বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণ প্রত্যাশিদের জানার জন্য অগুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।




 ♥♥♥♥ মোঃআবুল কালাম আজাদ♥♥♥♥

      সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণার্থির যোগ্যতা যোগ্যতা,
বাছাইয়ের স্থান তারিখ সময় সম্পর্কে জানতে খবরের
কাগজটি সংগ্রহ করুন। যাদের কাছে খবরের কাগজ
পৌছাবেনা তাদের সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে
ওয়েবসাইটে এবং ফেসবুকে পেজ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত
হবে। https://www.facebook.com/bdansarbahini/
সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণ প্রত্যাশিদের জানার জন্য
অগুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যঃ
১. সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণার্থি বাছাই স্থায়ী
কোন সরকারী চাকুরী নয়। যারা উচ্চ শিক্ষিত এবং
স্থায়ী সরকারী চাকুরী খুঁজছেন তাদের এখানে
আবেদন করার দরকার নেই।
২. এ প্রশিক্ষণ তাদের জন্য যাদের স্থায়ী সরকারী
চাকুরিতে আবেদন করার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই।
৩. আবেদনকারীদের বাছাই করা হবে দুটিধাপে।
প্রাথমিক বাছাই শারিরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে।
দ্বিতীয়ধাপে হবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
৪. জেলা কোটা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক
প্রশিক্ষণার্থির চুড়ান্ত বাছাই হবে সফটওয়ারের
মাধ্যমে। সুতরাং কাউকে কোন অনুরোধ করে, সুপারিশ
করে কোন ফল হবে না।
৫. সঠিক আবেদন ফরম পুরণ ও দাখিল করা হলে
আবেদনের শেষ ধাপে অনলাইন সিস্টেমে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবেশপত্র তৈরি হবে। উক্ত প্রবেশ
পত্রে আবেদনকারীর আবেদন আইডি, ছবি, জেলা,
বিভাগ,ও বয়সের তথ্য থাকবে। প্রবেশ পত্রটি অবশ্য
অবশ্যই প্রিন্ট করে নিতে হবে। প্রবেশ পত্র ছাড়া
বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করা যাবে না কোন ক্ররমেই।
৬. আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক জাতীয়
পরিচয়পত্র নম্বর। ভূয়া নম্বর প্রমানিত হলে প্রশিক্ষণ
গ্রহন করেও লাভ হবে না। সঠিক জাতীয় পরিচয়পত্র
ছাড়া স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট করা যায় না।
৭. আবেদনে জন্ম নিবন্ধন নম্বর গ্রহণযোগ্য হবে না।
কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রের স্থলে জন্মনিবন্ধন নম্বর
দিয়ে আবেদন করলে বাছাই কালে বাদ পড়ে যাবে।
সফটওয়ারে এর ব্যবহার নেই।
৮. আবেদনকারীগণ নির্বাচিত হওয়ার অাকাংখায়
কাউকে টাকা পয়সা দিয়ে প্রতারিত হবেন না।
সফটওয়ার কোন সুপারিশ ও অনুরোধ গ্রহন করে না।
৯. ভিডিপি সদস্য ও অধিক উচ্চতা সম্পন্ন প্রার্থিগণ
সফটওয়ারে অগ্রাধিকার পাবেন। ভূল উচ্চতা
বাছাইকালে সংশোধন করা হবে।
১০. এবার কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী
রেঞ্জের অধীন জেলার প্রার্থিগণ আবেদন করতে
পারবেন।
আরও পরামর্শ থাকবে। এ পেইজের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ। সবার জন্য শুভকামনা।https://www.facebook.com/bdansarbahini/

বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শয্যা সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না বাড়াতে হবে চিকিৎসাসেবাও।


          ♥ ♥♥♥ মোঃআবুল কালাম আজাদ। ♥♥♥♥♥

★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
 স্বাস্থ্য অধিদফতর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
(চমেক) হাসপাতালে আরো ৫০০ শয্যা বাড়ানোর
সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সংবাদ চট্টগ্রামে বসবাসরত
নাগরিকদের জন্য বড় সুসংবাদ। গতকাল দৈনিক
আজাদীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
‘বর্তমান অবকাঠামো উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণের
মাধ্যমে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ’
শীর্ষক এক প্রকল্পের আওতায় শয্যা সংখ্যা
বাড়ানোর এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য
অধিদফতর। চমেক হাসপাতালসহ দেশের পুরাতন মোট
৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ প্রকল্পের
আওতায় রয়েছে। বাকি চারটি হাসপাতালের মধ্যে
রয়েছে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল
কলেজ হাসপাতাল, বরিশালের শেরে বাংলা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রাজশাহী ও
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এ প্রকল্পের
আওতায় অতিরিক্ত ৫০০ শয্যা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে
হাসপাতালগুলোর কাছে তথ্য–উপাত্ত চেয়ে গত ৮
ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সরকারের এ প্রয়াসের জন্য সাধুবাদ জানাতেই হয়।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ
বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। দেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার
হ্রাসসহ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে
বাংলাদেশের সাফল্য অনেক। তৃণমূল পর্যায়ে
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ
করেছে সরকার। দেশে আজ আধুনিক মানের
চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে।
টেলিমেডিসিনসহ আরও নতুন নতুন আবিষ্কারের
মাধ্যমে চিকিৎসাবিদ্যায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
এসেছে। সকল ইতিবাচক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল
মিলিয়ে বিশেষায়িত শিক্ষার মাধ্যমে
বাংলাদেশে সকল রোগ নিরাময়ে দেশের চিকিৎসা
বিজ্ঞানকে আরও এগিয়ে নিতে সরকারের প্রচেষ্টা
অব্যাহত রয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
সেক্টরের উন্নয়ন আজ বিশ্বের অনেক দেশের জন্য
মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা
চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে নিরলস কাজ করে
যাচ্ছেন। চিকিৎসা সেক্টরের উন্নয়নের বিষয়টি আজ
বিদেশীদের মুখেই প্রকাশ পাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মেডিকেল জার্নাল ল্যান্সেটে
প্রকাশিত এক গবেষণার মতে, স্বাস্থ্যসেবাখাতে
বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ভারত। এতে বলা হয়,
বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে
ভারতের অবস্থান ১৫৪তম। অথচ বাংলাদেশ ৫২তম
অবস্থানে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের
আর্থ–সামাজিক উন্নয়নের পরেও স্বাস্থ্যসেবায়
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভারত ব্যর্থ হয়েছে। গত ২৫
বছরে আশানুরূপ স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারেনি
দেশটি। চীন, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের চেয়েও
ভারতের অবস্থান নিচের দিকে।
তবে সার্বিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে
গেলেও চট্টগ্রামের চিকিৎসাব্যবস্থায় রয়েছে বড়
সংকট। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বছরের পর বছর
ধরে চলছে এই সংকট। লোকবল সংকট,
পেশাদারিত্বের অভাব, ডাক্তার ও নার্সের সংকট
এবং জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায়
স্বাস্থ্যসেবায় বিরাজ করছে করুণ–দশা। উপজেলা
স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর কথা বাদ দিলেও চট্টগ্রাম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কথা লিখতে গেলে
বলা যায়, এখানে আসা রোগীরা চিকিৎসায়
ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
হাসপাতালে চিকিৎসক থাকলেও নেই উপযুক্ত
চিকিৎসা সরঞ্জাম। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে
অ্যাম্বুলেন্স সংকট। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে
পড়ে রয়েছে চিকিৎসাকাজে ব্যবহূত যন্ত্রপাতি।
ফলে রোগীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।
আজাদীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
মাত্র ৫০০ শয্যার অবকাঠামোতে নির্মিত চট্টগ্রাম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান শয্যা
সংখ্যা ১ হাজার ৩১৩। প্রশাসনিক আদেশে ৩/৪ বছর
আগে এই শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও বাড়েনি
জনবল। অধিকন্তু ১ হাজার ৩১৩ শয্যার বিপরীতে
প্রতিনিয়ত প্রায় ৩ হাজার রোগী ভর্তি থাকছে
গরিবের হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত এই
হাসপাতালে। তবে এই তিন হাজার রোগীর সেবা
চলছে সে–ই ৫০০ শয্যার জনবলেই। তাছাড়া ৪২টি
ওয়ার্ড বিশিষ্ট এই হাসপাতালে স্থান সংকটও চরম
পর্যায়ে। শয্যা ছাড়িয়ে মেঝে, বারান্দা, করিডোর
এমনকি সিঁড়িতেও রাখতে হচ্ছে রোগীকে। জনবল ও
স্থানের এমন চরম সংকট নিয়ে এতদঞ্চলের বিশাল
সংখ্যক রোগীর চাপ যেন আর নিতে পারছে না
হাসপাতালটি। সবমিলিয়ে গরিবের এ হাসপাতালটি
বর্তমানে রোগীর ভারে বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতি
হতে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে বিদ্যমান
হাসপাতালের জন্য ১ হাজার শয্যা ধারণ ক্ষমতার
নতুন একটি ভবন নির্মাণের পাশাপাশি নগরে
বিশেষায়িত আরো তিনটি হাসপাতালের প্রস্তাব
করে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে কেবল শয্যা সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না,
চিকিৎসাসেবাও বাড়াতে হবে। হাসপাতালের
গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ও জনবল বৃদ্ধি করে
চিকিৎসাসেবায় গতি আনতে হবে। রোগীরা যেন
হয়রানির শিকার না হয়, যেন ন্যায্য চিকিৎসা লাভ
করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা জরুরি।

বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

♥বিদ্রোহী♥-কাজী নজরুল ইসলাম

। বিদ্রোহী

-- কাজী্ নজরুল ইসলাম

কবিতা (বিদ্রোহী)
azadbd24 প্রকাশ করলেন -এ,কে,আজাদ)

বল বীর -
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি আমারি, নত শির ওই শিখর হিমাদ্রির!

বল বীর -
বল মহা বিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলোক ভেদিয়া,
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির বিস্ময় আমি বিশ্ব বিধাত্রীর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

বল বীর-
আমি চির উন্নত শির। 
আমি চিরদুর্দ্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,
মহা-প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস,
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর!
আমি দুর্বার,
আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দলে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধুর্জ্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর!
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সূত বিশ্ব-বিধাত্রীর!

বল বীর-
চির-উন্নত মম শির! 
আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি,
আমি পথ-সমুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি।
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনান্দ।
আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,
আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি' ছমকি'
পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি'
ফিং দিয়া দিই তিন দোল্‌;
আমি চপলা-চপল হিন্দোল।
আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা',
করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!
আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর;
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।

বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির! 
আমি চির-দূরণ্ত দুর্মদ,
আমি দুর্দম, মম প্রানের পেয়ালা হর্দম্‌ হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ। 
আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি,
আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।
আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,
আমি অবসান, নিশাবসান।
আমি ইন্দ্রানী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য
মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতূর্য;
আমি কৃষ্ণ-কণ্ঠ, মণ্থন-বিষ পিয়া ব্যাথা-বারিধির।
আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।
https://www.facebook.com/Azadbd24com-1617041165258840/

বল বীর-
চির- উন্নত মম শির! 
আমি সন্ন্যাসী, সুর-সৈনিক,
আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক।
আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিশ,
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!
আমি বজ্র, আমি ইশান-বিষানে ওঙ্কার,
আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা-হুঙ্কার,
আমি পিনাক-পানির ডমরু ত্রিশুল, ধর্মরাজের দন্ড,
আমি চক্র ও মহা শঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড!
আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য,
আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব।
আমি প্রাণ-খোলা হাসি উল্লাস,-আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস
আমি মহা-প্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু-গ্রাস!
আমি কভু প্রশান্ত,-কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,
আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী!
আমি প্রভঞ্জনের উচ্ছ্বাস, আমি বারিধির মহাকল্লোল,
আমি উজ্জ্বল আমি প্রোজ্জ্বল,
আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল-উর্মির হিন্দোল দোল! 
আমি বন্ধন-হারা কুমারীর বেণী, তন্বী-নয়নে বহ্নি,
আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!
আমি উন্মন মন উদাসীর,
আমি বিধবার বুকে ক্রন্দণ শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর!
আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির-গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম-বেদনা, বিষ-জ্বালা, প্রিয়-লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের!
আমি অভিমানী চির-ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,
চিত- চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম পরশ কুমারীর!
আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক’রে দেখা অনুখণ,
আমি চপল মেয়ের ভালবাসা, তা'র কাঁকন চুড়ির কন্ কন্।

আমি চির-শিশু, চির-কিশোর
আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচর কাঁচলি নিচোর!
আমি উত্তর-বায়ু, মলয়-অনিল, উদাস পূরবী হাওয়া,
আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেনু-বীণে গান গাওয়া।
আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি,
আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়া-ছবি।
আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি এ কি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!
আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ! 
আমি উত্থান, আমি পতন, আমি অচেতন-চিতে চেতন,
আমি বিশ্ব-তোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়-কেতন।
ছুটি ঝড়ের মতন করতালি দিয়া
স্বর্গ মর্ত্য-করতলে,
তাজী বোর্‌রাক্‌ আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার
হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলে! 
আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নিয়াদ্রি, বাড়ব-বহ্নি, কালানল,
আমি পাতালে মাতাল অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল!
আমি তড়িতে চড়িয়া উরে চলি জোর তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ,
আমি ত্রাস সঞ্চারি ভূবনে সহসা সঞ্চারী' ভুমিকম্প। 

ধরি বাসুকির ফনা জাপটি-
ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি'।
আমি দেব-শিশু, আমি চঞ্চল,
আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল!
আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,
মহা- সিন্ধু উতলা ঘুম্-ঘুম্,
ঘুম্ চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝ্‌ঝুম্
মম বাঁশরীর তানে পাশরি
আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।
আমি রুষে উঠে’ যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,
ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!

আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া! 
আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা,
কভু ধরণীরে করি বরণীয়া, কভু বিপুল-ধ্বংস-ধন্যা-
আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ঞু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!
আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি,
আমি ধূমকেতু-জ্বালা, বিষধর কাল-ফণী!
আমি ছিন্নমন্তা চণ্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী,
আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি! 
আমি মৃন্ময়, আমি চিন্ময়,
আমি অজয় অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়!
আমি মানব দানব দেবতার ভয়,
বিশ্বের আমি চির-দুর্জয়,
জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,
আমি তাথিয়া তাথিয়া মথিয়া ফিরি এ স্বর্গ পাতাল-মর্ত্য!
আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!
আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!!
হাবিয়া দোজখ-সপ্তম নরক, এই নরকই ভীষনতম। 

আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার,
নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!
আমি হল বলরাম-স্কন্ধে,
আমি উপাড়ি' ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে, 
মহা- বিদ্রোহী রণ-কাল্ত,
আমি সেইদিন সব শান্ত,
যবে উত্পীড়িতের ক্রন্দণ-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না

অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত। 
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন;
আমি স্রষ্টা-সুদন; শোক-তাপ হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন।
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!
আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন। 

আমি চির-বিদ্রোহী-বীর-
আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির! https://www.facebook.com/azadbd24com

রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি মাস শুরু।


রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি মাস শুরু

বৃহস্পতিবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ
24
স্টাব/এ,কে,আজাদ
আমার ভাই এর রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ণ্ডরক্তে রাঙানো সেই ফেব্রুয়ারি মাস– ভাষা আন্দোলনের মাস শুরু আজ থেকে। এ দিন থেকে ধ্বনিত হবে সেই অমর সঙ্গীতের অমিয় বাণী। বাঙালি জাতি পুরো মাস জুড়ে ভালোবাসা জানাবে ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসনশোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালামজব্বারশফিকবরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরে নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। খবর বাসসের।

বস্তুত ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাবহ হলেও অন্যদিকে আছে এর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কারণ পৃথিবীর একমাত্র জাতি বাঙালি ভাষার জন্য এ মাসে জীবন দিয়েছিল। আর তাই দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও স্বীকৃত। একুশের মাসের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হচ্ছে আজ থেকে। বাংলা একাডেমিতে বিকেল তিনটায় এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিকরাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ মাসে আয়োজন করেছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।
দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’ শেহ্মাগানে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনের কবিতা উৎসব। প্রতি বছরের মত এবারও উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে। সকালে উৎসবের উদ্বোধন করবেন কবি আসাদ চৌধুরী।