শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১৮

আনসার বাহিনীতে বিশাল নিয়োগ -সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রথম ধাপ-২০১৮-২০১৯


সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রথম ধাপ-২০১৮-২০১৯

স্বাগতম !
সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ গ্রহণ করতে প্রশিক্ষণ প্রত্যাশীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
যে সকল জেলার প্রশিক্ষণ প্রত্যাশীরা আবেদন করতে পারবেনঃ
ঢাকা রেঞ্জঃ
১. ঢাকা  ২. গাজীপুর ৩. নারায়ণগঞ্জ ৪. মুন্সীগঞ্জ ৫. নরসিংদী ৬. কিশোরগঞ্জ ৭. টাঙ্গাইল ৮. গোপালগঞ্জ ৯. রাজবাড়ী ১০. ফরিদপুর ১১. মাদারীপুর ১২. শরীয়তপুর ১৩. মানিকগঞ্জ
ময়মনসিংহ রেঞ্জ ঃ
১. ময়মনসিংহ ২. নেত্রকোনা ৩. জামালপুর ৪. শেরপুর
চট্টগ্রাম রেঞ্জঃ
১. চট্টগ্রাম ২. কক্সবাজার ৩. রাঙ্গামাটি ৪. বান্দরবার ৫. খাগড়াছড়ি
আবেদনকারীর যোগ্যতাঃ
  • উচ্চতাঃ ন্যূনতম ৫’-৪” 
  • বুকের মাপঃ ৩০”-৩২”
  • বয়স ঃ ১৮-৩০ বছর (২৯-০৬-২০১৮ তারিখে ১৮ বছর  এবং ১৫-০৭-২০১৮ তারিখে ৩০ বছর)
  • শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ন্যূনতম জেএসসি পাশ
  • ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যারা তারা অগ্রাধিকার পাবেন।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর থাকতে হবে। (জন্ম নিবন্ধন নম্বর দাখিল করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে)
    (বিস্তারিত আরও তথ্য আসবে)

শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১৮

আনসার-ভিডিপিতে ১১৬ জনের চাকরি


এ,কে,আজাদ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৬ পদে ১১৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
পদের নাম ও সংখ্যা: প্রজেক্টর অপারেটর-০১ টি, সারেং/ লঞ্চ ড্রাইভার-০৩ টি, হিসাব করনিক-০৩ টি, ক্যাশিয়ার-০৪ টি, অফিস সহকারী-০১ টি, সিউউইং, মিনটিং এন্ড স্টিচিং ইন্সট্রাক্টর-০১ টি, সেনিটারী সহকারী-০১ টি, সিগন্যাল অপারেটর-০৬ টি, সূত্রধর-০২ টি, অস্ত্র প্রশিক্ষক-০২ টি, ব্যান্ডস্ ম্যান-০৫ টি, মহিলা ব্যান্ড-৭২ টি, লস্কর-০৪ টি মালী-০১ টি, বাবুর্চি-০৩ টি, নিরাপত্তা প্রহরী-০৭ টি।
বয়স: চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে অবশ্যই ন্যূনতম ১৮ বছর এবং অনূর্ধ্ব ৩০ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা/ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ৩২ বছর।
চাকরিভেদে বেতন: আট হাজার ২৫০ টাকা থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা
আবেদন প্রক্রিয়া: আবেদনকারীকে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওয়েবসাইট
www.ansarvdp.gov.bd এ প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ লিংক এর আওতায় ৩য়/৪র্থ শ্রেণির নিয়োগ লিংকে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে-
আবেদন করতে ক্লিক করুন
আবেদনের শেষ তারিখ:৩০ জুন ০৬/২০১৮
নতুন নতুন খবর পেতে নিচের লিংটিতে লাইক দিন।
https://m.facebook.com/bdansarbahini/

ক্যাপশন এ,কে,আজাদ

রবিবার, ২০ মে, ২০১৮

গাজীপুরে আবাসি হোটেলে আজ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয়।

mobile.facebook.com/bdansarbahini


গাজীপুর জেলার সাধারণ মানুষ, স্থানীয় ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ড, দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর মহোদয়ের নির্দেশে আজ গাজীপুরের ০৪ টি (রোজ ভ্যালী, বন্ধু বোর্ডিং, বৈশাখী এবং বিলাস) আবাসিক হোটেলে আজ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন গাজীপুরের এনডিসি জনাব বি, এম, কুদরত-এ-খুদা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কাউসার আহমেদ।
এসব হোটেলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অবাধ যৌনাচার বিপণনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে আটককৃতদের জনকে অশ্লীল ও আপত্তিকর অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় আটক করা হয় এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
হোটেলের বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
গাজীপুরের এসব নামমাত্র আবাসিক হোটেলগুলো মাদকের অবাধ বিস্তার, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন সামাজিক অস্থিরতার অন্যতম উৎস হিসেবে পরিচিত। ব্যাটেলিয়ন আনসার, স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং সর্বস্তরের জনতা এই অভিযানে সক্রিয় সহায়তা প্রদান করেন এবং এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবী জানান।
একই সাথে আপনাদের এলাকায় এ ধরণের কোন হোটেল চালু থাকলে ঠিকানাসহ ছবি কমেন্টসে প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৮

এসএসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী ৬ মে

স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী ৬ মে প্রকাশ করা হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ কথা জানান।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বপন কুমার সরকার বলেন, তাঁরা আগামী ৩ থেকে ৭ মের মধ্যে ফল প্রকাশের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এখন সরকারপ্রধান যেদিন সম্মতি দেবেন, সেদিন ফল প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ৪ ও ৫ মে ছুটির দিন । এ কারণে ৬ মে ফল প্রকাশের জন্য তাঁদের বলা হয়েছে। ৬ মে ফল প্রকাশ করা হবে, এটা ধরেই তাঁরা প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণ প্রত্যাশিদের জানার জন্য অগুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।




 ♥♥♥♥ মোঃআবুল কালাম আজাদ♥♥♥♥

      সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণার্থির যোগ্যতা যোগ্যতা,
বাছাইয়ের স্থান তারিখ সময় সম্পর্কে জানতে খবরের
কাগজটি সংগ্রহ করুন। যাদের কাছে খবরের কাগজ
পৌছাবেনা তাদের সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে
ওয়েবসাইটে এবং ফেসবুকে পেজ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত
হবে। https://www.facebook.com/bdansarbahini/
সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণ প্রত্যাশিদের জানার জন্য
অগুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যঃ
১. সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণার্থি বাছাই স্থায়ী
কোন সরকারী চাকুরী নয়। যারা উচ্চ শিক্ষিত এবং
স্থায়ী সরকারী চাকুরী খুঁজছেন তাদের এখানে
আবেদন করার দরকার নেই।
২. এ প্রশিক্ষণ তাদের জন্য যাদের স্থায়ী সরকারী
চাকুরিতে আবেদন করার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই।
৩. আবেদনকারীদের বাছাই করা হবে দুটিধাপে।
প্রাথমিক বাছাই শারিরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে।
দ্বিতীয়ধাপে হবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
৪. জেলা কোটা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক
প্রশিক্ষণার্থির চুড়ান্ত বাছাই হবে সফটওয়ারের
মাধ্যমে। সুতরাং কাউকে কোন অনুরোধ করে, সুপারিশ
করে কোন ফল হবে না।
৫. সঠিক আবেদন ফরম পুরণ ও দাখিল করা হলে
আবেদনের শেষ ধাপে অনলাইন সিস্টেমে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবেশপত্র তৈরি হবে। উক্ত প্রবেশ
পত্রে আবেদনকারীর আবেদন আইডি, ছবি, জেলা,
বিভাগ,ও বয়সের তথ্য থাকবে। প্রবেশ পত্রটি অবশ্য
অবশ্যই প্রিন্ট করে নিতে হবে। প্রবেশ পত্র ছাড়া
বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করা যাবে না কোন ক্ররমেই।
৬. আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক জাতীয়
পরিচয়পত্র নম্বর। ভূয়া নম্বর প্রমানিত হলে প্রশিক্ষণ
গ্রহন করেও লাভ হবে না। সঠিক জাতীয় পরিচয়পত্র
ছাড়া স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট করা যায় না।
৭. আবেদনে জন্ম নিবন্ধন নম্বর গ্রহণযোগ্য হবে না।
কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রের স্থলে জন্মনিবন্ধন নম্বর
দিয়ে আবেদন করলে বাছাই কালে বাদ পড়ে যাবে।
সফটওয়ারে এর ব্যবহার নেই।
৮. আবেদনকারীগণ নির্বাচিত হওয়ার অাকাংখায়
কাউকে টাকা পয়সা দিয়ে প্রতারিত হবেন না।
সফটওয়ার কোন সুপারিশ ও অনুরোধ গ্রহন করে না।
৯. ভিডিপি সদস্য ও অধিক উচ্চতা সম্পন্ন প্রার্থিগণ
সফটওয়ারে অগ্রাধিকার পাবেন। ভূল উচ্চতা
বাছাইকালে সংশোধন করা হবে।
১০. এবার কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী
রেঞ্জের অধীন জেলার প্রার্থিগণ আবেদন করতে
পারবেন।
আরও পরামর্শ থাকবে। এ পেইজের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ। সবার জন্য শুভকামনা।https://www.facebook.com/bdansarbahini/

বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শয্যা সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না বাড়াতে হবে চিকিৎসাসেবাও।


          ♥ ♥♥♥ মোঃআবুল কালাম আজাদ। ♥♥♥♥♥

★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
 স্বাস্থ্য অধিদফতর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
(চমেক) হাসপাতালে আরো ৫০০ শয্যা বাড়ানোর
সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সংবাদ চট্টগ্রামে বসবাসরত
নাগরিকদের জন্য বড় সুসংবাদ। গতকাল দৈনিক
আজাদীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
‘বর্তমান অবকাঠামো উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণের
মাধ্যমে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ’
শীর্ষক এক প্রকল্পের আওতায় শয্যা সংখ্যা
বাড়ানোর এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য
অধিদফতর। চমেক হাসপাতালসহ দেশের পুরাতন মোট
৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ প্রকল্পের
আওতায় রয়েছে। বাকি চারটি হাসপাতালের মধ্যে
রয়েছে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল
কলেজ হাসপাতাল, বরিশালের শেরে বাংলা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রাজশাহী ও
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এ প্রকল্পের
আওতায় অতিরিক্ত ৫০০ শয্যা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে
হাসপাতালগুলোর কাছে তথ্য–উপাত্ত চেয়ে গত ৮
ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সরকারের এ প্রয়াসের জন্য সাধুবাদ জানাতেই হয়।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ
বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। দেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার
হ্রাসসহ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে
বাংলাদেশের সাফল্য অনেক। তৃণমূল পর্যায়ে
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ
করেছে সরকার। দেশে আজ আধুনিক মানের
চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে।
টেলিমেডিসিনসহ আরও নতুন নতুন আবিষ্কারের
মাধ্যমে চিকিৎসাবিদ্যায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
এসেছে। সকল ইতিবাচক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল
মিলিয়ে বিশেষায়িত শিক্ষার মাধ্যমে
বাংলাদেশে সকল রোগ নিরাময়ে দেশের চিকিৎসা
বিজ্ঞানকে আরও এগিয়ে নিতে সরকারের প্রচেষ্টা
অব্যাহত রয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
সেক্টরের উন্নয়ন আজ বিশ্বের অনেক দেশের জন্য
মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা
চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে নিরলস কাজ করে
যাচ্ছেন। চিকিৎসা সেক্টরের উন্নয়নের বিষয়টি আজ
বিদেশীদের মুখেই প্রকাশ পাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মেডিকেল জার্নাল ল্যান্সেটে
প্রকাশিত এক গবেষণার মতে, স্বাস্থ্যসেবাখাতে
বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ভারত। এতে বলা হয়,
বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে
ভারতের অবস্থান ১৫৪তম। অথচ বাংলাদেশ ৫২তম
অবস্থানে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের
আর্থ–সামাজিক উন্নয়নের পরেও স্বাস্থ্যসেবায়
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভারত ব্যর্থ হয়েছে। গত ২৫
বছরে আশানুরূপ স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারেনি
দেশটি। চীন, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের চেয়েও
ভারতের অবস্থান নিচের দিকে।
তবে সার্বিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে
গেলেও চট্টগ্রামের চিকিৎসাব্যবস্থায় রয়েছে বড়
সংকট। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বছরের পর বছর
ধরে চলছে এই সংকট। লোকবল সংকট,
পেশাদারিত্বের অভাব, ডাক্তার ও নার্সের সংকট
এবং জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায়
স্বাস্থ্যসেবায় বিরাজ করছে করুণ–দশা। উপজেলা
স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর কথা বাদ দিলেও চট্টগ্রাম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কথা লিখতে গেলে
বলা যায়, এখানে আসা রোগীরা চিকিৎসায়
ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
হাসপাতালে চিকিৎসক থাকলেও নেই উপযুক্ত
চিকিৎসা সরঞ্জাম। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে
অ্যাম্বুলেন্স সংকট। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে
পড়ে রয়েছে চিকিৎসাকাজে ব্যবহূত যন্ত্রপাতি।
ফলে রোগীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।
আজাদীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
মাত্র ৫০০ শয্যার অবকাঠামোতে নির্মিত চট্টগ্রাম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান শয্যা
সংখ্যা ১ হাজার ৩১৩। প্রশাসনিক আদেশে ৩/৪ বছর
আগে এই শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও বাড়েনি
জনবল। অধিকন্তু ১ হাজার ৩১৩ শয্যার বিপরীতে
প্রতিনিয়ত প্রায় ৩ হাজার রোগী ভর্তি থাকছে
গরিবের হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত এই
হাসপাতালে। তবে এই তিন হাজার রোগীর সেবা
চলছে সে–ই ৫০০ শয্যার জনবলেই। তাছাড়া ৪২টি
ওয়ার্ড বিশিষ্ট এই হাসপাতালে স্থান সংকটও চরম
পর্যায়ে। শয্যা ছাড়িয়ে মেঝে, বারান্দা, করিডোর
এমনকি সিঁড়িতেও রাখতে হচ্ছে রোগীকে। জনবল ও
স্থানের এমন চরম সংকট নিয়ে এতদঞ্চলের বিশাল
সংখ্যক রোগীর চাপ যেন আর নিতে পারছে না
হাসপাতালটি। সবমিলিয়ে গরিবের এ হাসপাতালটি
বর্তমানে রোগীর ভারে বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতি
হতে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে বিদ্যমান
হাসপাতালের জন্য ১ হাজার শয্যা ধারণ ক্ষমতার
নতুন একটি ভবন নির্মাণের পাশাপাশি নগরে
বিশেষায়িত আরো তিনটি হাসপাতালের প্রস্তাব
করে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে কেবল শয্যা সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না,
চিকিৎসাসেবাও বাড়াতে হবে। হাসপাতালের
গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ও জনবল বৃদ্ধি করে
চিকিৎসাসেবায় গতি আনতে হবে। রোগীরা যেন
হয়রানির শিকার না হয়, যেন ন্যায্য চিকিৎসা লাভ
করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা জরুরি।

বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

♥বিদ্রোহী♥-কাজী নজরুল ইসলাম

। বিদ্রোহী

-- কাজী্ নজরুল ইসলাম

কবিতা (বিদ্রোহী)
azadbd24 প্রকাশ করলেন -এ,কে,আজাদ)

বল বীর -
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি আমারি, নত শির ওই শিখর হিমাদ্রির!

বল বীর -
বল মহা বিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলোক ভেদিয়া,
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির বিস্ময় আমি বিশ্ব বিধাত্রীর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

বল বীর-
আমি চির উন্নত শির। 
আমি চিরদুর্দ্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,
মহা-প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস,
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর!
আমি দুর্বার,
আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দলে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধুর্জ্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর!
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সূত বিশ্ব-বিধাত্রীর!

বল বীর-
চির-উন্নত মম শির! 
আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি,
আমি পথ-সমুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি।
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ।
আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,
আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি' ছমকি'
পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি'
ফিং দিয়া দিই তিন দোল্‌;
আমি চপলা-চপল হিন্দোল।
আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা',
করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!
আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর;
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।

বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির! 
আমি চির-দূরণ্ত দুর্মদ,
আমি দুর্দম, মম প্রানের পেয়ালা হর্দম্‌ হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ। 
আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি,
আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।
আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,
আমি অবসান, নিশাবসান।
আমি ইন্দ্রানী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য
মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতূর্য;
আমি কৃষ্ণ-কণ্ঠ, মণ্থন-বিষ পিয়া ব্যাথা-বারিধির।
আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।
https://www.facebook.com/Azadbd24com-1617041165258840/

বল বীর-
চির- উন্নত মম শির! 
আমি সন্ন্যাসী, সুর-সৈনিক,
আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক।
আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিশ,
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!
আমি বজ্র, আমি ইশান-বিষানে ওঙ্কার,
আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা-হুঙ্কার,
আমি পিনাক-পানির ডমরু ত্রিশুল, ধর্মরাজের দন্ড,
আমি চক্র ও মহা শঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড!
আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য,
আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব।
আমি প্রাণ-খোলা হাসি উল্লাস,-আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস
আমি মহা-প্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু-গ্রাস!
আমি কভু প্রশান্ত,-কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,
আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী!
আমি প্রভঞ্জনের উচ্ছ্বাস, আমি বারিধির মহাকল্লোল,
আমি উজ্জ্বল আমি প্রোজ্জ্বল,
আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল-উর্মির হিন্দোল দোল! 
আমি বন্ধন-হারা কুমারীর বেণী, তন্বী-নয়নে বহ্নি,
আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!
আমি উন্মন মন উদাসীর,
আমি বিধবার বুকে ক্রন্দণ শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর!
আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির-গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম-বেদনা, বিষ-জ্বালা, প্রিয়-লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের!
আমি অভিমানী চির-ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,
চিত- চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম পরশ কুমারীর!
আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক’রে দেখা অনুখণ,
আমি চপল মেয়ের ভালবাসা, তা'র কাঁকন চুড়ির কন্ কন্।

আমি চির-শিশু, চির-কিশোর
আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচর কাঁচলি নিচোর!
আমি উত্তর-বায়ু, মলয়-অনিল, উদাস পূরবী হাওয়া,
আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেনু-বীণে গান গাওয়া।
আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি,
আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়া-ছবি।
আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি এ কি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!
আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ! 
আমি উত্থান, আমি পতন, আমি অচেতন-চিতে চেতন,
আমি বিশ্ব-তোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়-কেতন।
ছুটি ঝড়ের মতন করতালি দিয়া
স্বর্গ মর্ত্য-করতলে,
তাজী বোর্‌রাক্‌ আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার
হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলে! 
আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নিয়াদ্রি, বাড়ব-বহ্নি, কালানল,
আমি পাতালে মাতাল অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল!
আমি তড়িতে চড়িয়া উরে চলি জোর তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ,
আমি ত্রাস সঞ্চারি ভূবনে সহসা সঞ্চারী' ভুমিকম্প। 

ধরি বাসুকির ফনা জাপটি-
ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি'।
আমি দেব-শিশু, আমি চঞ্চল,
আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল!
আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,
মহা- সিন্ধু উতলা ঘুম্-ঘুম্,
ঘুম্ চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝ্‌ঝুম্
মম বাঁশরীর তানে পাশরি
আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।
আমি রুষে উঠে’ যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,
ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!

আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া! 
আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা,
কভু ধরণীরে করি বরণীয়া, কভু বিপুল-ধ্বংস-ধন্যা-
আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ঞু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!
আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি,
আমি ধূমকেতু-জ্বালা, বিষধর কাল-ফণী!
আমি ছিন্নমন্তা চণ্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী,
আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি! 
আমি মৃন্ময়, আমি চিন্ময়,
আমি অজয় অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়!
আমি মানব দানব দেবতার ভয়,
বিশ্বের আমি চির-দুর্জয়,
জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,
আমি তাথিয়া তাথিয়া মথিয়া ফিরি এ স্বর্গ পাতাল-মর্ত্য!
আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!
আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!!
হাবিয়া দোজখ-সপ্তম নরক, এই নরকই ভীষনতম। 

আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার,
নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!
আমি হল বলরাম-স্কন্ধে,
আমি উপাড়ি' ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে, 
মহা- বিদ্রোহী রণ-কাল্ত,
আমি সেইদিন সব শান্ত,
যবে উত্পীড়িতের ক্রন্দণ-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না

অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত। 
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন;
আমি স্রষ্টা-সুদন; শোক-তাপ হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন।
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!
আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন। 

আমি চির-বিদ্রোহী-বীর-
আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির! https://www.facebook.com/azadbd24com

রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি মাস শুরু।


রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি মাস শুরু

বৃহস্পতিবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ
24
স্টাব/এ,কে,আজাদ
আমার ভাই এর রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ণ্ডরক্তে রাঙানো সেই ফেব্রুয়ারি মাস– ভাষা আন্দোলনের মাস শুরু আজ থেকে। এ দিন থেকে ধ্বনিত হবে সেই অমর সঙ্গীতের অমিয় বাণী। বাঙালি জাতি পুরো মাস জুড়ে ভালোবাসা জানাবে ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসনশোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালামজব্বারশফিকবরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরে নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। খবর বাসসের।

বস্তুত ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাবহ হলেও অন্যদিকে আছে এর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কারণ পৃথিবীর একমাত্র জাতি বাঙালি ভাষার জন্য এ মাসে জীবন দিয়েছিল। আর তাই দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও স্বীকৃত। একুশের মাসের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হচ্ছে আজ থেকে। বাংলা একাডেমিতে বিকেল তিনটায় এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিকরাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ মাসে আয়োজন করেছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।
দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’ শেহ্মাগানে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনের কবিতা উৎসব। প্রতি বছরের মত এবারও উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে। সকালে উৎসবের উদ্বোধন করবেন কবি আসাদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৮

হলুদ সাংবাদিরা শুধু চামচামি করে।


স্টাব।https://m.facebook.com/home.php
এ,কে,আজাদ।

বিষয়টা আমার জন্যই বিব্রতকর।আসলে
সাংবাদিকতার অনেক ধরন আছে। কোন সাংবাদিক?
কেমন সাংবাদিক ?ধরলাম পত্রিকার সাংবাদিক।
মানে স্টাফ রিপোর্টার। একজন ভালো সাংবাদিক
হতে হলে যেসব যোগ্যতা লাগবে- ১. কমন সেন্স ২.
লেখালেখির যোগ্যতা ৩. ভাষাগত দক্ষতা ৪. চাপ
সহ্য করার ক্ষমতা ৫. সবার সঙ্গে ভাব জমানোর
ক্ষমতা ইত্যাদি।আর পড়াশোনা অন্তত গ্রাজুয়েট।
বাকি সাংবাদিক দের প্রেস ক্লাবে নিয়ে এসে
কানে ধরে দুপুরে হাটু গেরে বসাতে ইচ্ছা জাগে মনে
। কারন তারাই সাংবাদিক দের সন্মান নষ্টো করে ।
যাদের মাঝে সামান্য তম শিক্ষা নাই । তারা
সাংবাদিক এর কার্ড পায় কেমনে ? ইন্টারের পর
সাংবাদিকতায় ভর্তি হতে পারেন। যদি সত্যি সত্যি
সাংবাদিক হতে চান । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
সাংবাদিকতা বিভাগ রয়েছে। বিভিন্ন প্রাইভেট
বিশ্ববিদ্যালয়েও আছে, যেমন ইউনিভার্সিটি অব
লিবারেল আর্টস। টিভি রিপোর্টিং-এর জন্য রয়েছে
বেশ কিছু কোর্স। আমি জানতে চাই যারা নাম্বার
বিহিন মটর সাইকেলে সাংবাদিক লেখে ঘুরে
বেড়ায় তারা আসলে পেশা টাকে কি ভাবে
নিয়েছে ?? এক কথায় বলা যায় সুবিধা ভোগে
সাংবাদিক হয়েছে । প্রথম শর্তে কোন কথা নাই ।
তার মটর সাইকেল কিংবা গাড়ী জ্বালিয়ে দিতে
পারলে শান্তি পেত বাংলার পাখী বাবুই । তবে
কোর্স বা ডিগ্রি আপনাকে থিওরি বা
প্র্যাকটিকাল যা শেখাবে তা ভাল সাংবাদিকতার
জন্য ইনাফ না। বিভিন্ন বই এবং আর্টিকেল পড়তে
হবে লেখার ধরণ শেখার জন্য। পত্রিকাগুলো নিয়মিত
ঘাটলে সংবাদের গুরুত্ত্ব এবং ধরণ সম্পর্কেও
ক্লিয়ার ধারণা হবে। টিভির জন্য প্রেজেনটেশন
স্কিল এর প্র্যাকটিস করতে হবে। আরো জানতে
চাইলে কোর্স করতে পারেন এমআরটিতে। বেগম
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যায় সহ বেশ কিছু শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক এর উপর কোর্স খুলা হয়েছে
। যা বিগত সময় ছিলো বটে । দীর্ঘদিন ধরে
সাংবাদিক দের সঙ্গে জড়িত থেকে আমি নিজে
যখন কিছু সাংবাদিকের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখে
সমালোচনামূখর হই, তখন আমার সহকর্মীরাই আমার
দিকে তেড়ে আসেন। আমাদের এই দেশে সবকিছু
গোষ্ঠিবদ্ধভাবে বিবেচনার এক সংস্কৃতি আমরা চালু
করেছি। যেখানে যা-ই ঘটুক না কেন আমরা
সবগুলোকে নিজেদের দলসূত্রে বেঁধে ফেলি। এর মাঝ
দিয়ে হয়তো আক্রান্ত হওয়া থেকে কিছুটা রক্ষাী
পাওয়া যায়, কিন্তু নিজেদের দায়টুকুর দিকে নজর
দেয়া হয়ে উঠে না।যখন যেখানে খুশি, যেভাবে
প্রয়োজন সেভাবে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার অদ্ভুত
একধরণের গুণ থাকে সাংবাদিকদের। কিন্তু
রিপোটার দের সেটা থাকে না । সব সাংবাদিক
নির্যাতনই অপরাধীদের কাজ নয়, কখনো কখনো
আমাদের পেশার প্রতি অন্য মানুষের দীর্ঘদিনের
চাপা ক্ষোভ ও হতাশা থেকেও এটি হতে পারে।
আমরা যদি একে বারংবার ‘সাংবাদিক নির্যাতন’
বলে এড়িয়ে যাই, তাহলে এরকম ঘটনা বন্ধ হবে না।
আমাদেরকে খুঁজে দেখতে হবে সাংবাদিকদের
সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনোভাব আসলে কী? নিজ
অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এই মনোভাব খুব
আমোদদায়ক নয়। একশ্রেনীর ‘তথাকথিত
সাংবাদিকদের’ কর্মকা-ে গোটা দেশের মানুষ
ধীরে ধীরে এই পেশার প্রতি শ্রদ্ধা হারাচ্ছে।
সম্প্রতি হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর সংবাদ
মাধ্যমগুলোর বিভীষিকাময় আচরণ দেখে আমি
নিজেই স্তম্ভিত। হুমায়ূন-শাওন পর্ব শেষ করে এখন
গুলতেকিনকে নিয়ে শুরু হচ্ছে। হুমায়ূনের সন্তানদের
ফেসবুক থেকে ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে অবলীলায়
ছাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। হুমায়ূনের চিকিৎসা নিয়ে
মনের মাধুরী মিশিয়ে রিপোর্ট করা হচ্ছে। আমাদের
রুচি বিকৃতি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাঁর একটি
উদাহরণ দেই। টিভিতে দেখলাম, হুমায়ূনের দাফন
শেষে শাওনকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, ‘আপনার শ্বাশুড়ি
কেন দাফনে এলেন না? কবরের জায়গা নিয়ে
জটিলতায় কি উনি রাগ করেছেন? নুহাশ পল্লীর
মালিকানা এখন কার? এটা কার থাকবে?’ ইত্যাদি।
সদ্য স্বামীহারা একজন নারীকে কী প্রশ্ন করা যায়,
কতটুকু প্রশ্ন করা যায় এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা না
নিয়ে একদল মানুষকে আমরা সাংবাদিক পরিচয়
দিয়ে এই সমাজে ছেড়ে দিয়েছি, এটা কতটুকু
যৌক্তিক হয়েছে সেটা ভেবে দেখার প্রয়োজন
আছে। আমার মনে আছে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর
মাসে গনতন্ত্রী পার্টির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের
বাড়িতে রহস্যজনক অগ্নিকা- ঘটলে তাঁর একমাত্র
তমোহর ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং গুরুতর
আহত নুরুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শরীরের একটা বড় অংশ পুড়ে যাওয়া মুমুর্ষ নুরুল ইসলাম
তখনও জানতেন না যে তাঁর সন্তান মারা গেছেন। নুরুল
ইসলামের মুখের সামনে মাইক্রোফোন নিয়ে
আমাদের এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিল, ‘আপনার
সন্তান মারা যাওয়ায় আপনার অনুভূতি কী?’ হায়, কী
নিষ্ঠুর হতে পারে কিছু মানুষ! এগুলো কি বিচ্ছিন্ন
ঘটনা? অনেকেই হয়তো তা-ই বলবেন, কিন্তু বিচ্ছিন্ন
ঘটনার প্রকোপ যখন অনেক বেশি হয়ে যায়, তখন সেটা
এড়িয়ে যাওয়ার আর সুযোগ থাকছে না। এই সমস্যার
বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হরেদরে সাংবাদিক
পরিচয় ব্যবহারের সুযোগ। এই সুযোগ নিয়ন্ত্রন করতে
হবে এবং এই নিয়ন্ত্রন আরোপে প্রকৃত
সাংবাদিকদের সাহসী উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
মিডিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
প্রতিভাবান তরুণরা এই সেক্টরে আসছেন না বলে
অনেক সময়ই প্রায় অযোগ্য কিছু মানুষকে দিয়ে কাজ
চালানো শুরু হয়েছে। এদের কোনো প্রশিক্ষনের
ব্যবস্থা করেনি অধিকাংশ চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রশিক্ষণ বিহীন, সাংবাদিকতা সম্পর্কে নূন্যতম
জ্ঞানবিহীন অদক্ষরা সদ্য শিং গজানো বাছুরের
মতো বুকে আইডি কার্ড ঝুলিয়ে উন্মত্তের মতো
আচরণ করছে। এরা রাস্তায় ট্রাফিক আইন ভাঙে,
সরকারি বেসরকারি অফিসে গিয়ে ধমক দিয়ে কাজ
করতে চায়। এর বাইরে আছে স্বঘোষিত
ধান্দাবাজদের ‘সাংবাদিক’ হয়ে ওঠা। পাড়া
মহল্লার সাময়িকী কি এক পাতার কিছু একটা
ছাপিয়েই কিছু লোক স্বঘোষিত সাংবাদিক হয়ে
পড়ছে। যেনতেন প্রকারে আন্ডারগ্রাউন্ড একটি
পত্রিকা বের করে চলছে ব্ল্যাকমেইলিং আর
চাঁদাবাজির উৎসব। এসব ‘সাংবাদিক’দের দায় নিতে
হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে। পাঠক কি জানেন,
ঢাকা শহরে ‘প্রাইভেট’ নাম দিয়ে যে হাজার হাজার
সিএনজি চালিত ধূষর অটোরিক্সাগুলো চলছে,
এগুলোর অনুমোদন নেয়া হয়েছে এসব ভূইফোঁড়
পত্রিকা আর সংবাদ সংস্থার নামে। ঢাকা শহরে
যতগুলো ‘সাংবাদিক’ স্টিকার লাগানো
মাইক্রোবাস চলাচল করে, এর অধিকাংশই আসলে
রেন্ট-এ-কারের গাড়ি, এর সঙ্গে প্রকৃত
সাংবাদিকদের কোনো সম্পর্কই নেই। এখন কথা
হচ্ছে এসব সামলাবে কে? আমি এজন্য একটি
নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিধিমালা তৈরির
পক্ষে। সব পেশারই লাইসেন্স প্রদানকারী একটি
প্রতিষ্ঠান থাকে। আপনি এমনকি চিকিৎসা
বিজ্ঞানের সব বই পড়ে ঝালাপালা হয়ে গেলেও
চিকিৎসা শুরু করার আগে আপনাকে সনদ নিতে হবে।
এই সনদ গ্রহনের মাধ্যমে আপনি নূন্যতম নিয়মনীতি ও
পেশাগত সততার প্রতি অঙ্গীকার করতে হয়। আপনি
আইন পাশ করলেও সরাসরি বিচার কার্যে অংশ নিতে
পারবেন না, এজন্য আপনাকে তালিকাভুক্ত ও
সনদধারী আইনজীবি হতে হবে। একাউন্টেন্ট হতে
হলেও আপনাকে শুধু হিসাববিজ্ঞান জানলে চলবে
না, সংশ্লিষ্ঠ পেশাগত প্রতিষ্ঠানের সনদ নিতে হবে।
এসব সনদের কারণে একজন পেশাজীবি তাঁর নিজের
পেশার প্রতি সৎ থাকার অঙ্গীকার করেন। সনদ
থাকার কারণে আমরা সাধারণ মানুষরা বুঝতে পারি
যে এই চিকিৎসক কি আইনজীবি আসলেই আমাকে
সেবা দেয়ার যোগ্যতা অর্জণ করেছেন কী না।
সেবা প্রদানে গুরুতর কোনো অনৈতিকতা থাকলে
আমরা বিচারপ্রার্থী হতে পারি এবং দায়ী ব্যক্তির
সনদ বাতিল করে তাঁকে পেশা থেকে সরিয়ে দেয়ার
ব্যবস্থা আছে। তাই এই ধরনের পেশাদারিত্বের
নিবন্ধন ও সনদ একজন মানুষকে নিজ পেশায়
দায়িত্বশীল হতে বাধ্য করে। সাংবাদিকতাও একটি
স্পর্শকাতর পেশা। যে কারো হাতে যেভাবে
ছুরিকাঁিচ তুলে দিয়ে অপারেশনের সার্জন বানিয়ে
দেয়া গ্রহনযোগ্য হয় না, একই ভাবে যে কারো হাতে
কলম-ক্যামেরা-বুম তুলে দিয়ে তাঁকে সংবাদ সংগ্রহ
ও প্রচারের দায়িত্ব দেওয়াটাও গ্রহণযোগ্য হওয়া
উচিত নয়। আমি আশা করি সাংবাদিকদের
পেশাদারিত্বের সনদ দেয়ার এখতিয়ার দিয়ে একটি
কর্তৃপক্ষ তৈরির ব্যাপারে মিডিয়া সংশ্লিষ্ঠ সকল
মহল গুরুত্ব দিয়ে ভাববেন। এরকম প্রতিষ্ঠানের
রূপরেখা কীভাবে হবে, সনদ পাওয়ার জন্য কোনো
প্রশিক্ষন, অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য শর্তাবলী কী
হবে এ ব্যাপারে দেশের অভিজ্ঞ সংবাদকর্মীদের
সহায়তায় একটি গ্রহনযোগ্য সমাধান পাওয়া সম্ভব।
এই কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জন্য আচরণবিধি তৈরি
ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবে এবং তাঁদেরকে
সেগুলো মেনে চলতে উৎসাহিত এবং ক্ষেত্রবিশেষে
বাধ্যও করবে। অনেকেই হয়তো আমার এই প্রস্তাবকে
সাংবাদিক নিয়ন্ত্রনের মনোভাব হিসেবে দেখতে
চাইবেন। কিন্তু আমার মনে হয় বরং প্রকৃত
সাংবাদিকদেরই উচিত হবে এ বিষয়ে অগ্রনী ভুমিকা
নেয়া। আমাদের নিজেদের পেশার সুনাম রক্ষার
জন্যই সাংবাদিকতার বাগান থেকে আগাছা দূর
করার ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়েছে।

শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

কেন বিমান মন্ত্রণালয় থেকে সরানো হলো মেননকে?

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com


বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে বুধবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মেনন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। বুধবার দুপুরে মেননকে বিমান মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ছড়িয়ে পড়লে সিভিল এভিয়েশন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকায় সবার মুখে মুখে ছিল বিষয়টি।
অনেকেই মন্ত্রীর সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে করছিলেন চুলচেরা বিশ্লেষণ। অনেকেই মনে করছেন কার্গো রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ভিভিঅাইপি ফ্লাইটে নাট-বল্টু ঢিলা, এবং ফ্লাইটে নিরাপত্তা দিতে না পারার কারণে তাকে বিমানমন্ত্রীর চেয়ার হারাতে হয়েছে। আবার প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে দায়িত্বে অবহেলা এবং গাফিলতির ঘটনায় তদন্তে কাউকে দোষী সাব্যস্ত না করতে পারাও একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
তবে এসব বিষয়ে রাশেদ খান মেনন জাগো নিউজকে বলেন, আমি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী থাকাকালে কোনোরকম দুর্নীতি ও অনিয়মকে প্রশ্রয় দেইনি। সরকার যেখানে চাইবে সেখানেই আমাদের কাজ করতে হবে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সম্মেলনে যোগ দিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিভিআইপি ওই ফ্লাইটে পূর্বনির্ধারিত মেন্যু অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হয় বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি) থেকে। সরকারের সব সংস্থার উপস্থিতিতে খাবার তৈরি করে বিএফসিসির একটি কক্ষে সিলগালা করে রাখা হয়। ফ্লাইটের দিন সকালে ফ্লাইটে খাবার ওঠানোর সময় সিকিউরিটি ট্যাগ ছাড়া দুটি স্যুপের ফ্লাস্ক দেখতে পায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। সঙ্গে সঙ্গে তারা ফ্লাস্ক দুটি বিএফসিসিতে ফেরত পাঠান।
দুই ফ্লাস্কের একটিতে চিকেন একং একটিতে ভেজিটেবল স্যুপ ছিল। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয় বিমানে।
অনেকেই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য পরীক্ষা করা খাবারের সঙ্গে কীভাবে নিরাপত্তা পরীক্ষা ছাড়া দুটি ফ্লাস্ক ভিভিআইপি ফ্লাইটে পাঠনো হলো সে ব্যাপারে লোক দেখানো তদন্ত কমিটি করা হলেও সন্তোষজনক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বুদাপেস্টগামী ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণের ঘটনায় দেশ-বিদেশে তোলপাড় উঠেছিল। সেবারও ঘটেছে খাবার নিয়ে গাফিলতির ঘটনা।
ওই ঘটনায় ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের সহকারী ব্যবস্থাপককে সাময়িক বরখাস্ত করলেও মন্ত্রণালয়ের তদন্তে নির্দোষ উল্লেখ হওয়ায় কোনো শাস্তি দেয়া যায়নি। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্লাইটে নিরাপত্তা না দিতে পারা ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে জেলে থাকা ১৯ জন প্রকৌশলীকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন মন্ত্রণালয়েরই তদন্ত রিপোর্টের সূত্র ধরে