’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা
বলেন, ‘দুই পা তুলে ছাগলের আম গাছে ওঠার যে ছবিটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, সেটা সুজাউল
এঁকেছিলেন।’ তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ছবিটি বিকৃত করেও সমালোচনা চলছে
বলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান। খবর বিডিনিউজের।
পাঠ্যবইয়ে ভুলের বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময় তিনি ফেইসবুকে
তোলা গাছের উপর ছাগল দেখানো একটি ছবিও নিয়ে আসেন। নাহিদ বলেন, ‘জনগণের ধারণার
মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে ছাগল গাছের মধ্যে উঠে আম খাচ্ছে। কিন্তু বইয়ের সাত পৃষ্ঠায় যে
ছবি আছে তাতে দেখবেন অনেক গাছ আছে, ফলের গাছ আছে সে রকম একটা গাছ দেখানো
আছে, সেখানে একটি ছাগল পা তুলে দিয়েছে, ছাগল পা তুলে দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করে।
ছোট আম গাছ, গাছে উঠেনি।’
পাঠ্যবইয়ে ছাগলের আম গাছে ওঠার ছবিটি দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না, সেটা ‘দেখা হবে’ বলে
সকালের ওই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তার কয়েক ঘণ্টা পরে
এনসিটিবির চিত্রকর বরখাস্ত হলেন।
পাঠ্যপুস্তকে ভুলের ঘটনায় গত সোমবার এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার
এবং ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খানকে ওএসডি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই ঘটনায়
এনসিটিবির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল। নতুন পাঠ্যবইয়ের ভুল নিয়ে ফেইসবুকে
তীব্র সমালোচনার পর ওইসব ভুল-ক্রটি পর্যালোচনায় একটি কমিটি করেছে এনসিটিবি।
এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও আলাদা একটি তদন্ত কমিটি করেছে।
যোগ★akazad100.aa@gmail.com

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭

পুলিশ বাহিনীতে পুরুষ/মহিলা সার্জেন্ট পদে নতুন নিয়োগ

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
&&

 সসরাসরিভাবে ডিএমপি নিউজ রিপোর্টঃ বাংলাদেশ পুলিশে
সার্জেন্ট (পুরুষ/নারী) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সার্জেন্ট (পুরুষ/নারী) পদে
নিয়োগ দেওয়া হবে। পদটিতে আবেদন করতে পারবেন
বাংলাদেশি স্থায়ী নারী-পুরুষ প্রার্থীরা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক
ডিগ্রির অধিকারী এবং মোটর সাইকেল ড্রাইভিং এ
দক্ষ ও কম্পিউটার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে।
বয়স
সাধারণ ও অন্যান্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১
জানুয়ারী, ২০১৭ তারিখে বয়স হতে হবে ১৯ থেকে ২৭
বছর। প্রার্থীদের জন্মতারিখ ২ জানুয়ারী, ১৯৯৮ থেকে
২ জানুয়ারী, ১৯৯০-এর মধ্যে হতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের
ক্ষেত্রে ১ জানুয়ারী, ২০১৭ তারিখে বয়স হতে হবে ১৯
থেকে ৩২ বছর। প্রার্থীদের জন্মতারিখ ২ জানুয়ারী,
১৯৯৮ থেকে ২ জানুয়ারী, ১৯৮৫-এর মধ্যে হতে হবে। শুধু
মাধ্যমিক বা সমমানের সনদপত্রে উল্লেখিত
জন্মতারিখ গ্রহণ করা হবে।
শারীরিক যোগ্যতা
সাধারন কোটায় পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা পাঁচ ফুট
আট ইঞ্চি হতে হবে। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায়
৩২ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি হতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের
ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা পাঁচ ফুট ছয়
ইঞ্চি হতে হবে। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০
ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি হতে হবে।
নারী প্রার্থীদের উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি হতে
হবে। এ ছাড়া প্রার্থীদের বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী
ওজন নির্ধারণ করা হবে।
অন্যান্য যোগ্যতা
প্রার্থীদের অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।
তালাকপ্রাপ্ত পুরুষ বা নারী প্রার্থীরা আবেদন করতে
পারবেন না। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত শর্তানুযায়ী
শিক্ষানবিশকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের
অবিবাহিত থাকতে হবে। পাশাপাশি মটর সাইকেল
ড্রাইভিং এ দক্ষ এবং কম্পিউটার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন
হতে হবে।
আগামী ১৩-০২-২০১৭ তারিখ ঢাকা ও ময়মনসিংহ
রেঞ্জ, ১৪-০২-২০১৭ তারিখ চট্টগ্রাম ও সিলেট,
১৫-০২-২০১৭ তারিখ রাজশাহী ও রংপুর রেঞ্জ এবং
১৬-০২-২০১৭ তারিখ খুলনা ও বরিশাল রেঞ্জের
প্রার্থীরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে সকাল ০৯
টায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শারীরিক মাপের
পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
আগ্রহী প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে শারীরিক
পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার
জন্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত সময় ও স্থানে উপস্থিত
হতে হবে। প্রার্থীকে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার
সনদপত্র, সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক
দেওয়া চারিত্রিক সনদপত্র, স্থায়ী নাগরিকত্বের
সনদপত্র, নিজের বা মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রসহ
প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার সত্যায়িত সদ্য
তোলা তিন কপি পাসপোর্ট আকৃতির ছবি সঙ্গে আনতে
হবে।
শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পরীক্ষার
দিনই সংশ্লিষ্ট রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে তিন
টাকা মূল্যের আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর সদ্য তোলা চার কপি
পাসপোর্ট আকৃতির সত্যায়িত ছবি, শিক্ষাগত
যোগ্যতার সব সনদপত্র ও অন্যান্য সদনপত্রের সত্যায়িত
অনুলিপি জমা দিতে হবে।
বিস্তারিত জানতেঃ http://www.police.gov. 

সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৭

খানসামার মানুষ আজ অন্যায় ভাবে দলিও ভাবে নির্জাতনের শিকার

নিজেদের খবর,খানসামা থেকে স্বাধীন্
খানসামা থানায় একি হচ্ছে যার জন্য যারতার উপরে
লাঠিচার্জ হচ্ছে? অসহায় মানুষ গুলোর নামে মামলা করা হচ্ছে।
কী কারন আলোচনা করে সব মিটিয়ে নিলেই তো হয়।
জারা মার খাচ্ছে,যাদের নামে মামলা হচ্ছে তারা তো আমারেই আপন জন।
আমরা তাদের সমস্যার বিষয়ে কথা বলতে পারি,,,
তাদেরকে নিয়ে মত বিনিময়ের সভা করতে পারি,
ভোটের মাধ্যমে সরকারের সাথে কথা বলা যেত।
আমরা কী পারতাম না আলোচনার মাধ্যমে
কলেজ উপহার দিতে?
তাই বাহিনীদিয়ে নির্যাতন বন্ধ করুন।
আমরাতো আমরাই ++
কপন জানি আজ বারবার মনে পড়তেছে
কবি :বলেছিলো, শিক্ষিত রাইআজ মুর্খতার মুল।
তিনি আরো বলেছিলেন লেখা থাকে শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড, আর আমি বলি শিক্ষায় আজ জাতীর মেরুভাংঙা।




ক্যা azadbd24.com
 যোAZADBD24.BLOGSPOT.COM

রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৭

সৈয়দপুরে পরকীয়ার জন্য স্বামীর ঘর ছারলো সেক্সি বউ তার পড়েই শুরু হলো সিনেমা

স্টাফ- সৈয়দপুরে বন্ধুত্বের মধুর সম্পর্ক এখন চরম শত্রুতায় রুপান্তরিত হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের চিকলী নিজবাড়ী মাদ্রাসাপাড়ার মঈনুল ইসলামের স্ত্রী নাসিমা বেগম (২৮)। এই দম্পতির ৩টি সন্তান রয়েছে। মঈনুল ইসলামের বন্ধু একই ইউনিয়নের পার্শবর্তী হাজির বটতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন জিকুর ছেলে প্রাইভেট কারের ড্রাইভার আঃ রশিদ (৩৫)। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্কের সুবাদে একে অপরের বাসায় যাতায়াত ছিল উভয়েরই। এই যাতায়াতকে পুঁজি করে বন্ধুর সুন্দরী স্ত্রীর উপর লোলুপ দৃষ্টি দেয় রশিদ। এক পর্যায়ে তা গড়ায় প্রণয়ে।

গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধায় সেই প্রণয়ের টানে নিজ স্বামী, সন্তান, সংসার রেখে রশীদের বাড়িতে গিয়ে ওঠে নাসিমা বেগম। এর আগে চলতি মাসের গত ২২ ডিসেম্বর বন্ধুর সাথে নিজ স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে নাসিমার সাথে মঈনুলের ঝগড়া হয়। তারপর ২৪ তারিখ সকালে স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে নিজের তিন সন্তানকে নিয়ে রাবেয়া মোড় সংলগ্ন চাকলায় বোনের বাড়ীতে বেড়াতে যান তিনি। ওইদিনই সন্ধায় মঈনুলের প্রতিবেশী তাকে ফোন করে জানায় যে তোমার বউ বাসায় নাই। এরপর মঈনুল তড়িঘড়ি করে বাসায় ফেরত এসে চারিদিকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে মঈনুল ধারণা করে যে তার স্ত্রী রশিদের বাড়িতে যেতে পারে। পরে ওইদিন রাতেই রশিদের বাড়িতে মঈনুলের বোন ও বোনজামাই গিয়ে নাসিমাকে দেখে অবাক হয়। নাসিমা মঈনুলের বাড়ি থেকে রশিদের বাড়ি যাবার সময় নগদ ৬০ হাজার টাকা ও সোনার গহনা সাথে নিয়েছিল। মঈনুলের বোন নাসিমাকে বাসায় ফেরত আসতে বললে সে বাসায় না এসে তার সাথে থাকা ৬০ হাজার টাকা ফেরত দেয়। নাসিমাকে ফেরত আনতে ব্যর্থ হয়ে মঈনুলের বোন টাকা নিয়ে বাসায় ফিরে আসে। এরপর থেকে ২৮ ডিসেম্বর দুপুর ৩ টা পর্যন্ত রশিদের বাসায় থাকে নাসিমা। অথচ রশিদেরও স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।

নিজ স্ত্রীকে ফেরত ও রশিদের শাস্তির জন্য ২৮ ডিসেম্বর সকালে কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেন মঈনুল। এরপর চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গ্রাম আদালতে বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় মঈনুল সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দেন।

এ ব্যাপারে মঈনুল জানান, যখন আমার স্ত্রীর সাথে রশিদের সম্পর্কের বিষয়টি বুঝতে পারি তখন আমি রশিদকে আমার বাড়িতে আসতে নিষেধ করে দেই। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্বেও সে মাঝে মাঝে আমার অনুপস্থিতিতে আমার বউয়ের সাথে দেখা করে। রশিদকে সহায়তা করে আমার বাড়ির পেছনের এক লোক তাদের দেখা করার ব্যবস্থা করে দিত। তিনি বলেন, আমার সহজ-সরল স্ত্রীকে বিপথে নিয়ে গিয়ে আমার সোনার সংসার নষ্ট করার জন্য আমি রশিদের শাস্তি চাই।

এদিকে বন্ধুর স্ত্রীর সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে ফাঁদে ফেলে তার সংসার নষ্ট করার অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে ঘটনার মূল হোতা রশিদের সাথে বাসায় কথা বলতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এরপর তার ব্যবহৃত মোবাইল (01740187415) নাম্বারে ফোন দিয়ে কথা বললে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তৎক্ষণাৎ লাইন কেটে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখে। পরে একাধিক নাম্বার দিয়ে কল করা হলেও সে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।

কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান বলেন, গ্রাম আদালতের ১ম বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়নি। বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারী (বুধবার) বসা হবে। আশা করছি বিষয়টির সমাধান হবে।

সৈয়দপুর থানার ওসি আমীরুল ইসলাম আজাদবিডি২৪কে জানান, মঈনুলের স্ত্রী বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে উঠেছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনী পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।