https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
সহস্রাব্দের নিষ্ঠুরতা
আমাকে অনুক্ষণ ক্ষত-বিক্ষত করে ;
আমি ঘুমুতে পারি না।
আমার দুটো শ্রান্ত আঁখি
তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে,
মুহূর্তেই বীভৎস স্বপ্ন দেখে আঁতকে উঠি ;
আমি ঘুমুতে পারি না।
মানুষ তো আমি !
কে বলবে এই কথা মিথ্যে ?
জেগে জেগে কত যে স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন !
দেখি আর ভেঙে যায়,
ভেঙে যায় আবার শুরু করি।
স্বপ্নের এই ভাঙা-গড়াতেই দিন চলে যায় ;
আমি ঘুমুতে পারি না।
২. মাক্কি আমার মা
মাক্কি,তুমি কেমন আছ জানতে ইচ্ছে করে,
দু'চোখ ভরে তোমায় শুধু দেখতে ইচ্ছে করে।
তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে,
পরান ভরে তোমার কথা শুনতে ইচ্ছে করে।
তোমার মুখে সুখের হাসি দেখতে ইচ্ছে করে,
তোমার কোলে সারা জীবন বাঁচতে ইচ্ছে
নতুন এক প্রচলন শুরু হয়েছে। লাখ লাখ টাকা খরচ করে
বক্তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওয়াজ
মাহফিলে...
ব্যাপারটি আস্তে আস্তে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। লাখ
টাকার হেলিকপ্টারে উড়ে গিয়ে বক্তারা যখন ইনিয়ে-
বিনিয়ে বলেন, ‘আমার নবীর ঘরে খেজুর পাতার ছাউনি
ছিল! এক নাগারে তিনদিন নবীর চুলায় আগুন জ্বলত না!
পেটে পাথর বেঁধে দিনের পর দিন দ্বীনের কাজ করে
গেছেন আমার নবী...।’
তখন তাদের লজ্জা করে কিনা জানি না, আমরা শুনে
লজ্জা পাই। আমার যদি ক্ষমতা থাকত, তাহলে ফতোয়া
জারি করতাম, হেলিকপ্টারে গিয়ে ওয়াজ করা এবং
তাদের ওয়াজ শোনা- দুটোই হারাম! সাফ হারাম।
নতুন এক প্রচলন শুরু হয়েছে আজকাল। লাখ লাখ টাকা খরচ
করে বক্তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঘণ্টা
দুয়েকের জন্য। আমার মনে হয়, হেলিকপ্টারে করে গিয়ে
যাদের বয়ান করার শখ, তাদের বয়ান থেকে এক পয়সার
হেদায়েত আশা করা বোকামি। হেদায়েত মুখের কথায়
আসে না। হেদায়েতের সঙ্গে সহিহ নিয়ত এবং তাকওয়ার
(একনিষ্ঠতা) সম্পর্ক জড়িত।
বিশ্ববাসীর জন্য রহমত, আমার নবী দিনের পর দিন না
খেয়ে থেকে দ্বীনের কথা বলেছেন। সাহাবায়ে কেরাম
গাছের পাতা খেয়ে ওয়াজ করে বেড়িয়েছেন। আমরা
ছোট থেকে বড় হওয়ার পথে আমাদের বুজুর্গদের দেখেছি
মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে গিয়ে ওয়াজ করতে। এমনও
হয়েছে যে, ওয়াজ করে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিদায়
না নিয়েই চলে গেছেন। হাদিয়ার টাকা দেওয়ার জন্য
কর্তৃপক্ষ তাদের অনেককে খুঁজেও পায়নি।
আর এখন...
-১৫ হাজার, ২৫ হাজার, ৩০ হাজার...
-আগাম ফরম পূরণ, এডভান্স---বকেয়া...
গাড়ির তেল, ড্রাইভারের হাদিয়া, বিমানের টিকেট...
এভাবে যারা চুক্তির মাধ্যমে দরদাম করে ওয়াজ করে
বেড়ায় (বেড়ান নয়), সময় এসেছে তাদেরকে চিহ্নিত
করার। ওয়াজের দাওয়াত দিলে যারা আগাম টাকার
কথা বলবে- তাদেরকে মুখের ওপর ‘না’ বলে দিতে হবে।
আর এ কথা সবাইকে জানিয়ে দিতে হবে। বলতে হবে
অমুক বক্তা ওয়াজ করার জন্য, ইসলামের কথা শোনানোর
জন্য, কোরআনের বাণী শোনানোর, হাদিসে শিক্ষার
কথা আমাদের জানানো জন্য টাকা দাবি করেছেন।
আমরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছি; আপনারাও করুন।
দুই .
মাঝে-মধ্যেই শুনি এমন বক্তাদের সুবিধাভোগী কিংবা
তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কেউ কেউ বলেন, গান গাইতে
আসা শিল্পীদের লাখ লাখ টাকা দেওয়া হয়, সেখানে
আমরা কিছু বলি না। আর কোরআনের কথা বলা বক্তাদের
বেশি বেশি টাকা-পয়সা দেওয়া নিয়ে আমরা কেন কথা
বলি?
কিসের সঙ্গে কী মেলানো হয়! ওরা তো প্রফেশনাল
শিল্পী। ওরা গান গায়। ওরা হালাল-হারামের সূত্র
মেনে হারমোনিয়ামে সূর তুলে না। ওরা জান্নাত-
জাহান্নামের কথা ভেবে তবলায় থাবা মারে না। ওরা
মানুষকে বলে না- গান শুনে অশেষ নেকি হাসিল করুন।
আর ওদের সঙ্গেই যদি তুলনা দিতে হয়, তাহলে তেমন
বক্তাদেরও উচিত একটা করে আরবি ব্যান্ডের নাম
দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া। মানুষ জানতে পারবে- কার
রেট কত! খামাখা সময় নষ্ট হবে না।
হ্যাঁ, মানছি- বক্তারও পেট-পিঠ আছে। বউ-বাচ্চা আছে।
সুতরাং স্বেচ্ছায় কেউ যদি দশ-বিশ হাজার দেয়- সেটা
ভিন্নকথা। মানুষ কি কোনো বক্তাকে হাদিয়া না দিয়ে
বিদায় দেয়? এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। তবুও তাদের
জিহ্বা এত লম্বা কেনো?
তিন.
বাংলাদেশে হেলিকপ্টার ভাড়া প্রতি ঘণ্টা ৬০ থেকে
১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে ট্যাক্স,
ইন্সুরেন্স ও ওয়েটিং চার্জ। একসঙ্গে অনেক টাকার
হিসাব। এতগুলো টাকা একজন বক্তার পেছনে কোন
বিবেকে ঢালা হয়? কী লাভ হয়?
বলবেন, হেলিকপ্টারের ভাড়া ভক্তরা দিয়ে দেয়। প্রশ্ন
হলো, সেই সহজ-সরল ভক্তদের ব্রেইনটা ওয়াশ করল কে?
কে তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিল অমুক মাওলানাকে
হেলিকপ্টারে উড়িয়ে এনে ওয়াজ করালে সওয়াব হবে?
কেন সওয়াব প্রত্যাশী ওই সহজ-সরল দ্বীনদার মানুষটিকে
বুঝিয়ে বলা হয় না- বাবারে! তোমার গ্রামে খোঁজ
নিয়ে দেখ; কন্যাদায়গ্রস্ত অনেক পিতার রাতে ঘুম হয়
না। টাকাগুলো হেলিকপ্টারের পেছনে খরচ না করে ওই
মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করে দাও। নিশ্চিত কবুল হবে।
একটু খোঁজ নাও। দেখবে তোমার গ্রামেরই অনেক ঘরের
বাচ্চা দুইবেলা পেটভরে খেতে পায় না। পেটে ক্ষুধা
নিয়ে রাতে বিছানায় ছটফট করে ঘুমিয়ে যায়।
টাকাগুলো ওদের জন্য খরচ করো। আল্লাহ খুশি হবেন।
কিয়ামতের দিন বলবেন, বান্দা আমার কাছে আয়।
আমার অসহায় গরিব বান্দাকে তুই খাইয়েছিলি। তুই
আসলে তাকে খাওয়াসনি। আমি আল্লাহকেই
খাইয়েছিলি। আয় আমার কাছে আয়।
চার.
আজকাল অনেক মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলেও
হেলিকপ্টারে বক্তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ খোঁজ
নিলে দেখা যাবে, ওই মাদরাসার শিক্ষকের বেতন
বাকি কয়েক মাসের। বলি, এটা কেমন ন্যায়বিচার!
সারা বছর পড়িয়ে শিক্ষকরা ত্রিশ-চল্লিশ হাজারও
বেতন পান না। আর একজন বক্তা এসে এক ঘণ্টা গলা
বাজিয়ে এক লাখ টাকা সাবাড় করে চলে যাবে? হয় না।
হতে পারে না। হওয়া উচিত না।
তা ছাড়া মাদ্রাসায় এমন মূল্যের বক্তাদের দিয়ে ওয়াজ
করাতেইবা হবে কেন? এলাকার সাধারণ মুসলমানদের
ইসলাম, কোরআন ও হেদায়তের কথা বলে বোঝানোর
যোগ্যতা কি সেই মাদ্রাসার উস্তাদদের নাই?
হয়তো বলা হবে, উনাদের বয়ানে বেশি মানুষ এসে বসবে
না। বরং গীতিকার ও সুরকার টাইপ বক্তাদের নাম
পোস্টারে দিলে মানুষের ঢল নামবে। জলসা ভরপুর
কামিয়াব হবে! বলি-
কামিয়াবি কারে কয়?
উদ্দেশ্য কী ওয়াজের?
লাখো মানুষের সমাগম?
আলিশান ডেকোরেশন করে লোক দেখানো?
এ সব যদি ওয়াজ মাহফিলের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তাহলে
ঠিক আছে। যে দরের খরিদ, সেই দরেই বিক্রি হোক।
আর যদি ওয়াজ হেদায়তের উদ্দেশ্য হয়, খোদার কসম
করে বলি; সহিহ বোখারি-মুসলিম যারা পড়ান, তাদের
কথায় মানুষের মধ্যে যে প্রভাব পড়বে, গলাবাজ
বক্তাদের ওয়াজে তার দশমিক শূন্য শূন্য একভাগ প্রভাবও
পড়বে না। পড়ছেও না।
কী দরকার লাখ লাখ লোক জড়ো করে হাসি-কান্নার
কোরাস গাওয়ানোর, যদি না পরিবর্তন আসে! একশ’
লোক জড়ো হোক, পাঁচজন হেদায়ত নিয়ে ঘরে ফিরুক।
এটাই তো ভালো। এটাই তো সফলতা।
আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাংক তহবিল লোপাটের
মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির
ঘটনা।
চুরি হওয়া আট কোটি দশ লাখ ডলার চলে গিয়েছিল
ফিলিপিনের ব্যাংক ও জুয়ার বাজারে । সে অর্থ ফেরত
আনার জন্য তদ্বিরও করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বিষয়টি
এখন সে দেশে অনেকটাই স্থবির আছে।
এর দুটো কারণ আছে বলে জানালেন ফিলিপিনের
ইনকোয়ারার পত্রিকার অনুসন্ধানী সাংবাদিক
ড্যাক্সিম লুকাস, যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ
চুরির ঘটনা প্রথমে বিস্তারিত ফাঁস করে ব্যাপক
আলোড়ন তোলেন।
প্রথমত, ফিলিপিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে
গেছে। দ্বিতীয়ত: সে দেশের অনেক কর্মকর্তা মনে
করেন, ব্যাংক তহবিল লোপাটের সাথে বাংলাদেশ
ব্যাংকের কেউ-কেউ জড়িত।
বিষয়টি নিয়ে ফিলিপিন সংসদের উচ্চ-কক্ষ সেনেটে
বেশ কয়েকবার শুনানিও হয়। টেলিফোনে দেয়া এক
সাক্ষাৎকারে মি: লুকাস বিবিসি বাংলাকে
জানিয়েছেন, ফিলিপিনের আইন-প্রণেতারা গত
কয়েকমাসে বিষয়টিকে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
গত বছরের মাঝামাঝি ফিলিপিনে সাধারণ নির্বাচন
হয়েছে। সে দেশে নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাসীন
হয়েছেন। দেশটির সংসদের উচ্চ-কক্ষ সেনেটে এখন নতুন
নেতৃত্ব। ফলে পরিস্থিতি কিছুটা বদলে গেছে।
মি: লুকাস বলেন, " গত বছর শুনানি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে
যেসব সেনেটর ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের অনেকেই
সর্বশেষ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেন নি। বিশেষ
করে যে সেনেটর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন,
তিনিও নির্বাচনে জয়লাভে ব্যর্থ হয়েছেন।
ফিলিপিনের আইন প্রণেতারা এখন দেশের অভ্যন্তরীণ
নানা বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশের
চুরি যাওয়া টাকার নিয়ে শুনানির বিষয়টি এখন চাপা
পড়ে আছে।"
এ শুনানি সহসা শুরু হবে কি-না সে বিষয়ে কোন ধারণা
করতে পারছেন না ফিলিপিনের এ সাংবাদিক। সে
দেশের আইন প্রণেতারা বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের
অর্থ ফিলিপিনে কোথাও আছে। কিন্তু এটি খুঁজে বের
করার বিষয়ে কেউ কোন আগ্রহ পাচ্ছে না।
এ টাকা চুরির ঘটনায় কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফিলিপিন
কর্তৃপক্ষ সে দেশে মামলা দায়ের করেছে। এদের মধ্যে
আরসিবিসি ব্যাংকের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা
রয়েছে।
এখন এ মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে।
ফিলিপিনে যাওয়া টাকার মধ্যে কিছু টাকা
বাংলাদেশ ফেরতও পেয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ টাকা
এখনো পায়নি।
আরও পড়ুন: লন্ডন হামলা: এ পর্যন্ত আমরা যা জানি
গত বছরের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী
আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চুরির
টাকা উদ্বার করতে ফিলিপিনের সহায়তা পাবার
আশায় সে দেশ সফর করেছিলেন। কিন্তু তাতে খুব একটা
লাভ হয়নি বলে মনে হচ্ছে।
সাংবাদিক মি: লুকাস জানালেন, " বাংলাদেশের
প্রতিনিধি দলকে ফিলিপিনের তরফ থেকে বলা হয়েছে,
রিজার্ভ চুরির হোতারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে
আছে বলে তাদের ধারণা। বাংলাদেশ তদন্তে কী
ধরনের তথ্য পাচ্ছে সেটিও ফিলিপিনকে দেখানোর
জন্য বলেন সে দেশের কর্মকর্তারা।"
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ফিলিপিন সফর করার পর
সেখানে আর কোন অগ্রগতি নেই বলে উল্লেখ করেন এ
অনুসন্ধানী সাংবাদিক।
মি: লুকাস জানালেন, তার সাথে ফিলিপিনের সাবেক
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশের উচ্চ
পর্যায়ের যে প্রতিনিধি দলটি ফিলিপিন সফর করেছিল,
তাদের সাথে তখন বৈঠক করেছিলেন সাবেক এ মন্ত্রী।
ফিলিপিনের কিছু কর্মকর্তা বিশ্বাস করেন, যারা এ
অপরাধের সূচনা করেছিল তারা বাংলাদেশের
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরের লোক।
" সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, বাংলাদেশ
অযথাই ফিলিপিনের ঘাড়ে বেশি দোষ চাপাচ্ছে।
অপরাধীরা হয়তো ঢাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে তিনি
মনে করেন," বলছিলেন সাংবাদিক মি: লুকাস।
বাংলাদেশের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত জন গোমেজকে
ফিলিপিনের নতুন প্রেসিডেন্ট মৌখিক আশ্বাস
দিয়েছিলেন যে অর্থ উদ্ধারে ফিলিপিন সরকার
সহায়তা করবে।
তবে ফিলিপিন্সের নতুন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে
তার উপরই নির্ভর করছে বিষয়টি কোন দিকে এগুবে।
তাছাড়া আদালতে যে মামলা এখন থমকে আছে সেটি
কবে নাগাদ নিষ্পত্তি হবে সে বিষয়ে কিছু বলা মুশকিল
বলে উল্লেখ করেন ফিলিপিনের অনুসন্ধানী
সাংবাদিক ড্যাক্সিম লুকাস।
সুত্র----বিবিসি http://www.bbc.com/bengali/news-39369659?ocid=socialflow_facebook
https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
তাহফিজে হারামাইন পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি
মাওলানা সাদেক আহমদ সিদ্দিকী এক বিবৃতিতে
পবিত্র কুরআনের আয়াত বিকৃতকারী প্রথম আলো
পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক আনিসুল হককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কথাশিল্পী আনিসুল হক ‘ছহি
রাজাকারনামা’- নামে একটি ব্যঙ্গাত্মক রচনায় পবিত্র
কুরআনের কয়েকটি আয়াতকে মারাত্মক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ
করেছে। কথাশিল্প আনিসুল হক, তসলিমা নাসরিন, দাউদ
হায়দার ও ইসলাম বিদ্বেষী বvগারদের মতো পবিত্র
কুরআনের অবমাননা করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে
চরম আঘাত দিয়েছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
আর তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ, যে রাজাকার। নিশ্চয়ই রাজাকারগণের জন্যে অতীতের চাইতে ভবিষ্যতকে উত্তম করিয়া সৃজন করা হইয়াছে। অতএব তোমরা তোমাদের প্রভু পাকিস্তানের প্রশংসা করো; নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু পাকিস্তানীরা ক্ষমাশীল।
যখন তোমাদিগকে বলা হইবে নেতা নির্বাচন করো, তখন তোমরা সেই ব্যক্তিকেই নির্বাচন করিবে, যাহার রাজাকারগিরি প্রমাণিত। আর তাহার মতো মূর্খ কে আছে, যে রাজাকার চিনিয়াও তাহাকে সম্মানিত না করিলো, আখেরে ইহারাই হইবে অভিশপ্ত। ইহাদের জন্যে সুকঠিন দারিদ্র্য অপেক্ষা করিতেছে। আর যে ব্যক্তি রাজাকার চিনিলো, এবং তাহাকে সম্মান করিলো, এবং তাহার পদাঙ্ক অনুসরণ করিলো, ইহাদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে সুমিষ্ট ফল, সুন্দরী রমণী আর সুদর্শন পুরুষ।
অনন্তর তোমাদের মধ্যে একটি স্বতন্ত্র গোষ্ঠীর সৃষ্টি হইবে যাহারা রাজাকারী রজ্জু উত্তমরূপে ধারণ করিবে, আর যাহারা রাজাকারী তরিকা আদমদিগের মধ্যে উত্তমরূপে প্রচার করিবে। যাহারা রাজাকার হিসাবে বাহির হয়, তাহারা শান-শওকতের পথে চলে।
সেই ব্যক্তিই উত্তম রাজাকার, যে বিবাহ করিবে একটি, দুইটি, তিনটি, চারটি, যেরূপ সে ইচ্ছা করে আর তাহার জন্যে বৈধ করা হইয়াছে ডান হাতের অধিকারভূক্ত দাসীদের, আর তাহারা ভোগ করিতে পারিবে বাঙ্গালী রমণীগণকে, অপিচ তাহাদের সহিত আদল করিবার দরকার হইবে না। স্মরণ রাখিও, মালেগণিমতগণের মহিত মিলিত হইবার পথে কোনরূপ বাধা থাকিলো না।
আর মনে রাখিবে, যে রাজাকারী পথে বাহির হয়, সে একা নহে, সৌদি-মার্কিনীরা তাহার সঙ্গে রহিয়াছে। সেই ব্যক্তি হতভাগ্য, যে রাজাকার হইতে সাহস করিলো না এবং মনে মনে বলিলো যে, আমি রাজাকার হইবো না, কেননা পশ্চাতে লোকে আমাকে গালি দিবে। আর প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার একেকটি আঙুলের জন্যে রহিয়াছে দশ দশটা পুরস্কার, আর যে ব্যক্তি একজন মুক্তিযোদ্ধার ডানপাঞ্জা কাটিতে সক্ষম হইলো, তাহার বরাতে ৭০ গুণ বেশি পেট্রোডলার লেখা হইলো। নিশ্চয়ই তোমাদের জন্যে রাজাকারী কাজের জন্যে পুরস্কার রহিয়াছে।
আর তোমরা কি অতীত হইতে শিক্ষাগ্রহণ করিবে না? গ্যালিলিও নামের এক পাপিষ্ঠ অতীতে সত্য অস্বীকার করিয়াছিল, এবং সে কি প্রাপ্ত হয় নাই চরম শাস্তি? আর রাজাকারগণ যাহাকে শাস্তি দিতে ইচ্ছা করেন, তাহাকে নিজ হস্তে শাস্তি দেন। আঙুল কাটিয়া ফেলা হইতে শুরু করিয়া মুণ্ডু কাটিয়া ফেলা - বিপথগামীদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে ভয়ঙ্কর শাস্তি। আর তোমরা কি সেই গোষ্ঠীর বংশধর নহ, যাহারা অতীতে তিরিশ লক্ষ বেদ্বীনকে কতল করিয়াছে? নিশ্চয়ই আমগাছ হইতে আম এবং রাজাকার গোষ্ঠী হইতে রাজাকার উৎপন্ন হয়।
অচিরেই দেশে নিখিল পাকিস্তান রাজাকার সংসদ গঠিত হইবে। আর রাজাকার কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে সকল লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছাড়িয়া দেওয়া হইবে। আর রাজাকার প্রার্থীদের জন্যে চাকুরির বয়সসীমা আটত্রিশ বছর করা হইবে। এবং অবস্থা অচিরেই এইরূপ হইবে যে, রাজাকার সার্টিফিকেট নকল করিয়া লোকে রাজাকার সাজিতে থাকিবে। তখন সুন্দরী রমণীগণ সেনাকর্তাদের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইহবার বদলে রাজাকার বরের স্বপ্নে ঘামিতে থাকিবে। কন্যাবৃন্দের মাতাগণ রাজাকার জামাতার গর্বে পাড়া মাতাইবে।
অচিরেই কাহার কল্লা থাকিবে কাহার থাকিবে না, তাহা নির্ধারণের দায়িত্ব ‘ছাই-দি’ ‘ছা-য়েব’দের হস্তে অর্পিত হইবে। আর যে ব্যক্তি দাড়িপাল্লায় ভোট দিলো, সে-ই মাসুম শিশু হইয়া গেল। ব্যালট পেপার তাহার ডান হাতে আসিবে। ব্যালট পেপার দেখাইয়া স্বর্গে প্রবেশ করা যাইবে। যে ব্যক্তি রাজাকার তহবিলে চাঁদা দিলো, সে-ই ৭০ গুণ ফেরত পাইলো। চাঁদার রসিদ দেখাইলে স্বর্গের দুয়ার খুলিয়া দেওয়া হইবে। আর তোমরা রাজাকারের প্রশংসা করো, আর রাজাকারদের সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই রাজাকারদের তহবিল পরিপূর্ণ। তাহারা তোমাদিগের মাসোহারার ব্যবস্থা করিয়া দিবে। এবং তোমরা রাজাকার মাহাত্মে বিশ্বাসীগণের নিকট জানাইয়া দাও যে, তাহাদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে উত্তম শরাব।
আর তোমরা মওদুদীবাদ উত্তমরূপে কল্বের মধ্যে গাঁথিয়া ফেলো। তিনিই শেষ দার্শনিক, ইহার পর আর কোনো দার্শনিক আসিবে না। অতপর তাহার দেওয়া ব্যাখ্যাই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
অচিরেই রাজাকার দেশের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হইবে, এবং অচিরেই সকল কুফরি মতবাদ প্রচার ও শিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষিত হইবে। আর তখন তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, বলো, তোমাদের দেশ কি? তোমাদেও মধ্যে যাহারা খাঁটি রাজাকার, তাহারা বলিবে, কেন, পাকিস্তান? পুনরায় তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, তোমাদের দলপতি কে? তোমাদের মধ্যে যাহারা কল্যাণময়, তাহারা বলিবে, কেন, মওদুদী? পুনরায় তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, তোমাদের দলপতি কে? তোমাদের মধ্যে যাহারা ইহলোকের ভালো বোঝে, তাহারা জবাব দিবে, কেন, গোলাম আযম? আর তাহাদের জন্যে সুসংবাদ। তাহাদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে রাষ্ট্রের শীর্ষপদ আর অনন্ত যৌবনা নারী আর অনন্ত যৌবন তরুণ। কে আছেন, যে উত্তম সন্দেশ, মসৃণ তলদেশ ও তৈলাক্ত গুহ্যদেশ পছন্দ করে না।
অনন্তর সমস্ত প্রশংসা রাজাকারগণের, যাহারা রক্ত হইতে তখ্ত কায়েম করে।
(আনিসুল হক) http://bit.ly/2mZxwHQ
http://bit.ly/2nIZDej
https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
Bangladesh Ansar VDP published a job circular. A attractive
job circular published the Bangladesh Ansar VDP. Joining
the smart and big Govt. service team of Bangladesh Ansar
VDP. Bangladesh Ansar VDP is now very dependable Govt.
service team in Bangladesh. Bangladesh Ansar VDP Job
Circular 2017 related all information is found my website
HTTPS://AZADBD24.BLOGSPOT.COM
Published Date: 17 March 2017
Application Deadline: 20 tt
o 28 March 2017
Age: See The Circular
Total Post : 1495
Job Location: Bangladesh
Bangladesh Ansar VDP Job Circular 2017
To get Latest Job Update on Facebook Like our
Facebook Page
পুলিশ বাহিনীতে দশ হাজার কনস্টবল নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তি-২০১৭
“জন নিরাপত্তার বিধান ও সেবার মহান ব্রত নিয়ে
বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিন” এই আহ্বান জানিয়ে ১০,
০০০(দশ হাজার) ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টবল (টিআরসি) পদে
নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ
পুলিশ। এর মধ্যে ৮,৫০০ পুরুষ এবং ১,৫০০ নারী প্রার্থীকে
বাছাই করা হবে। প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে
এস এস সি পাশ।আবেদনের জন্য শেষ তারিখ ১৭ এপ্রিল
২০১৭।
এসব উল্লেখ করে আজ বিজ্ঞাপন চ্যানেল আজাদবিডি২৪.কম
জবপোস্টিং -এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন চ্যানেলে এই
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পোষ্ট করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
আসুন দেখে নেই বাংলাদেশ পুলিশ-এর নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তিটি।
https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে
জনবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হবে।
৮-১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়
বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। পুরুষ কনস্টেবল ৮ হাজার ৫০০
এবং নারী কনস্টেবল ১ হাজার ৫০০ জন নিয়োগ দেয়া
হবে।
প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলায় শারীরিক মাপ ও
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শেষে বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তারিখ
অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে
হবে।
প্রার্থীর যোগ্যতা :
বয়স :
সাধারণ/অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ০১/০৪/২০১৭
তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর (০২/০৪/১৯৯৯ হতে
০২/০৪/১৯৯৭ এর মধ্যে জন্ম)। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে ০১/০৪/২০১৭ তারিখে
৩২ বছর হতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা :
এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ
২.৫, বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে ও অবিবাহিত হতে
হবে।
শারীরিক মাপ :
সাধারণ ও অন্যান্য কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৬
ইঞ্চি, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪
ইঞ্চি, উপ-জাতীয় কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।
নারী প্রার্থীদের সকল কোটা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি
শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে সঙ্গে যা
যা আনতে হবে :
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূল
কপি। ইউনিয়ন পরিষদের পরিষদের চেয়ারম্যান/সিটি
কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর
কর্তৃক স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূল কপি।
প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি (যদি না থাকে
মাতা/পিতার পরিচয় পত্রের মূল কপি)। সরকারি
গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ৩ কপি সদ্য তোলা
পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা। ১-২২১১-০০০০-২০৩১ নম্বর কোডে
ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাপূর্বক চালানের কপি
আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে
পিতা/মাতা/পিতামহ/ মাতামহের নামে ইস্যুকৃত
মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের মূল কপি যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী
কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও প্রতি স্বাক্ষরিত হতে হবে।
পুলিশ পোষ্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পিতা/
মাতার নাম, পদবী, বিপি নম্বরসহ কর্মরত ইউনিটের
প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্রের মূল কপি সঙ্গে আনতে।
আনসার ও ভিডিপি কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪২
দিন মেয়াদী প্রশিক্ষণের মূল সনদপত্র আনতে হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি :
নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে দৌড়, রোপিং ও
জাম্পিং ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরৎলিখিত
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে (ন্যূনতম ৪৫% মার্ক
প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে)। লিখিত
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক
ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
নির্বাচন পদ্ধতি :
লিখিত মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত
নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে
নির্বাচিত করা হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য
পরীক্ষায় বিবেচিত হলে প্রশিক্ষণের জন্য
প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হবে।
প্রশিক্ষণকালীন সুবিধা :
প্রশিক্ষণকালীন বিনামূল্যে পোষাক সামগ্রীসহ থাকা,
খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা দেয়া হবে এবং ৭৫০/-টাকা
হারে প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়া হবে।
নিয়োগ ও চাকরীর সুবিধাদি :
প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন
স্কেলের ১৭তম গ্রেড (৯০০০-২১৮০০/-) টাকা ও অন্যান্য
বেতন-ভাতাদিসহ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে
নিয়োগ করা হবে। বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রী ঝুঁকি
ভাতা, চিকিৎসা ভাতা সহ রেশন সামগ্রী স্বল্প মূল্যে
দেয়া হবে। https://azadbd24.blogspot.com
https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com
রক্তাক্ত হৃদয়ের রক্ত-ক্ষরণ আমার আজও থামেনি, আজও
থামেনি আমার ভুলের সাগরে ফুলের-তরী ভাসানোর
নিস্ফল আয়োজন। ভুল করে ভুলে গিয়ে কস্টের বালুচরে
নিজের নিয়তির বসতি গড়ে চলেছি আজ অবধি।
পলাতীত স্বপ্নবিলাসী ফ্রিজ মন আমার অস্বীকার
করিনা। আল্লাহর অশেষ কৃপায় একজীবনে নিজের
অবস্থানটাকে চাওয়া-পাওয়ার অনেক উপরে উঠিয়ে
এনেছিলাম নিজের যোগ্যতায়। নিজেকে অনেকের
কাছেই উদাহরণ হিসেবে দাড় করিয়েছিলাম এই বয়সেই।
https://mobile.facebook.com/azadbd24com/
পরিশ্রম করে অজ্বন করেছি আর ভুল করে হারিয়েছি। ভুল
করে সারাটা জীবন শুধু ভুল মানুষগুলোকে কাছে
টেনেছি।
আমার অবুঝ ভুলগুলো আমার জীবনটাকেই আমার কাছে
অচেনা বানিয়ে দিলো।
জন্মানোতে হয়তো আমার কোনো হাত ছিলোনা বলেই-
ভুল করে জন্মেছি এটা বলার কোনো সুযোগ নেই। জন্মের
পর থেকেই শুধু নিয়ম করে করে ভুল করেই চলেছি।
এতোটাই সাধারণ জীবন যাপন করতে চেয়েছিলাম যে-
ব্যাপারটা ভাবতেই আমার অসাধারণ লাগতো।
মানুষই ভুল করে। ভুল করে আবার ভুল শুধরায়। ভুল থেকেই
ভুল না করার শিক্ষা নেয়। কিন্তু আমি তা পারিনি।
পারিনি বলেই পুনরায় ভুল করি।। আমার বুকের লালিত
সাজানো ছোট ছোট স্বপ্নগুলোকে কস্টের সুতোয় গেঁথে
ভুলেরই মালা বানাই। একটা জীবনে মানুষ যতটা ভুল
করতে পারে, আমি হয়তো তারও সীমা ছাড়িয়েছি।
নিজের ভুলগুলো কারো ঘাড়ে ছাপিয়ে দায়মুক্তি
চাইনি বলেই- আজও আমি চন্নছাড়া। দেহ নামের
স্ট্যালিয়নটা আজ আমার বেজায় অবসন্ন। প্রতিক্ষার
আকাশে কালো মেঘের হাতছানি। অন্ধকারের ঘনঘটা
আমার আলোময় ভুবনে।
এবার ঘুরে দাঁড়াতে চাই! আরও একবার ঘুরে দাঁড়িয়ে
জীবন থেকে ভুলগুলোকে ছুটি দিতে চাই। ভুলের তরী
ডোবাতে চাই কস্টের অতল সাগরে। ভুলের মালা গলায়
জড়িয়ে জীবনটাকে ভবিষ্যৎ এর হাতে বিসর্জন দিতে
চাইনা- নিজের স্বপ্নগুলোকে কাচের টুকরো করে!!
সময়ের স্রোতে পা থমকে দাড়ায়
রোদ্রময় আকাশের নিচে।
সেই সময় টুকু নেই আজ আমার
মানুষ হওয়ার লোভে।
দিনের পর দিন ছুটে বেড়ায়
মানুষ হওয়ার জয়ে।
মানুষ করিবে কে আমায়? কোন
মানুষ?
মানুষ আছে কি এদেশে।
মানুষ হওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে শুনি
হাজার মহাকাব্যের বাণী।
সেই তো মানুষ নয়। মানুষের
বানানো
পরিবতিত এক নকল মনি।
বিবেক আমার পতিত হয় গুরুর
বিবেকে
শিক্ষা দেয় রক্তের লড়াই
সেই না কি আসল মানুষ? মানুষের
জগতে
কেমনে মানুষ গড়ায়।
ব্যস্ত জীবন চলার মাঝে রক্ত
ক্ষয়ে
শিখব কেন এমন লড়াই।
মানুষ শিখবে, প্রকৃত মানুষ দেখে
এমনি মানুষ খুজে বেড়ায়।