বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৮

হলুদ সাংবাদিরা শুধু চামচামি করে।


স্টাব।https://m.facebook.com/home.php
এ,কে,আজাদ।

বিষয়টা আমার জন্যই বিব্রতকর।আসলে
সাংবাদিকতার অনেক ধরন আছে। কোন সাংবাদিক?
কেমন সাংবাদিক ?ধরলাম পত্রিকার সাংবাদিক।
মানে স্টাফ রিপোর্টার। একজন ভালো সাংবাদিক
হতে হলে যেসব যোগ্যতা লাগবে- ১. কমন সেন্স ২.
লেখালেখির যোগ্যতা ৩. ভাষাগত দক্ষতা ৪. চাপ
সহ্য করার ক্ষমতা ৫. সবার সঙ্গে ভাব জমানোর
ক্ষমতা ইত্যাদি।আর পড়াশোনা অন্তত গ্রাজুয়েট।
বাকি সাংবাদিক দের প্রেস ক্লাবে নিয়ে এসে
কানে ধরে দুপুরে হাটু গেরে বসাতে ইচ্ছা জাগে মনে
। কারন তারাই সাংবাদিক দের সন্মান নষ্টো করে ।
যাদের মাঝে সামান্য তম শিক্ষা নাই । তারা
সাংবাদিক এর কার্ড পায় কেমনে ? ইন্টারের পর
সাংবাদিকতায় ভর্তি হতে পারেন। যদি সত্যি সত্যি
সাংবাদিক হতে চান । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
সাংবাদিকতা বিভাগ রয়েছে। বিভিন্ন প্রাইভেট
বিশ্ববিদ্যালয়েও আছে, যেমন ইউনিভার্সিটি অব
লিবারেল আর্টস। টিভি রিপোর্টিং-এর জন্য রয়েছে
বেশ কিছু কোর্স। আমি জানতে চাই যারা নাম্বার
বিহিন মটর সাইকেলে সাংবাদিক লেখে ঘুরে
বেড়ায় তারা আসলে পেশা টাকে কি ভাবে
নিয়েছে ?? এক কথায় বলা যায় সুবিধা ভোগে
সাংবাদিক হয়েছে । প্রথম শর্তে কোন কথা নাই ।
তার মটর সাইকেল কিংবা গাড়ী জ্বালিয়ে দিতে
পারলে শান্তি পেত বাংলার পাখী বাবুই । তবে
কোর্স বা ডিগ্রি আপনাকে থিওরি বা
প্র্যাকটিকাল যা শেখাবে তা ভাল সাংবাদিকতার
জন্য ইনাফ না। বিভিন্ন বই এবং আর্টিকেল পড়তে
হবে লেখার ধরণ শেখার জন্য। পত্রিকাগুলো নিয়মিত
ঘাটলে সংবাদের গুরুত্ত্ব এবং ধরণ সম্পর্কেও
ক্লিয়ার ধারণা হবে। টিভির জন্য প্রেজেনটেশন
স্কিল এর প্র্যাকটিস করতে হবে। আরো জানতে
চাইলে কোর্স করতে পারেন এমআরটিতে। বেগম
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যায় সহ বেশ কিছু শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক এর উপর কোর্স খুলা হয়েছে
। যা বিগত সময় ছিলো বটে । দীর্ঘদিন ধরে
সাংবাদিক দের সঙ্গে জড়িত থেকে আমি নিজে
যখন কিছু সাংবাদিকের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখে
সমালোচনামূখর হই, তখন আমার সহকর্মীরাই আমার
দিকে তেড়ে আসেন। আমাদের এই দেশে সবকিছু
গোষ্ঠিবদ্ধভাবে বিবেচনার এক সংস্কৃতি আমরা চালু
করেছি। যেখানে যা-ই ঘটুক না কেন আমরা
সবগুলোকে নিজেদের দলসূত্রে বেঁধে ফেলি। এর মাঝ
দিয়ে হয়তো আক্রান্ত হওয়া থেকে কিছুটা রক্ষাী
পাওয়া যায়, কিন্তু নিজেদের দায়টুকুর দিকে নজর
দেয়া হয়ে উঠে না।যখন যেখানে খুশি, যেভাবে
প্রয়োজন সেভাবে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার অদ্ভুত
একধরণের গুণ থাকে সাংবাদিকদের। কিন্তু
রিপোটার দের সেটা থাকে না । সব সাংবাদিক
নির্যাতনই অপরাধীদের কাজ নয়, কখনো কখনো
আমাদের পেশার প্রতি অন্য মানুষের দীর্ঘদিনের
চাপা ক্ষোভ ও হতাশা থেকেও এটি হতে পারে।
আমরা যদি একে বারংবার ‘সাংবাদিক নির্যাতন’
বলে এড়িয়ে যাই, তাহলে এরকম ঘটনা বন্ধ হবে না।
আমাদেরকে খুঁজে দেখতে হবে সাংবাদিকদের
সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনোভাব আসলে কী? নিজ
অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এই মনোভাব খুব
আমোদদায়ক নয়। একশ্রেনীর ‘তথাকথিত
সাংবাদিকদের’ কর্মকা-ে গোটা দেশের মানুষ
ধীরে ধীরে এই পেশার প্রতি শ্রদ্ধা হারাচ্ছে।
সম্প্রতি হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর সংবাদ
মাধ্যমগুলোর বিভীষিকাময় আচরণ দেখে আমি
নিজেই স্তম্ভিত। হুমায়ূন-শাওন পর্ব শেষ করে এখন
গুলতেকিনকে নিয়ে শুরু হচ্ছে। হুমায়ূনের সন্তানদের
ফেসবুক থেকে ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে অবলীলায়
ছাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। হুমায়ূনের চিকিৎসা নিয়ে
মনের মাধুরী মিশিয়ে রিপোর্ট করা হচ্ছে। আমাদের
রুচি বিকৃতি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাঁর একটি
উদাহরণ দেই। টিভিতে দেখলাম, হুমায়ূনের দাফন
শেষে শাওনকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, ‘আপনার শ্বাশুড়ি
কেন দাফনে এলেন না? কবরের জায়গা নিয়ে
জটিলতায় কি উনি রাগ করেছেন? নুহাশ পল্লীর
মালিকানা এখন কার? এটা কার থাকবে?’ ইত্যাদি।
সদ্য স্বামীহারা একজন নারীকে কী প্রশ্ন করা যায়,
কতটুকু প্রশ্ন করা যায় এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা না
নিয়ে একদল মানুষকে আমরা সাংবাদিক পরিচয়
দিয়ে এই সমাজে ছেড়ে দিয়েছি, এটা কতটুকু
যৌক্তিক হয়েছে সেটা ভেবে দেখার প্রয়োজন
আছে। আমার মনে আছে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর
মাসে গনতন্ত্রী পার্টির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের
বাড়িতে রহস্যজনক অগ্নিকা- ঘটলে তাঁর একমাত্র
তমোহর ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং গুরুতর
আহত নুরুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শরীরের একটা বড় অংশ পুড়ে যাওয়া মুমুর্ষ নুরুল ইসলাম
তখনও জানতেন না যে তাঁর সন্তান মারা গেছেন। নুরুল
ইসলামের মুখের সামনে মাইক্রোফোন নিয়ে
আমাদের এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিল, ‘আপনার
সন্তান মারা যাওয়ায় আপনার অনুভূতি কী?’ হায়, কী
নিষ্ঠুর হতে পারে কিছু মানুষ! এগুলো কি বিচ্ছিন্ন
ঘটনা? অনেকেই হয়তো তা-ই বলবেন, কিন্তু বিচ্ছিন্ন
ঘটনার প্রকোপ যখন অনেক বেশি হয়ে যায়, তখন সেটা
এড়িয়ে যাওয়ার আর সুযোগ থাকছে না। এই সমস্যার
বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হরেদরে সাংবাদিক
পরিচয় ব্যবহারের সুযোগ। এই সুযোগ নিয়ন্ত্রন করতে
হবে এবং এই নিয়ন্ত্রন আরোপে প্রকৃত
সাংবাদিকদের সাহসী উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
মিডিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
প্রতিভাবান তরুণরা এই সেক্টরে আসছেন না বলে
অনেক সময়ই প্রায় অযোগ্য কিছু মানুষকে দিয়ে কাজ
চালানো শুরু হয়েছে। এদের কোনো প্রশিক্ষনের
ব্যবস্থা করেনি অধিকাংশ চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রশিক্ষণ বিহীন, সাংবাদিকতা সম্পর্কে নূন্যতম
জ্ঞানবিহীন অদক্ষরা সদ্য শিং গজানো বাছুরের
মতো বুকে আইডি কার্ড ঝুলিয়ে উন্মত্তের মতো
আচরণ করছে। এরা রাস্তায় ট্রাফিক আইন ভাঙে,
সরকারি বেসরকারি অফিসে গিয়ে ধমক দিয়ে কাজ
করতে চায়। এর বাইরে আছে স্বঘোষিত
ধান্দাবাজদের ‘সাংবাদিক’ হয়ে ওঠা। পাড়া
মহল্লার সাময়িকী কি এক পাতার কিছু একটা
ছাপিয়েই কিছু লোক স্বঘোষিত সাংবাদিক হয়ে
পড়ছে। যেনতেন প্রকারে আন্ডারগ্রাউন্ড একটি
পত্রিকা বের করে চলছে ব্ল্যাকমেইলিং আর
চাঁদাবাজির উৎসব। এসব ‘সাংবাদিক’দের দায় নিতে
হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে। পাঠক কি জানেন,
ঢাকা শহরে ‘প্রাইভেট’ নাম দিয়ে যে হাজার হাজার
সিএনজি চালিত ধূষর অটোরিক্সাগুলো চলছে,
এগুলোর অনুমোদন নেয়া হয়েছে এসব ভূইফোঁড়
পত্রিকা আর সংবাদ সংস্থার নামে। ঢাকা শহরে
যতগুলো ‘সাংবাদিক’ স্টিকার লাগানো
মাইক্রোবাস চলাচল করে, এর অধিকাংশই আসলে
রেন্ট-এ-কারের গাড়ি, এর সঙ্গে প্রকৃত
সাংবাদিকদের কোনো সম্পর্কই নেই। এখন কথা
হচ্ছে এসব সামলাবে কে? আমি এজন্য একটি
নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিধিমালা তৈরির
পক্ষে। সব পেশারই লাইসেন্স প্রদানকারী একটি
প্রতিষ্ঠান থাকে। আপনি এমনকি চিকিৎসা
বিজ্ঞানের সব বই পড়ে ঝালাপালা হয়ে গেলেও
চিকিৎসা শুরু করার আগে আপনাকে সনদ নিতে হবে।
এই সনদ গ্রহনের মাধ্যমে আপনি নূন্যতম নিয়মনীতি ও
পেশাগত সততার প্রতি অঙ্গীকার করতে হয়। আপনি
আইন পাশ করলেও সরাসরি বিচার কার্যে অংশ নিতে
পারবেন না, এজন্য আপনাকে তালিকাভুক্ত ও
সনদধারী আইনজীবি হতে হবে। একাউন্টেন্ট হতে
হলেও আপনাকে শুধু হিসাববিজ্ঞান জানলে চলবে
না, সংশ্লিষ্ঠ পেশাগত প্রতিষ্ঠানের সনদ নিতে হবে।
এসব সনদের কারণে একজন পেশাজীবি তাঁর নিজের
পেশার প্রতি সৎ থাকার অঙ্গীকার করেন। সনদ
থাকার কারণে আমরা সাধারণ মানুষরা বুঝতে পারি
যে এই চিকিৎসক কি আইনজীবি আসলেই আমাকে
সেবা দেয়ার যোগ্যতা অর্জণ করেছেন কী না।
সেবা প্রদানে গুরুতর কোনো অনৈতিকতা থাকলে
আমরা বিচারপ্রার্থী হতে পারি এবং দায়ী ব্যক্তির
সনদ বাতিল করে তাঁকে পেশা থেকে সরিয়ে দেয়ার
ব্যবস্থা আছে। তাই এই ধরনের পেশাদারিত্বের
নিবন্ধন ও সনদ একজন মানুষকে নিজ পেশায়
দায়িত্বশীল হতে বাধ্য করে। সাংবাদিকতাও একটি
স্পর্শকাতর পেশা। যে কারো হাতে যেভাবে
ছুরিকাঁিচ তুলে দিয়ে অপারেশনের সার্জন বানিয়ে
দেয়া গ্রহনযোগ্য হয় না, একই ভাবে যে কারো হাতে
কলম-ক্যামেরা-বুম তুলে দিয়ে তাঁকে সংবাদ সংগ্রহ
ও প্রচারের দায়িত্ব দেওয়াটাও গ্রহণযোগ্য হওয়া
উচিত নয়। আমি আশা করি সাংবাদিকদের
পেশাদারিত্বের সনদ দেয়ার এখতিয়ার দিয়ে একটি
কর্তৃপক্ষ তৈরির ব্যাপারে মিডিয়া সংশ্লিষ্ঠ সকল
মহল গুরুত্ব দিয়ে ভাববেন। এরকম প্রতিষ্ঠানের
রূপরেখা কীভাবে হবে, সনদ পাওয়ার জন্য কোনো
প্রশিক্ষন, অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য শর্তাবলী কী
হবে এ ব্যাপারে দেশের অভিজ্ঞ সংবাদকর্মীদের
সহায়তায় একটি গ্রহনযোগ্য সমাধান পাওয়া সম্ভব।
এই কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জন্য আচরণবিধি তৈরি
ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবে এবং তাঁদেরকে
সেগুলো মেনে চলতে উৎসাহিত এবং ক্ষেত্রবিশেষে
বাধ্যও করবে। অনেকেই হয়তো আমার এই প্রস্তাবকে
সাংবাদিক নিয়ন্ত্রনের মনোভাব হিসেবে দেখতে
চাইবেন। কিন্তু আমার মনে হয় বরং প্রকৃত
সাংবাদিকদেরই উচিত হবে এ বিষয়ে অগ্রনী ভুমিকা
নেয়া। আমাদের নিজেদের পেশার সুনাম রক্ষার
জন্যই সাংবাদিকতার বাগান থেকে আগাছা দূর
করার ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়েছে।

শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

কেন বিমান মন্ত্রণালয় থেকে সরানো হলো মেননকে?

https://facebook.com/akakishadhin.akakishadhin.com


বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে বুধবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মেনন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। বুধবার দুপুরে মেননকে বিমান মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ছড়িয়ে পড়লে সিভিল এভিয়েশন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকায় সবার মুখে মুখে ছিল বিষয়টি।
অনেকেই মন্ত্রীর সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে করছিলেন চুলচেরা বিশ্লেষণ। অনেকেই মনে করছেন কার্গো রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ভিভিঅাইপি ফ্লাইটে নাট-বল্টু ঢিলা, এবং ফ্লাইটে নিরাপত্তা দিতে না পারার কারণে তাকে বিমানমন্ত্রীর চেয়ার হারাতে হয়েছে। আবার প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে দায়িত্বে অবহেলা এবং গাফিলতির ঘটনায় তদন্তে কাউকে দোষী সাব্যস্ত না করতে পারাও একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
তবে এসব বিষয়ে রাশেদ খান মেনন জাগো নিউজকে বলেন, আমি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী থাকাকালে কোনোরকম দুর্নীতি ও অনিয়মকে প্রশ্রয় দেইনি। সরকার যেখানে চাইবে সেখানেই আমাদের কাজ করতে হবে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সম্মেলনে যোগ দিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিভিআইপি ওই ফ্লাইটে পূর্বনির্ধারিত মেন্যু অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হয় বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি) থেকে। সরকারের সব সংস্থার উপস্থিতিতে খাবার তৈরি করে বিএফসিসির একটি কক্ষে সিলগালা করে রাখা হয়। ফ্লাইটের দিন সকালে ফ্লাইটে খাবার ওঠানোর সময় সিকিউরিটি ট্যাগ ছাড়া দুটি স্যুপের ফ্লাস্ক দেখতে পায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। সঙ্গে সঙ্গে তারা ফ্লাস্ক দুটি বিএফসিসিতে ফেরত পাঠান।
দুই ফ্লাস্কের একটিতে চিকেন একং একটিতে ভেজিটেবল স্যুপ ছিল। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয় বিমানে।
অনেকেই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য পরীক্ষা করা খাবারের সঙ্গে কীভাবে নিরাপত্তা পরীক্ষা ছাড়া দুটি ফ্লাস্ক ভিভিআইপি ফ্লাইটে পাঠনো হলো সে ব্যাপারে লোক দেখানো তদন্ত কমিটি করা হলেও সন্তোষজনক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বুদাপেস্টগামী ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণের ঘটনায় দেশ-বিদেশে তোলপাড় উঠেছিল। সেবারও ঘটেছে খাবার নিয়ে গাফিলতির ঘটনা।
ওই ঘটনায় ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের সহকারী ব্যবস্থাপককে সাময়িক বরখাস্ত করলেও মন্ত্রণালয়ের তদন্তে নির্দোষ উল্লেখ হওয়ায় কোনো শাস্তি দেয়া যায়নি। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্লাইটে নিরাপত্তা না দিতে পারা ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে জেলে থাকা ১৯ জন প্রকৌশলীকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন মন্ত্রণালয়েরই তদন্ত রিপোর্টের সূত্র ধরে